ঢাকা সোমবার, ১৯ মে ২০২৫, ৫ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ | বেটা ভার্সন

সাংবাদিকের ওপর সন্ত্রাসী হামলা

সাংবাদিকের ওপর সন্ত্রাসী হামলা

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিজয়নগর উপজেলায় অবৈধভাবে মাটির কাটা নিয়ে সংবাদ প্রকাশ করায় উপজেলা যুবদলের বহিষ্কৃত সদস্য সচিব মোখলেছুর রহমান ওরফে লিটন মুন্সী ও উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক কাইয়ূম মিয়ার নেতৃত্বে সাংবাদিক মাইনুদ্দিন রুবেলের উপর সন্ত্রাসী হামলা হয়েছে। গত শুক্রবার রাত পৌনে ৮টার দিকে উপজেলা পরিষদের সামনে এই হামলার ঘটনা ঘটে। আহত মাইনুদ্দিন রুবেলকে প্রথমে বিজয়নগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও পরে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। মাইনুদ্দিন রুবেল বিজয়নগর উপজেলার পাহাড়পুর ইউনিয়নের ভিটিদাউদপুর গ্রামের বাসিন্দা। মাইনুদ্দিন রুবেল জাতীয় দৈনিক দেশ রূপান্তর ও বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম এর ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা প্রতিনিধি হিসেবে কাজ করছেন। প্রত্যক্ষদর্শী ও স্থানীয়রা জানান, উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক কাইয়ুম মিয়া গত ৫ আগস্টের পর থেকে উপজেলার সর্বত্রই অবৈধভাবে মাটি কেটে ট্রাক্টর নিয়ে বিভিন্ন জায়গায় বিক্রি করে আসছেন। পাশাপাশি উপজেলার বিভিন্ন স্থানের পুকুরসহ ফসলি জমি অবৈধভাবে ভরাট করে আসছেন। রাতদিন ভেকু দিয়ে মাটি কেটে ট্রাক্টরে করে বিভিন্ন জায়গায় মাটি বিক্রি করেন কাইয়ুম। কাইয়ুমের এই কাজ দেখাশোনা করেন তার ছেলে মো. মুন্না, রাসেল মিয়া ও মোবারক হোসেন, চাচাতো ভাই রুবেল মিয়া ও ইছাপুরা ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য আনিছ মিয়া। তাদের এসব কাজে সহায়তা করেন উপজেলা যুবদলের বহিষ্কৃত সদস্য সচিব মোখলেছুর রহমান ওরফে লিটন মুন্সী। গত উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে বিজয়নগর উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে অংশ নেয়ায় দল থেকে মোখলেছুর রহমান ওরফে লিটন মুন্সীকে বহিস্কার করা হয়। তিনি উপজেলা পরিষদের সাবেক ভাইস চেয়ারম্যানও।

গত শুক্রবার পৌনে আটটার দিকে মাইনুদ্দিন রুবেল ব্যক্তিগত কাজে বিজয়নগর যাওয়ার পথে বিজয়নগর উপজেলা কমপ্লেক্সের সামনে পৌছলে সেখানে আগে থেকে ওঁৎ পেতে থাকা মোখলেছুর রহমান ওরফে লিটন মুন্সী, কাইয়ুম, কাইয়ুমের ছেলে মো. মুন্না, রাসেল মিয়া ও মোবারক হোসেন, কাইয়ুমের চাচাতো ভাই রুবেল মিয়া ও ইছাপুরা ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য আনিছ মিয়া, তাদের গোষ্ঠীর মামুন মিয়াসহ ৩০/৪০জন দেশীয় অস্ত্র-শস্ত্র নিয়ে সাংবাদিক মাইনুদ্দিন রুবেলের উপর অতর্কিত হামলা চালিয়ে মারধর করেন। তাদের হামলায় মাইনুদ্দিন মাথার ডানপাশে আঘাত পান। তাকে উদ্ধার করে প্রথমে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স নিয়ে প্রাথমিক চিকিৎসা দেন। মাইনুদ্দিনের মাথার ডানপাশে ছয়টি সেলাই লেগেছে।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত