সিরাজগঞ্জের যমুনা নদীর তীরে ক্রসবার তিন চায়না বাঁধ এলাকায় আধুনিক শিশুপার্ক নির্মাণের উদ্যোগ নিয়েছেন জেলা প্রশাসক মুহাম্মদ নজরুল ইসলাম। এরইমধ্যে এ উদ্যোগের প্রশংসা ছড়িয়ে পড়েছে। আর এ পার্কে আনন্দে শিশুরা সুন্দর সময় কাটাবে। তবে কবে শিশু পার্ক নির্মাণ শুরু হবে তার অপেক্ষায় এখন জেলাবাসী।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, যমুনার বুকে যমুনা সেতু নির্মাণ পরবর্তীতে আরও এক ধাপ উন্নয়নে যমুনা রেলওয়ে সেতু নির্মাণ করা হয়েছে। দেশের এ দুটি বৃহত্তম সেতুর উভয়পাড়ে এক আনন্দঘন পরিবেশের সৃষ্টি হয়েছে। এ দুটি সেতুর পূর্বপাড়ে যমুনা রিসোর্ট ও পশ্চিমপাড়ে ইকোপার্কসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান গড়ে উঠেছে। সেতু দুটি দেখার জন্য পর্যটকরাও ঘুরতে আসেন। বিশেষ করে শিশুদের এ সেতু দুটি দেখানোর জন্য নিয়ে আসেন অভিভাবকরা। ওই এলাকায় শিশুপার্ক নির্মাণ হলে সেখানে কোমলমতি শিশু কিশোররা সুন্দর পরিবেশে খেলাধুলা করতে পারবে, পরিবারের সঙ্গে সময় কাটাবে। এর নাম হবে সিরাজগঞ্জের যমুনা শিশুপার্ক।
বিশিষ্টজনেরা বলছেন, এ শিশুপার্ক ঘিরে গ্রামীণ অর্থনীতির প্রসার ঘটতে পারে এবং সরকারি তদারকিতে রক্ষণাবেক্ষণ নিশ্চিত করলে যমুনা নদীর তীরে ও জেলা শহর ঘেঁষা এ শিশুপার্ক বিশেষ আনন্দের স্থানে পরিণত হবে। এ উদ্যোগ বাস্তবায়নে গত বুধবার দুপুরের দিকে জেলা প্রশাসক কার্যালয়ে জেলা প্রশাসকের সভাপতিত্বে মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়। এ সভায় বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতারা, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র গণআন্দোলন গণঅভ্যুত্থানের ছাত্র প্রতিনিধি ও গণমাধ্যমকর্মী উপস্থিত ছিলেন। তাদের মতামত জানতে চাইলে সবাই জেলা প্রশাসকের এ উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়ে আন্তরিক ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন এবং যমুনা শিশুপার্ক নির্মাণের সবধরণের সহযোগিতার কথা জানান।
এ সময় অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) গনপতি রায়, উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. মনোয়ার হোসেন, জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক সাইদুর রহমান বাচ্চু, পৌর বিএনপির সাবেক নেতা জাহাঙ্গীর হোসেন ভুঁইয়া সেলিম, মুন্সি জাহিদ আলম, প্রেসক্লাবের সভাপতি হারুন অর রশিদ খান হাসান, জেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা মোস্তফা জামান, সাংবাদিক ফেরদৌস হাসান, জেলা জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারি অধ্যাপক মো. শহিদুল ইসলাম, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন গণঅভ্যুত্থানের ছাত্র সমন্বয়ক সজিব সরকার ও মুনতাসীর মেহেদী হাসান উপস্থিত ছিলেন।