কক্সবাজারে চকরিয়া ও রামু উপজেলা পৃথক দুইটি ধর্ষণের ঘটনা ঘটেছে। এরমধ্যে চকরিয়া চোরের হাতে ধর্ষণের শিকার হয়েছে পুলিশ সদস্যের স্ত্রী। রামুতে পল্লী চিকিৎসকের হাতে ধর্ষণের শিকার হয়েছেন ১৪ বছর বয়সি এক শিশু কন্যা।
এরমধ্যে গত সোমবার গভীর রাতে চকরিয়া পৌরসভার ৩নং ওয়ার্ডস্থ তরছঘাট এলাকার ভাড়া বাসায় পুলিশ সদস্যের স্ত্রী ধর্ষণের শিকার হয়েছে বলে জানিয়েছেন চকরিয়া ওসি মো. শফিকুল ইসলাম। ভুক্তভোগীর স্বামী পুলিশ সদস্যের করা মামলার এজাহারের বরাত দিয়ে ওসি মো. শফিকুল ইসলাম জানান, গত সোমবার রাত আনুমানিক ৩টার দিকে এক অজ্ঞাতনামা যুবক রান্নাঘরের জানালা দিয়ে ভেতরে প্রবেশ করে। তার হাতে একটি ধারালো দা ও একটি টর্চলাইট ছিল। বাসায় ঢুকেই তিনি ওই নারীকে ভয়ভীতি দেখিয়ে তার ব্যবহৃত দুটি মোবাইল ফোন ও নগদ টাকা ছিনিয়ে নেয়। এরপর রান্নাঘরে নিয়ে গিয়ে ভয় দেখিয়ে ধর্ষণ করে। এ সময় ঘরে থাকা তার ছোট দুটি শিশু সন্তান ভয়ে কাঁদতে থাকে। দুর্বৃত্তরা চলে যাওয়ার পর কান্নাকাটি শুনে পার্শ্ববর্তী এলাকার লোকজন ছুটে আসে। পরে রাতেই ওই নারীর স্বামী থানায় গিয়ে বিষয়টি ওসিকে জানান।
গত মঙ্গলবার সকালে চকরিয়া থানায় নারী নির্যাতন, ধর্ষণ, চুরি ও ভয়ভীতি প্রদর্শনের অভিযোগে মামলা করেন ওই নারীর স্বামী পুলিশ সদস্য জানিয়ে ওসি মো. শফিকুল ইসলাম বলেন, পুলিশ কনস্টেবলের স্ত্রীকে ধর্ষণসহ একাধিক অভিযোগে মামলা নেওয়া হয়েছে। এরইমধ্যে অভিযুক্তকে শনাক্ত ও গ্রেপ্তারে পুলিশ অভিযান চালাচ্ছে। অন্যদিকে রামু উপজেলার ঈদগড় বাজারে ঘুমের ইনজেকশন দিয়ে অচেতন করে ১৪ বছর বয়সি এক শিশু কন্যাকে ধর্ষণের অভিযোগে রামু থানায় এজাহার দায়ের করেছে শিশুর মা। বাজারের শাহ মেডিকো র্ফামেসি নামের একটি প্রতিষ্ঠানের পল্লী চিকিৎসক সেলিম বাহাদুরকে দায়ী করে এজাহারে বলা হয়েছে গত রোববার সকালে এ ঘটনাটি সংঘটিত হয়েছে।
কক্সবাজার জেলা পুলিশের মিডিয়া কর্মকর্তা অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ট্রাফিক) মো. জসিম উদ্দিন চৌধুরী ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, এ ঘটনায় দায়ের করা এজাহারটি নিয়মিত মামলা হিসেবে লিপিব্ধ হয়েছে। পুলিশ আসামি গ্রেপ্তারে অভিযানে চালাচ্ছে।