বিএনপির প্রচার সম্পাদক সুলতান সালাউদ্দিন টুকু বলছেন, আমরা ভোটের অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য কাজ করে যাচ্ছি। বিগত ফ্যাসিবাদ সরকার আমাদের ভোটের অধিকার হরণ করেছিল। আমরা দীর্ঘদিন ভোট দিতে পারিনি। ১৪,১৮ এবং ২৪ সালের নির্বাচনে ভোট দিতে পারিনি। ভোট আমাদের একটি নাগরিক অধিকার। বাংলাদেশের মানুষ সেই অধিকার প্রতিষ্ঠিা করতে জুলাই-আগস্টে আন্দোলনে নেমেছিল। আন্দোলনে বিএনপির অসংখ্য নেতাকর্মীরা জীবন দিয়েছে। তিনি আরো বলেন, ১৭ বছরে ৬০ হাজার নেতাকর্মী বিরুদ্ধে ১ লাখ ২৬ হাজার মামলা দিয়েছে ফ্যাসিবাদী সরকার। এরপরও বিএনপি নেতাকর্মীরা শত নির্যাতন নিপীড়ন উপেক্ষা করে জনগণের সঙ্গে ছিল। গতকাল শনিবার আশিকপুর এবং পুরাতন বাসস্ট্যান্ডে সিএনজি শ্রমিক ও অসহায় দুস্থদের মাঝে কম্বল বিতরণের সময় তিনি এ সব কথা বলেন। বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল, জনগণের দল আগামী দিনে এই দেশে ভোটের রাজনীতি প্রতিষ্ঠিত না হওয়া পর্যন্ত এবং গণতন্ত্র পুনপ্রতিষ্ঠা না হওয়া পর্যন্ত জণগনকে সাথে নিয়ে আন্দোলন করে যাবে।
জণগনের পছন্দের প্রার্থীর কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর পর্যন্ত বিএনপির আন্দোলন অব্যাহত থাকবে। তিনি আরো বলেন, অনেকেই অনেক কথা বলছে সংস্কার আগে না নির্বাচন আগে। আমরা বলতে চাই সংস্কার একটি ধারাবাহিক প্রক্রিয়া।
এটি চলতেই থাকবে। নির্বাচন জনগণের অধিকার। জনগণ পছন্দ মতো সরকার প্রতিষ্ঠা করবে। এই দেশের মালিক হচ্ছে দেশের জনগণ। এ সময় উপস্থিত ছিলেন- জেলা বিএনপির সাবেক সদস্য সচিব মাহমুদুল হক শানু, জেলা যুবদলের আহ্বায়ক রাশেদুল আলম, জেলা বিএনপির সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক শফিকুর রহমান খান শফিক ও যুবদলের কেন্দ্রীয় কমিটির সাবেক সদস্য সৈয়দ শহিদুল আলম টিটু প্রমুখ।