
বিএনপির জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য সাবেক প্রতিমন্ত্রী ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু বলেছেন, গত ১৬ বছরের আন্দোলনে তারা ছিল না। তাদের নেতাদের ফাঁসি দিলেও হরতাল দিয়ে মাঠে থাকেনি। তারা আ.লীগের ভেতরে ঢুকে গেছে। গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুরে শহরের রেলগেটে পৌর এলাকার ৭টি ওয়ার্ড বিএনপির মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে তিনি এসব কথা বলেন। তিনি আরও বলেন, একটা দল নেমেছে আমাদের চেয়ারম্যান যাদের বলেন অদৃশ্য ফ্যাসিবাদ। যারা মুক্তিযুদ্ধের সময় বিরোধিতা করেছিল এবং পাকিস্তানের সহকারি বাহিনী হয়েছিল। তারা আজকে বলতে চায়, ভারত নাকি আমাদের মধ্যে ভুল বোঝাবুঝি তৈরি করে বাংলাদেশকে পাকিস্তান থেকে আলাদা করেছে।
ওই দল বলে যে, ভোট দিলে পাল্লায় ভোট পাবে আল্লায়। এটা একটা বিভ্রান্তিকর স্লোগান। ফজরের নামাজ পড়ে নারীরা নেমে গ্রামের মায়েদের ভুল পথে চালানো হচ্ছে। ১৯৫৮ সালে ইসলামিক রিপাবলিক অব পাকিস্তান করার পর ইসলামকে হাতিয়ার করে বাংলাদেশের মানুষকে শোষণ শুরু করে। আমাদের অর্থ নিয়ে পশ্চিম পাকিস্তানকে গড়ে। তখন বাঙালিরা বুঝেছিল তেলে আর জলে মিলবে না। তাই তাদের অধিকারের জন্য ৭০ এর নির্বাচনে শেখ মুজিবুর রহমানকে বাংলাদেশের মানুষ হৃদয় নিংড়িয়ে ভোট দিয়েছিল। জয়লাভ করার পরেও যখন ক্ষমতা হস্তান্তর করেনি। তখনই বাংলাদেশের মানুষ ফুসে উঠেছিল। এ দলটি একাত্তরে আমাদের মুক্তিযুদ্ধের সময় বিরোধিতা করেছিল। তারা আলবদর আল-শামস বানিয়ে বুদ্ধিজীবীদের হত্যা করেছিল। তারা ডাকসু নির্বাচনের পরে দেখলাম ওই বুদ্ধিজীবী বধ্যভূমিতে গিয়ে রবীন্দ্র সংগীত গায়।
তিনি আরও বলেন, সিরাজগঞ্জে বিএনপির নেতাকর্মী কোনোদিন রাজপথ ছেড়ে দেয়নি। ৫ আগস্ট পরিবর্তনের পরে যাদেরকে রাজপথে দেখিনি এবং হঠাৎ করে তাদের আবির্ভাব ঘটেছে। জেলা বিএনপির সহ-সভাপতি সেলিম ভুইয়ার সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন, জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক সাইদুর রহমান বাচ্চু, সহ-সভাপতি নাজমুল হাসান তালুকদার রানা, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মুন্সী জাহেদ আলম, আব্দুল্লাহ আল কায়েস, মুরাদুজ্জামান মুরাদ প্রমুখ।