ঢাকা মঙ্গলবার, ২৯ জুলাই ২০২৫, ১৪ শ্রাবণ ১৪৩২ | বেটা ভার্সন

ফটিকছড়িতে পাঁচদিনে তিন লাশ উদ্ধার

ফটিকছড়িতে পাঁচদিনে তিন লাশ উদ্ধার

চট্টগ্রামের ফটিকছড়িতে পাঁচ দিনের ব্যবধানে তিন ব্যক্তির লাশ উদ্ধারের ঘটনায় জনমনে এক প্রকার আতঙ্ক বিরাজ করছে। পাশাপাশি এ তিনটি মৃত্যু ঘিরে দেখা দিয়েছে নানা প্রশ্ন।

নিখোঁজের দশ দিন পর নিজ বাড়ির পাশে একটি খাল থেকে রিক্সা চালক সন্তোষের হাত পা বাঁধা অবস্থায় লাশ উদ্ধারের বিষয়টি যেমন স্থানীয়দের ভাবিয়ে তুলেছে, তেমনিভাবে মাইজভান্ডার এলাকায় যুবক আরমানের প্রশ্নবিদ্ধ ঝুলন্ত লাশ ও পুকুর থেকে বৃদ্ধের লাশ উদ্ধারের ঘটনা নানা প্রশ্নের জন্ম দিচ্ছে।

এ নিয়ে ফটিকছড়ি থানার তদন্তকারী দুই পুলিশ কর্মকর্তার সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, মাইজভান্ডার এলাকায় যুবক আরমান ফাঁসিতে ঝুলে আত্মহত্যার কথা প্রত্যক্ষদর্শীরা প্রচার করে গেলেও আত্মহত্যার উল্লেখযোগ্য তেমন আলামত লাশের শরীরে পাওয়া যায়নি। যা সন্দেহের চোখে দেখা হচ্ছে। একইভাবে পুকুর থেকে বৃদ্ধের লাশ উদ্ধারের বিষয়টি গভীরভাবে খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

অন্যদিকে, রিকশা ক্রয় নিয়ে লেনদেন, দাদন ব্যবসা ও ছিনতাই চক্রের শিকার হয়ে সন্তোষ মার্ডার হতে পারে এ তিন মোটিভ নিয়ে কাজ করার কথা জানালেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এস আই মাজহার।

এদিকে পাঁচ দিনের ব্যবধানে ফটিকছড়িতে তিনটি লাশ উদ্ধারের ঘটনাকে স্থানীয়রা আইনশৃৃঙ্খলার অবনতি হিসেবে দেখলেও পুলিশ বলেছে এগুলো বিচ্ছিন্ন ঘটনা।

উল্লেখ্য, ১৮ জুলাই উপজেলার নাজিরহাট পৌরসভার ৯নং ওয়ার্ডের শাহ চৌমুহনী এলাকায় পুকুর থেকে মো. এনাম (৬০) নামে এক বৃদ্ধের লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। এর দুই দিন পর ২০ জুলাই লেলাং ইউনিয়নের ৩ লালপুল এলাকায় খাল থেকে হাত-পা বাঁধা অবস্থায় সন্তোষ নাথ (৪০) নামে এক রিক্সা চালকের লাশ উদ্ধার করা হয়। ২২ জুলাই মাইজভান্ডার এলাকার সুইপার কলোনির একটি পরিত্যাক্ত টয়লেট থেকে আরমান নামে এক যুবকের লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।

ফটিকছড়ি থানার ওসি নুর আহমদ বলেন, প্রতিটি ঘটনা গুরুত্বের সঙ্গে তদন্ত করা হচ্ছে। রিকশা চালক সন্তোষ ও যুবক আরমান হত্যার ঘটনায় দুটি মামলা হয়েছে। এরমধ্যে সন্তোষ মার্ডারে ৪ জন এবং মাইজভান্ডারের ঘটনায় ২ জনকে গ্রেপ্তার করে রিমান্ড চাওয়া হয়েছে।

তবে পুকুর থেকে বৃদ্ধের লাশ উদ্ধারের ঘটনায় নিহতের ছেলেকে আটক করে ৫৪ ধারায় আদালতে পাঠানো হয়েছে। এ ক্ষেত্রে ময়না তদন্তের রিপোর্ট হাতে আসার পর জানা যাবে এটি পরিকল্পিত হত্যা নাকি আত্মহত্যা।

ওসি আরও বলেন, প্রাথমিক তদন্তে প্রতিটি ঘটনার পেছনে পারিবারিক ও আর্থিক বিষয় উঠে এসেছে। এর পরও পুলিশ সম্ভাব্য সব এঙ্গেল মাথায় রেখে তদন্ত কাজ চালিয়ে যাচ্ছে।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত