ঢাকা রোববার, ১৪ ডিসেম্বর ২০২৫, ২৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ | বেটা ভার্সন

ময়মনসিংহে জোর করে চুল কেটে দেওয়ার ঘটনায় মামলা

ময়মনসিংহে জোর করে চুল কেটে দেওয়ার ঘটনায় মামলা

‘আল্লাহ, আল্লাহ তুই দেহিস’ এই হৃদয় বিদারক আকুতি উঠে আসে ষাটোর্ধ্ব এক বৃদ্ধের কণ্ঠে, যখন তাকে প্রকাশ্যে জোরপূর্বক চুল কেটে দেওয়া হচ্ছিল। ঘটনার সেই ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ার পর সারাদেশে ব্যাপক ক্ষোভের সৃষ্টি হয়। এ ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে ভুক্তভোগীর ছেলে তারাকান্দা থানায় মামলা করেছেন। যেখানে ৭ জনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে এবং অজ্ঞাত আরও ৪-৫ জনকে আসামি করা হয়েছে। মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম) আব্দুল্লাহ আল মামুন। তিনি জানান, গতকাল শনিবার ভুক্তভোগীর পক্ষ থেকে মামলা রুজু করা হয়। মামলা করেছেন হালিম উদ্দিন আকন্দ নামের ওই বৃদ্ধের ছেলে মো. শহীদ আকন্দ।

মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়েছে, ঘটনাটি ঘটেছে চলতি বছরের ৫ জুন। ভুক্তভোগী হালিম উদ্দিন কোদালিয়া গ্রামের বাসিন্দা এবং কাশিগঞ্জ বাজার সংলগ্ন এলাকায় এই মর্মান্তিক ঘটনা সংঘটিত হয়। তারাকান্দা থানার ওসি টিপু সুলতান বলেন, ভুক্তভোগী ও তার পরিবারের সদস্যরা থানায় এসে ঘটনার বিস্তারিত জানালে, তা যাচাই-বাছাই করে মামলা গ্রহণ করা হয়েছে।

তদন্তের স্বার্থে আসামিদের নামণ্ডপরিচয় এখনই প্রকাশ করা হচ্ছে না। ঘটনার বিস্তারিত অনুসন্ধানে জানা যায়, হালিম উদ্দিন আকন্দ একজন ধর্মপ্রাণ ফকির, যিনি প্রায় ৩০ বছর ধরে তার চুল ও দাড়ি না কেটে রেখেছিলেন। তিনি জানান, হযরত শাহজালালের মাজারে যাওয়ার পর থেকেই তিনি এই প্রতিজ্ঞা পালন করে আসছিলেন। তবে স্থানীয় কিছু ব্যক্তি জোর করে তাকে রাস্তায় ধরে এনে তার চুল-দাড়ি ট্রিমার দিয়ে কেটে দেয়। এ ঘটনার প্রতিবাদে এবং দায়ীদের বিচারের দাবিতে তার ছেলে শহীদ আকন্দ থানায় মামলা করেন। তিনি জানান, ঘটনার ভিডিও ভাইরাল না হলে আমরা বুঝতেই পারতাম না কতো বড় অন্যায় হয়েছে।

আমরা দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চাই। অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম) আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, প্রকাশ্যে একজন বয়োজ্যেষ্ঠ ব্যক্তির সঙ্গে এমন অমানবিক আচরণ সভ্য সমাজে কাম্য নয়। আমরা মামলাটি গুরুত্বের সঙ্গে নিয়েছি এবং দ্রুত তদন্ত করে দোষীদের আইনের আওতায় আনা হবে।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত