
পাকা কমলার সুমিষ্ট গন্ধে পুরো বাগান ছড়িয়ে পড়েছে। থোকায় থোকায় সবুজ পাতার আড়ালে ঝুলছে কাঁচা-পাকা হলুদ রঙের কমলা। পাতার ফাঁকে উঁকি দেওয়া এমন দৃশ্যে চোখ জুড়ায় সবার। পাঁচ বছর আগে ইউটিউবে এ চাষ পদ্ধতি দেখে কমলা চাষে আগ্রহী হয়েছিল ঝিনাইদহের মহেশপুর উপজেলার বেগমপুর গ্রামের কৃষক হাবিবুর রহমান। এরপর পার্শ্ববর্তী জেলা থেকে চারা সংগ্রহ করে নিজের চার বিঘা জমিতে পরীক্ষামূলকভাবে শুরু করেন এই কমলা চাষ। এবছর প্রতি গাছে ফলন হয়েছে ১২০ থেকে ১৫০ কেজি পর্যন্ত। সার ও কীটনাশকের খরচ কম থাকায় এবছর বেশি লাভের আশা তার।
স্থানীয়রা বলছেন, আকারে কিছুটা ছোট হলেও স্বাদ ও গন্ধে বাজারের অন্যান্য কমলার তুলনায় এগিয়ে হাবিবুরের কমলা। তাইতো প্রতিদিন দূর দূরান্ত থেকে ছুটে আসছেন দর্শনার্থীরা। কেউ ছবি তুলছেন কেউ বা নিতে এসেছেন পরামর্শ। এদিকে কমলা চাষে প্রতিনিয়ত পরামর্শ ও সহযোগিতা করে যাচ্ছে উপজেলা কৃষি বিভাগ।
মহেশপুর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা ইয়াসমিন সুলতানা জানান, মাটির গুণগতমানের কারণে কমলার রোগ বালাই কম। ফলে বাড়তি মুনাফার আসায় অনেকেই ঝুকছেন মৌসুমী এই ফল চাষে। কমলা চাষী কৃষক হাবিবুর রহমান জানান, বর্তমানে তার বাগানে ৪০০টি কমলা গাছ রয়েছে। এবছর ২৫ থেকে ৩০ লক্ষ টাকার ফল বিক্রির আশা তার।