
রাতের আঁধারে আলোকিত নান্দনিক ড্রাগন বাগান ঝিনাইদহে। শত শত বাতি জ্বালিয়ে চাষ চলছে। বাগান মালিকের দাবি এটি লাইটিংডোর্স পদ্ধতি। এতে আগের তুলনায় ফলন বেড়েছে। ব্যতিক্রমী এই ড্রাগন বাগান দেখতে অনেকেই ভিড় জমাচ্ছে। চারদিকে ঝুলছে শত শত বৈদ্যুতিক বাল্ব, দূর থেকে দেখলে মনে হবে এটি কোন বৈদ্যুতিক লাইট হাউজ। আর এই আলোর নিচে রয়েছে কৃষকের স্বপ্ন। এভাবেই লাইটিং পদ্ধতিতে ড্রাগন চাষ করে ব্যাপক সাড়া ফেলেছেন ঝিনাইদহের মহেশপুর উপজেলার গৌরীনাথপুর গ্রামের কৃষক নজরুল ইসলাম।
চাষি নজরুল ইসলাম জানান, রাতে ড্রাগন খেতে বৈদ্যুতিক বাল্ব জ্বালানোই ফুল ও ফল বেশি হচ্ছে। চায়না থেকে লাইট সংগ্রহ করে এ চাষ করে বেশ লাভবান হয়েছেন তিনি। ছয় বিঘা জমিতে এই লাইটিং পদ্ধতিতে ড্রাগন চাষ করে প্রতি মাসে আয় হচ্ছে লক্ষাধিক টাকা। অসময়ে উৎপাদিত এই ড্রাগন বিক্রি হচ্ছে দ্বিগুণ দামে। লাইটিং পদ্ধতিতে এ ড্রাগন চাষ দেখতে প্রতিদিন ভিড় জমান দর্শনার্থীরা। মহেশপুর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা ইয়াসমিন সুলতানা জানান, ড্রাগনের রোগবালাই দমন ও মোটাতাজাকরণের সব ধরনের পরামর্শ দিচ্ছে কৃষি বিভাগ। ঝিনাইদহে ৭০০ হেক্টর জমিতে ড্রাগন ফলের চাষ হয়েছে।