সরকারি নিষেধাজ্ঞা শেষে গত বুধবার মধ্যরাতে পদ্মা-মেঘনায় ইলিশসহ অন্যান্য মাছ ধরতে নেমেছেন জেলেরা। সরেজমিন সদর উপজেলার আনন্দবাজার, শহরের টিলাবাড়ি, পুরাণ বাজার রনাগোয়াল, দোকানঘর, মধ্য বাখরপুর, বহরিয়া ও হরিণা ফেরিঘাট এলাকার জেলে পাড়ায় দেখা গেছে অধিকাংশ জেলে তাদের নৌকা মেরামত ও জাল প্রস্তুত শেষ করেছে। সদরের আনন্দ বাজার এলাকার জেলে বিল্লাল হোসেন বলেন, এবছর জাটকা রক্ষায় যে অভিযান দিয়েছে, তাতে আমাদের মহল্লার শত শত জেলে বেকার হয়ে পড়ে। প্রশাসনের কঠোর নজরদারির কারণে আমরা নদীতে নামেনি। তবে সরকারের পক্ষ থেকে মাসে ৪০ কেজি চাল সহায়তায় সংসার চালোনা খুবই কঠিন। দোকানঘর এলাকার জেলে সেলিম মিয়া বলেন, জাটকা বড় হওয়ার জন্য নিষেধাজ্ঞা দিলেও এক শ্রেণির জেলে প্রশাসনের চোখ ফাঁকি দিয়ে জাটকা নিধন করেছে এবং গোপনে বিক্রি করেছে। আমরা নিষেধাজ্ঞা মেনেছি এবং জাল প্রস্তুত করছি ইলিশ ধরার জন্য। মধ্য বাখরপুর এলাকার জেলে শাহজাহান মিজি বলেন, দুই মাসের অভিযান পুরোপুরি বাস্তবায়ন হলে ইলিশ পাওয়ার সম্ভাবনা থাকে। একই এলাকার জেলে আজাদ খান বলেন, তিন লাখ খরচ কইরা নাও ঠিক করছি। নদীতে নামমু, যদি ইলিশ পাই, তাইলে কিস্তিও দিতে পারমু এবং খাইয়া বাঁচমু।