ঢাকা শনিবার, ২১ জুন ২০২৫, ৭ আষাঢ় ১৪৩২ | বেটা ভার্সন

‘সামাজিক সহাবস্থানের জন্য ধর্মীয় শিক্ষার বিকল্প নেই’

‘সামাজিক সহাবস্থানের জন্য ধর্মীয় শিক্ষার বিকল্প নেই’

দিন বদলের বইছে হাওয়া নৈতিক শিক্ষাই প্রথম চাওয়া- স্লোগানে টেইসই উন্নয়ন অভীষ্ট লক্ষ্যমাত্রা অর্জন এবং নৈতিক শিক্ষার প্রসারে মুন্সীগঞ্জে মন্দিরভিত্তিক শিশু ও গণশিক্ষা কার্যক্রম প্রকল্পের ভূমিকা শীর্ষক কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার জেলা প্রশাসন এবং মন্দিরভিত্তিক শিশু ও গণশিক্ষা কার্যক্রম ৬ষ্ঠ পর্যায় ধর্মবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের হিন্দু ধর্মীয় কল্যাণ ট্রাস্টের বাস্তবায়নে শহরের কাটাখালি রোডে আনন্দ কমিউনিটি সেন্টারের মিলনায়তনে দিনব্যাপী এ কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়। হিন্দুধর্মীয় কল্যাণ ট্রাস্টের মন্দিরভিত্তিক শিশু ও গণশিক্ষা কার্যক্রম ৬ষ্ঠ পর্যায় প্রকল্পের আওতায় এ কর্মশালার উদ্বোধন করেন মুন্সীগঞ্জ জেলা প্রশাসক ফাতেমা তুল জান্নাত। জেলা প্রশাসক তার বক্তারা বলেন, মন্দিরভিত্তিক শিশু ও গণশিক্ষা কার্যক্রম প্রকল্পটি শিশুদের প্রাথমিক শিক্ষায় অন্তর্ভুক্তি, নৈতিক মূল্যবোধ জাগ্রতকরণ ও ধর্মীয় সহিষ্ণুতার প্রসারে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে। এ প্রকল্পের মাধ্যমে পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠীর শিশুদের শিক্ষার মূলধারায় যুক্ত করা সম্ভব হচ্ছে। ধর্মীয় শৃঙ্খলাগুলো শিশুরা শিখতে পারছে। বিশেষ করে প্রান্তিক অঞ্চলে শিক্ষার আলো পৌঁছে দিতে মন্দিরভিত্তিক শিক্ষা কার্যক্রম একটি কার্যকর পদ্ধতি। নৈতিক মূল্যবোধ সৃষ্টি, উন্নত নৈতিক মানবিক চরিত্র গঠন, সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বজায় ও সহানুভূতিশীল সামাজিক সহাবস্থানের জন্য ধর্মীয় শিক্ষার বিকল্প নেই।

মন্দিরভিত্তিক শিশু ও গণশিক্ষার প্রধান কার্যালয়ের উপ-প্রকল্প পরিচালক (প্রশাসন ও অর্থ) নিত্য প্রকাশ বিশ্বাসের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) মো. মাহমুদুর রহমান খোন্দকার, জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার মো. নজরুল ইসলাম, উপ প্রকল্প পরিচালক ( প্রশিক্ষণ ও বাস্তবায়ন) কাকলি রানী মজুমদার, জেলা কার্যালয়ের সহকারী প্রকল্প পরিচালক সাদিকা সুলতানা, কম্পিউটার অপারেটর শুভ্রা দাস, ফিল্ড সুপারভাইজার মো. মাজাহারুল মাহফুজ, হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রিষ্টান ঐক্যপরিষদ মুন্সীগঞ্জ জেলার সভাপতি অ্যাডভোকেট অজয় চক্রবর্তী, জেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সদস্য সচিব প্রশান্ত কুমার মন্ডল দুলাল, প্রকল্পের জেলা মনিটরিং কমিটির সদস্য অভিজিৎ দাস ববি। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন হিন্দু বিবাহ রেজিস্ট্রার জিতু রায়। দিনব্যাপী এই প্রশিক্ষণ কর্মশালায় মুন্সীগঞ্জ জেলার ৬ উপজেলার ১৫০ জন প্রশিক্ষণার্থী ৫টি গ্রুপে অংশগ্রহণ করে।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত