
ঢাকার সাভারে ১৩ বছর বয়সী এক মাদ্রাসা শিক্ষার্থীকে দলবব্ধ ধর্ষণের পর হত্যার অভিযোগ পাওয়া গেছে। কাউন্দিয়া ইউনিয়নের বাগসাত্তা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। ধর্ষণ ও হত্যার ঘটনায় নিহতের মা গতকাল বুধবার সাভার মডেল থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। এঘটনায় পুলিশ অভিযান চালিয়ে সাব্বির হোসেন (১৬) নামের এক কিশোরকে গ্রেপ্তার করেছে। সাব্বির হোসেন বরগুনা জেলার চান্দুখালি গ্রামের মো. রাজু মিয়ার ছেলে। এ মামলায় পলাতক রয়েছে বাকসাত্তা গ্রামের চাঁন মিয়ার মেয়ে চাঁদনী (১৪), কেচি রাকিব (২৫) ও আশিক (২০)।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, সাভারের কাউন্দিয়া ইউনিয়নের বাগসাত্তা গ্রামে পরিবারের সঙ্গে বসবাস করতেন ধর্ষণের শিকার কিশোরী। গত রোববার সন্ধ্যায় ওই মাদ্রাসা শিক্ষার্থীকে বাসা থেকে ডেকে নিয়ে যায় চাঁদনী নামে অন্য এক কিশোরী। তারা এক অন্যের পরিচিত।
এলাকাবাসী ও পরিবার সূত্রে জানা যায়, গ্রেপ্তার সাব্বির ও চাঁদনী দুজনে স্বামী-স্ত্রী পরিচয়ে ওই এলাকায় মফিজুর রহমানের বাড়িতে ভাড়া থাকত। গত রোববার সন্ধ্যায় চাঁদনীর ডাকে তার মেয়ে বাসা থেকে বের হয়। এরপর গত মঙ্গলবার সকালে খবর আসে মফিজুর রহমানের বাড়ির বারান্দায় তার মেয়ে অচেতন অবস্থায় পড়ে আছে। পরে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে স্থানীয় একটি ডায়াগনস্টিক সেন্টারে নিয়ে গেলে কর্মরত ডাক্তার তাকে মৃত ঘোষণা করেন। ভুক্তভোগীর মা অভিযোগ করে বলেন, অসৎ উদ্দেশ্যে চাঁদনী আমার মেয়েকে গত রোববার সন্ধ্যায় বাসা থেকে ডেকে নিয়ে যায়। ১৩ জুলাই সন্ধ্যা থেকে ১৫ জুলাই সকাল ১০টার মধ্যে চাঁদনীর সহায়তায় সাব্বির, কেচি রাকিব ও আশিক মিলে আমার মেয়েকে গণধর্ষণের পর হত্যা করে। কাউন্দিয়া ফাড়ি ইনচার্জ আব্দুর রহিম জানান, খবর পেয়ে ওই শিশুর লাশ ডায়াগনস্টিক সেন্টার থেকে উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। ময়না তদন্ত রিপোর্ট হাতে পেলে মৃত্যুর কারণ নিশ্চিত হওয়া যাবে। সাভার মডেল থানার তদন্ত (ওসি) হেলাল উদ্দিন বলেন, শিশু শিক্ষার্থী ধর্ষণ ও হত্যার ঘটনায় তার মা বাদী হয়ে গতকাল বুধবার সাভার মডেল থানায় একটি মামলা করেছেন। পরে পুলিশ অভিযান চালিয়ে সাব্বির হোসেন নামের এক কিশোরকে গ্রেপ্তার করে। তিনি বলেন, অভিযোগ অনুযায়ী এ ঘটনার সঙ্গে আরও ৩ জনের সম্পৃক্ততা রয়েছে।