
ফেনীতে যুবককে কুপিয়ে হত্যার অভিযোগে স্ত্রীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গতকাল মঙ্গলবার জেলার দাগনভূঞা পৌরসভার জগতপুর এলাকার গফুর ভান্ডারী বাড়িতে এ হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনা স্থলে থেকে অভিযুক্ত খালেদা ইয়াসমিনকে (৩২) আটক ও নিহত আলমগী হোসেন (৪৫) এর লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য ফেনী জেনারেল হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করেছে। নিহত আলমগীর হোসেন গফুর ভান্ডারী বাড়ির আব্দুল গফুরের ছেলে। তিনি পেশায় একজন ট্রাক চালক ছিলেন। পুলিশ ও স্থানীয়রা জানায়, ২০০২ সালে পারিবারিকভাবে আলমগীরের সঙ্গে বিয়ে হয় খালেদা ইয়াসমিনের। গত কয়েক বছর ধরে নানা কারণে পারিবারিক কলহের এক পর্যায়ের নারায়নগঞ্জে আরেকটি বিয়ে করেন আলমগীর। সেই থেকে তিনি ইয়াসমিনের সঙ্গে যোগাযোগ কমিয়ে দেন। গত সোমবার রাতে আলমগীর বাড়িতে এলে সকাল সাড়ে ১০টার দিকে বাকবিতণ্ডার এক পর্যায়ে তাকে স্ত্রী ইয়াসমিন কুপিয়ে হত্যা করে।
দাগনভূঞা থানার ওসি ওয়াহেদ পারভেজ জানান, পুলিশ নিহতের লাশ উদ্ধার করে ফেনী জেনারেল হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করেছে। অভিযুক্তকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। প্রাথমিকভাবে পারিবারিক কলহের জের ধরে এই হত্যাকাণ্ড ঘটেছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।