ঢাকা সোমবার, ২৮ জুলাই ২০২৫, ১৩ শ্রাবণ ১৪৩২ | বেটা ভার্সন

সামান্য বৃষ্টিতেই পানি জমে চাঁদপুর আদালত চত্বরে

সামান্য বৃষ্টিতেই পানি জমে চাঁদপুর আদালত চত্বরে

বিচারিক সেবা নিতে চাঁদপুর জেলার আট উপজেলার শত শত মানুষ প্রতিদিন আদালত প্রাঙ্গণে আসে। কিন্তু চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত প্রাঙ্গণ সামান্য বৃষ্টিতে জলমগ্ন হয়ে পড়ে। যার ফলে সেবা নিতে আসা লোকজন, কর্মকর্তা-কর্মচারী ও আইনজীবীরা চরম ভোগিন্ততে পড়তে হচ্ছে। হেঁটে যাওয়া কিংবা দাঁড়ানোর সুযোগ নেই আদালত প্রাঙ্গনে। সেবা প্রার্থীদের দাবি দ্রুত সময় যেন আদালত প্রাঙ্গণ মাটি দিয়ে উচুঁ করে দেওয়া হয়। সরেজমিন দেখাগেছে এই দুর্ভোগের চিত্র। কথা হয় সেবা নিতে আসা বেশ কয়েকজেনের সঙ্গে। জনালেন ভোগান্তির কথা।

সদরের চান্দ্রা এলাকা থেকে মামলার কাজে আসা নাছির উদ্দিন বলেন, মামলার কাজে এসে দেখি আদালতের সামনে প্রায় হাঁটু সমান পানি। বৃষ্টি হলেই এই অবস্থার সৃষ্টি হয়। আদালতের সামনে এখন দাঁড়ানোর সুযোগ নেই।

হাজীগঞ্জ উপজেলা থেকে আসা আরেক বিচারপ্রার্থী মিজানুর রহমান বলেন, প্রতিদিন শত শত মানুষ সেবা নিতে আসেন। বিচারিক কাজ সাধারণত বিলম্বিত হয়। এই সময় লোকজন সামনের খালি জায়গায় গাছের নিচে কিছুটা হলেও অপেক্ষা করতে পারে। কিন্তু বৃষ্টি হলে আর দাঁড়ানো সম্ভব হয় না। আদালত এলাকার বাসিন্দা মনজুরুল ইসলাম তালুকদারের কথা হলে তিনি বলেন, অতিরিক্ত বৃষ্টি হওয়ার ফলে এই মাঠটি পানিতে ভরে যায়। আদালতের আশেপাশে বিভিন্ন ডোবায় যখন পানিতে পরিপূর্ণ হয় তখন ওই ডোবার পানি জমে থাকে। চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট টিনশেডের আদালতের সামনের অংশটুকু নিচু হওয়ার কারণেই বাগানে পানি জমে থাকে। এছাড়াও আদালতের আশেপাশে বিভিন্ন বাড়িঘর ও বহুতল ভবন নির্মাণ হলেও পয়নিষ্কাশন ব্যবস্থা না নেই। জলমগ্ন হওয়ার এটিও একটি কারণ। জেলা আইনজীবী সমিতির সদস্যে তোফায়েল হোসেন বলেন, চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রে আদালতের টিনশেডের সামনের অংশটি পুকুরের মতো অবস্থা হয়ে আছে। এখানে বিচারপ্রার্থীরা এসে দাঁড়ানোর অবস্থা নেই। আসামি কিংবা বিচারপ্রার্থী সবারই এখন ভোগান্তি। তিনি আরও বলেন, এই সামনের জায়গাটুকু বালু দিয়ে ভরাট করে একটু উঁচু করে দিলে বিচারপ্রার্থীর এখানে এসে দাঁড়াতে পারবে এবং বিচারপ্রার্থীদের দাঁড়ানোর জন্য একটা ঘর নির্মাণ করাও প্রয়োজন বলে মনি করি। চাঁদপুর জেলা জজ আদালতের নাজির শাহআলম বলেন, টিনশেডের সামনের অংশটি যদি বিল্ডিং করা হয়, তাহলে খালি জায়গাটি ভরাট হয়ে যাবে। এছাড়া গণপূর্ত বিভাগ মাটি দিয়ে যদি এই সামনের অংশটুকু ভরাট করে দেয়, তাহলে বিচার প্রার্থীদের আর দুর্ভোগে থাকতে হবে না।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত