
সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়া উপজেলার সোনাকান্দ বিলের মাঝখানে এবার শাপলা নয় ঘাস কলমির ফুল ফুটে উঠেছে। আর এ বিলের চত্বর এলাকায় রোপা আমন ধানের সমারোহের সৃষ্টি হয়েছে। এ দৃশ্য দেখার জন্য পড়ন্ত বিকেলে নানা বয়সের মানুষের ভীড় জমে উঠেছে বিল পাড়ে। সরেজমিন ঘুরে জেনেছি, উক্ত উপজেলার হাটিকুমরুল ইউনিয়নের আমডাঙ্গা, রশিদপুর ও উলিপুর গ্রামের মাঝখানে এই সোনাকান্দ বিল।
স্থানীয়রা বলছেন, প্রায় ৫০০ বিঘা জমি ঘিরে এই সোনাকান্দ বিল হিসেবে পরিচিত। পূর্ব পুরুষেরাও এ বিলে মাছ ধরা ও বিল পাড় এলাকায় ধানসহ নানা ফসলে চাষাবাদ করেছে। ক্রমাগতভাবে এ বিলের অনেক আয়তনও কমে গেছে এবং এ বিলের চারপাশে প্রতিবছরের ন্যায় এবারো রোপা আমন চাষ করছে কৃষকেরা। এরইমধ্যে এ রোপা আমনের সমারোহ সৃষ্টি হয়েছে। বর্ষা মৌসূমে প্রতিবছর এ বিলের মাঝখানে শাপলা ও পদ্মফুল ফুটে ওঠে। এবারও বিলের মধ্যবর্তী স্থানে কিছু সংখ্যক শাপলা ও পদ্মফুল ফুটে ওঠে। শারদীয় দুর্গাপূজা উপলক্ষে স্থানীয়রা এ ফুল তুলে বিভিন্ন স্থানে বিক্রি করে দিয়েছে। এ বিলে এবার শাপলা ও পদ্মফুল কম হওয়ায় বিলপাড়ে তেমন লোকজনও জমে ওঠেনি। তবে এবার শাপলা ও পদ্মফুল তেমন না ফুটলেও অস্বাভাবিক ঘাস কলমি ফুল ফুটে উঠেছে। স্থানীয় কৃষক নবীদুল, রাজ্জাক ও ছোরহাবসহ অনেক প্রবীণ বলেছেন, বর্ষা মৌসুমে ফুলজোড় নদীর পানিতে সোনাকান্দ বিল ভরে উঠতো। আর চলতি এ বিলে নানারকম নৌকা ও ডিঙ্গি নৌকা এবং মাছ ধরতো দিনরাতে এলাকার লোকজন এবং আর এ বিলের এখন নাব্যতাও কমে যাচ্ছে। কিন্তু কয়েকযুগ ধরে বর্ষা মৌসুমে এ বিলে পানি আসার পথ বন্ধ হওয়ায় এই পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। এ অবস্থা অব্যাহত থাকলে মরাবিল হিসেবে পরিণত হবে। তবে বর্ষার পানি না আসলেও প্রবল বৃষ্টির পানিতে ভরে ওঠে বিলের মাঝখানে। এজন্য ওই বিলে পানি প্রবেশের ব্যবস্থা গ্রহণে দাবিও জানান তারা।
এদিকে ওই ঘাস কলমি ফুল ও ধানের সমারোহ দেখার জন্য প্রতিদিনই বিলপাড়ে নানা বয়সী মানুষ আসা যাওয়া করছেন। বিশেষ করে শিক্ষার্থীসহ যুবক যুবতীরা ওই বিলের দৃশ্য সেলফিও তুলছে। সোনাকান্দ বিলের এ দৃশ্য দেখতে প্রতিদিন পড়ন্ত বিকালে ভীড় জমে ওঠে।