
ময়মনসিংহে শিশু বলৎকারকারী মাদ্রাসা শিক্ষকের স্থায়ী বহিষ্কার, শিক্ষকদের সঙ্গে মাদ্রাসার পরিচালনা কমিটির সভাপতির অসৌজন্যমূলক আচারণের জন্য ক্ষমা প্রার্থনা, শিক্ষকদের বেআইনিভাবে বহিস্কারের পাঁয়তারা বন্ধের দাবিতে মাদ্রাসা শিক্ষার্থীরা দ্বিতীয়বারের মতো ৪ দফা দাবিতে নগরীতে সমাবেশ ও মিছিল করেছেন। গতকাল মঙ্গলবার নগরীতে তারা সমাবেশ কর্মসূচি পালন করেন। দাবি আদায়ে গত কয়েক দিন থেকেই তারা কর্মসূচি পালন করে আসছেন। গত ২৬ জুলাই আন্দোলনকারীরা নগরীর জুবিলীঘাট-কালী সড়ক প্রায় ৪ ঘণ্টা অবরোধ করেন। তাদের দাবি হলো- মাওলানা আজিজুল হককে স্থায়ীভাবে বহিষ্কার করা এবং লিখিত প্রজ্ঞাপন জারি করা। গত বুধবার ২৩ জুলাই মাদ্রাসার ওস্তাদদের সঙ্গে অসৌজন্যমূলক আচরণ করার দায়ে জেলা প্রশাসককে প্রকাশ্যে মাদ্রাসা প্রাঙ্গণে এসে ক্ষমা চাওয়া। মাদ্রাসার ওস্তাদ নিয়োগের ক্ষেত্রে কমিটির কর্তৃপক্ষ একক সিদ্বান্ত নিতে পারবে না, মুরব্বিদের সঙ্গে পরামর্শ করতে হবে। যাদের পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে তাদেরকে পুর্নবহাল করতে হবে। আন্দোলনকারীদের দাবি ময়মনসিংহের ঐতিহ্যবাহী জামিয়া ফয়জুর রহমান (রহ.) বড় মসজিদ, মাদ্রাসার শিক্ষক মাওলানা আজিজুল হকের বিরুদ্ধে শিশু বলৎকার এবং অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ ছিল, যার কারণে তাকে বহিষ্কার করা হয়। কিন্তু মাদ্রাসার পরিচালনা কমিটির সভাপতি হিসেবে জেলা প্রশাসক (ডিসি) মো. মুফিদুল আলম একটি তদন্তের পর সেই বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার করে নেন। একই সঙ্গে, তিনি মাদ্রাসার অন্য দুজন শিক্ষক মুফতি মোফাজ্জল হক ও মুফতি সারোয়ার হোসেনকে পদ থেকে সরিয়ে দেন। ডিসির এই সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে গত শনিবার সকালে শিক্ষার্থীরা রাস্তায় নেমে বিক্ষোভ শুরু করে।