
ভোলায় হঠাৎ করে ডেঙ্গু জ্বরের প্রকোপ দেখা দিয়েছে। জেলার সাত উপজেলার হাসপাতাল গুলোতে গত এক মাসে ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা দ্বিগুণ হারে বৃদ্ধি পেয়েছে। স্থান সংকুলান না হওয়ায় অনেকে মশারি ছাড়া মেঝেতে অবস্থান করে চিকিৎসা সেবা নিচ্ছেন। এতে করে একদিকে যেমন ডেঙ্গু জ্বর ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা রয়েছে। অন্যদিকে রোগীরা সংক্রমণ ও অন্যান্য জটিল রোগে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকিতে রয়েছেন। এছাড়াও অতিরিক্ত রোগীর চাপ সামলে চিকিৎসক ও নার্সরা রোগীদের সঠিকভাবে সেবা দিতে হিমশিম খাচ্ছেন। হাসপাতাল সূত্র জানিয়েছে, দ্বীপ জেলা ভোলায় চলতি বছরের জুলাই মাস থেকে ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বাড়তে শুরু করে। প্রতিদিন ভোলার ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালসহ জেলার সাত উপজেলার স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স গুলোতে আক্রান্ত রোগী ভর্তি হচ্ছে। সংক্রমন বেড়ে যাওয়ায় ভোলা ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে পৃথক দুটি ডেঙ্গু ইউনিট খোলা হয়েছে। বর্তমানে সেই দুটি ইউনিটে স্থান সংকুলান না হওয়ায় বাধ্য হয়ে রোগীদের মেঝেতে চিকিৎসা নিতে হচ্ছে। ফলে ডেঙ্গু ছড়িয়ে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। এতে করে রোগী ও স্বজনদের চরম দুর্ভোগ পোহাতে হয়। জনবল সংকটের কারণে অনেক রোগীকে দীর্ঘসময় অপেক্ষা করতে হচ্ছে চিকিৎসা সেবা পাওয়ার জন্য।
হাসপাতালে রোগী ও স্বজনরা জানান, ভোলায় মশার উপদ্রব বেড়ে গিয়েছে। এতে করে ডেঙ্গু ছড়িয়ে পড়ছে জেলা জুড়ে। এর থেকে প্রতিকার পাওয়ার জন্য স্থানীয় প্রশাসনের মাধ্যমে মশার ঔষধ স্প্রে করার কথা বলছেন অনেকে। ভোলা সিভিল সার্জন দপ্তরের এক পরিসংখ্যানে দেখা যায়, মে মাসে জেলায় যেখানে ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা ছিল ৮ জন। সেখানে জুন মাসে এক লাফে তা বেড়ে ৪১ জনে দাঁড়ায়। এর পর জুলাই মাসে ৭০ জন ও আগস্টে ৭৬ জন। আর সবশেষ চলতি সেপ্টেম্বর মাসে সব রেকর্ড ছাড়িয়ে জেলায় ডেঙ্গু আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়ায় ১৫১ জনে। আর গত ৯ মাসে জেলায় ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ৩৬৮ জন। তিনি আরও জানান, গত এক সপ্তাহে কেবলমাত্র সদর জেনারেল হাসপাতালে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে ভর্তি হয়েছে ৬৫ জন।
ভোলা ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা: শেখ সুফিয়ান রুস্তম বলেন, ডেঙ্গুর জন্য যে আলাদা ওয়ার্ড রয়েছে সেখানে যায়গা সংকুলান হচ্ছে না। তাই কিছু রোগী ফ্লোরের অবস্থান করছে।