ঢাকা শনিবার, ১৩ ডিসেম্বর ২০২৫, ২৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ | বেটা ভার্সন

কালামপুর-সাটুরিয়া আঞ্চলিক মহাসড়ক চলাচলের অযোগ্য

কালামপুর-সাটুরিয়া আঞ্চলিক মহাসড়ক চলাচলের অযোগ্য

ঢাকার ধামরাইয়ে কালামপুর সাটুরিয়া আঞ্চলিক মহাড়কে ধীর গতিতে চলছে সড়ক উন্নয়ন কাজ। এতে ভোগান্তিতে পড়েছেন এই সড়ক দিয়ে চলাচল রত কয়েক লাখ মানুষ। এই সড়কটি দিয়ে উত্তর পশ্চিম অঞ্চলের প্রতিদিন যাত্রীবাহী গাড়ির পাশাপাশি ব্যক্তিগত গাড়ি এবং সিএনজি অটোরিকশা চলাচল করে কয়েক হাজার। সড়কের বিভিন্ন জায়গায় কাজ বাকি রেখে কাজ করায় এমন ভোগান্তি হচ্ছে মানুষের। ১৫ মিনিটের রাস্তা যেতে ঘণ্টার ও বেশি সময় লাগাসহ পড়তে হয় জ্যামে।

মানিকগঞ্জ সড়ক ও জনপদ বিভাগ সূত্রে জানা যায়, কালামপুর সাটুরিয়া আঞ্চলিক এই সড়কটি প্রশ্বস্তকরণ এবং পানি নিষ্কাশনের জন্য ডেনেজ ব্যবস্থাসহ কালামপুর বাস স্ট্যান্ড হতে সাটুরিয়া গর্জনা নর্থ পর্যন্ত ২৪ কিলোমিটার সড়কটির ২৮৬ কোটি টাকা চুক্তিতে উন্নয়নের কাজ পায় ন্যাশনাল ডেভলপমেন্ট ইঞ্জিনিয়ারিং লিমিটেড নামে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। কাজ শুরু করার প্রায় দুই বছর সময় অতিবাহিত হলে ৫০ শতাংশ সড়কটির কাজ শেষ করতে পারেনি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান।

কালামপুরের স্থানীয় বাসিন্দা শামীম হোসেন জানান, এই সড়কটি কালামপুর সাটুরিয়া আঞ্চলিক মহাসড়ক। এই সড়কটি দিয়ে প্রতিদিন কয়েক লাখ মানুষের চলাচল। বর্তমানে সড়কটি দেখে বুঝার উপায় নেই এটি একটি আঞ্চলিক মহাসড়ক। বর্তমানে সড়কটির কালামপুর, মহিষাশী বেশ কিছু অংশ দিয়ে গাড়ি চলাচলের অযোগ্য হয়ে পড়েছে। বৃষ্টিতে বিভিন্ন জায়গায় বড় বড় গর্তের সৃষ্টি হয়ে পানি জমে রয়েছে। প্রতিদিন ই ঘটছে ছোট বড় দুর্ঘটনা। সড়ক থেকে বাড়িতে যেতে লাগছে বাঁশের সাঁকো।

কালামপুর বাসস্টেশন বাজার ব্যবসায়ি দেলোয়ার হোসেন বলেন, রাস্তার কাজ করার আগেই ভালো ছিল। উন্নয়নের নামে আরও বেশি ভোগান্তি সৃষ্টি হয়েছে। ঘটছে দুর্ঘটনা। ব্যবসা বাদ দিয়ে প্রতিদিনই দুর্ঘটনাকবলিত গাড়ি ও যাত্রী সাহায্য করতেই দিন চলে যায়। রাস্তাটি বর্তমানে চলাচলের অযোগ্য হয়ে পড়েছে। এসব বিষয়ে জানতে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান ন্যাশনাল ডেভলপমেন্ট ইঞ্জিনিয়ারিং লিমিটেডের ডিপোতে গেলে প্রকল্প পরিচালকসহ কেউ কথা বলতে রাজি হয়নি।

এ ব্যাপারে নির্বাহী প্রকৌশলী সড়ক ও জনপদ বিভাগ মানিকগঞ্জ শাহারিয়ার আলম ভোগান্তির কথা স্বীকার করে ভূমি অধিগ্রহণ জটিলতাসহ ঈদে কাজ না করতে পারায় এসব সমস্যা সৃষ্টি হয়েছে দাবি করে আবহাওয়া ভালো হলে সড়কটি মেরামত করা হবে বলে জানান তিনি।

নবীনগর চন্দ্র মহাসড়কে বিভিন্ন সময় জ্যাম থাকায় বর্তমানে সড়কটি দিয়ে উত্তর বঙ্গের পরিবহন চলাচল করছে। জনগনের ভোগান্তি কমাতে দ্রুত সময়ের মধ্যে সড়কটি চলাচলের উপযোগী করে তুলবে এমনটাই দাবি স্থানীয় বাসিন্দাদের।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত