
চাঁপাইনবাবগঞ্জে টানা কয়েক দিনে সাপের কামড়ে মৃত্যুর সংখ্যা বেড়ে চলেছে। অন্যদিকে জেলার স্বাস্থ্যসেবা প্রদানকারী সরকারি প্রতিষ্ঠানগুলোতে নেই পর্যাপ্ত অ্যান্টিভেনম (বিষের প্রতিষেধক)। ফলে সাপের আতঙ্কে রয়েছেন সাধারণ মানুষ। একই সঙ্গে পর্যাপ্ত বিষের প্রতিষেধক না থাকায় বাড়ছে উদ্বেগও। চাঁপাইনবাবগঞ্জের ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেলা হাসপাতালে শুধুমাত্র একজন সাপে কাটা রোগিকে চিকিৎসা দেয়ার মতো অ্যান্টিভেনম রয়েছে। চাহিদার তুলনায় যথেষ্ট বিষের প্রতিষেধক মজুদ থাকার প্রশ্নেও সদুত্তর দেয়নি স্বাস্থ্য বিভাগ। সংশ্লিষ্টরা জানান, চাঁপাইনবাবগঞ্জে চলতি মাসের ১৭ দিনের ব্যবধানে সাপের কামড়ে ৬ জন মারা গেছে। এরমধ্যে সদর উপজেলায় একজন কৃষক, গোমস্তাপুর ও নাচোল উপজেলায় দু’জন করে নারীসহ মোট ৪ জন, ভোলাহাট উপজেলায় আরও একজনের মৃত্যু হয়েছে। এদের মধ্যে ৪ জন কৃষক মাঠে কাজ করার সময় বিষাক্ত সাপের কামড়ে মারা গেছেন। বাকি দু’জন নারী বাড়ির কাজ করতে গিয়ে সাপের কামড়ের শিকার হন। স্বাস্থ্য বিভাগ, পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, গত ১১ জুলাই মাঠে ঘাস কাটতে গিয়ে গোমস্তাপুর উপজেলার বাঙ্গাবাড়ি ইউনিয়নের আনন্দ দাসের ছেলে ভীম দাস ঘোষ (২৫), ১৩ জুলাই ভোলাহাট উপজেলার গোহালবাড়ি গ্রামের আইনুদ্দিনের ছেলে আব্দুর রশিদ (৪৫), পরের দিন জমিতে কৃষিকাজ করতে গিয়ে গোমস্তাপুর উপজেলার রহনপুর ইউনিয়নের মৃত নাদের আলীর ছেলে আবিদ আলী (৫৫) সাপের কামড়ে মার যান। এছাড়া বাড়ির কাজ করার সময় ২৩ জুলাই সাপের কামড়ে নাচোল উপজেলার কসবা ইউনিয়নের রেললাইনপাড়ার শাজাহানের স্ত্রী লতিফা বেগম (৪৫) ও ফতেপুর ইউনিয়নের মাধবপুরের আব্দুল্লাহীল কাফির স্ত্রী সাহিদা বেগম (৩৫) মারা যান। ২১ জুলাই সদর উপজেলার গোবরাতলা ইউনিয়নের ঘুঘুডিমা গ্রামের ইয়াসিন আলীর ছেলে আবুল কাসেম (৫০) বাড়ির কাজ করতে গেলে বিষাক্ত সাপের কামড়ে মারা যান। সংশ্লিষ্টরা জানান, এবারের বর্ষা মৌসুমে অতিরিক্ত বৃষ্টিপাত আর উজানের ঢলে চাঁপাইনবাবগঞ্জের নিম্নাঞ্চলের অধিকাংশ এলাকার আবাদি জমি ডুবে গেছে।