মৌসুমী বায়ুর প্রভাবে নোয়াখালীতে মুষলধারে বৃষ্টি হয়েছে। এতে জেলার মাইজদিসহ বেশ কিছু এলাকায় ও অলিগলির রাস্তাঘাট ডুবে গেছে। বৃষ্টিতে অলিগলি ছাড়াও কিছু কিছু প্রধান প্রধান সড়কে এবং বাসা বাড়িতে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়েছে।
জেলা আবহাওয়া অফিসের দায়িত্ব পালনকারী কর্মকর্তা রফিকুল ইসলাম বলেন, গতকাল মঙ্গলবার সকাল ৯টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় ১২৬ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। মৌসুমী বায়ুর প্রভাবে আরও ভারী বৃষ্টি হতে পারে। এই অবস্থায় নদীবন্দরে ১ নম্বর ও সমুদ্র বন্দরে ৩ নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত দেখাতে বলেছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। টানা বর্ষণে জেলা শহর মাইজদি, আদালত পাড়া, প্রেসক্লাব সড়ক, টাউন হল মোড়, ইসলামিয়া সড়ক, ডিসি সড়ক, মহিলা কলেজ সড়ক, জেল খানা সড়ক, মাইজদি বাজার সড়কসহ বিভিন্ন এলাকায় জলাবদ্ধতা দেখা দিয়েছে। এতে সকাল থেকে সড়কে চলাচলে চরম দুর্ভোগে পড়েন শহরবাসী। স্থানীয়রা বলছেন, পানি নামতে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি ওপর্যাপ্ত ড্রেনেজ ব্যবস্থার অভাব এবং পানি নিষ্কাশনের নালা ও জলাশয় গুলো ভরাট হয়ে যাওয়ায় শহরবাসীর এ দুর্ভোগ। হালকা বৃষ্টিতেই নোয়াখালী পৌরসভা এলাকায় জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়।
এছাড়া সোনাইমুড়ী ও কোম্পানীগঞ্জের বসুরহাট পৌরসভা এলাকার করালিয়া, মওদুদ স্কুল, কলেজ গেইট, হাসপাতাল গেইটসহ অনেক এলাকার রাস্তাঘাট পানিতে ডুবে গেছে। অন্যদিকে কবিরহাট ও সুবর্ণচর, সেনবাগ উপজেলায় মুষলধারে বৃষ্টিতে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়েছে। নোয়াখালী পৌরসভার নির্বাহী প্রকৌশলী বেলাল হোসেন পৌর এলাকার জলাবদ্ধতা এড়াতে কর্মীরা কাজ বিভিন্ন স্থানে। নোয়াখালী জেলা প্রশাসক খন্দকার ইসতিয়াক আহমেদ বলেন, বিভিন্ন এলাকা তিনি ঘুরে দেখেছি। প্রধান সড়কগুলোতে এখনও জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়নি। তবে আশপাশের কিছু সড়ক পানিতে ডুবে গেছে।
