ঢাকা শনিবার, ১৩ ডিসেম্বর ২০২৫, ২৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ | বেটা ভার্সন

সিরাজগঞ্জে বেহাল সড়কে চরম দুর্ভোগ

সিরাজগঞ্জে বেহাল সড়কে চরম দুর্ভোগ

সিরাজগঞ্জ-রায়গঞ্জ আঞ্চলিক সড়কে বেহালাবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। এ সড়কের বিভিন্ন স্থানে ভয়াবহ গর্ত ও খানাখন্দের সৃষ্টি হয়েছে। দীর্ঘদিন ধরে চলাচলে চরম দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন এলাকাবাসী। সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, সড়কটি সিরাজগঞ্জ-বগুড়া পুরাতন সড়ক নামে পরিচিত রয়েছে। তবে ৮০ দশকের পর থেকে এই সড়ক সিরাজগঞ্জ-রায়গঞ্জ সড়ক নামে পরিচিত হয়ে ওঠে। এ সড়ক দিয়ে সিরাজগঞ্জ ও রায়গঞ্জ উপজেলার অর্ধশতাধিক গ্রামের মানুষসহ বিভিন্ন যানবাহন চলাচল করে প্রতিদিন।

এ জনগুরুত্বপূর্ণ সড়কের রায়গঞ্জ উপজেলার চকনুর বাজার, পাঙ্গাসী ও সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলার আলমপুরসহ বিভিন্ন স্থাানে দীর্ঘদিন ধরে খানাখন্দ ও গর্তের সৃষ্টি হয়। স্থানীয়রা বলছেন, সিরাজগঞ্জ ও রায়গঞ্জে যোগাযোগে একমাত্র এই আঞ্চলিক সড়ক। এ সড়ক দিয়ে কৃষি পণ্য সরবরাহ, শিক্ষার্থী ও হাজার হাজার মানুষ চলাচল করে। অথচ এ জনগুরুত্বপূর্ণ সড়কটি এখন খানাখন্দ ও গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। প্রায় ১ ঘণ্টার সড়ক যোগাযোগে এখন প্রায় ২ ঘন্টা সময় লাগে। অবশ্য কয়েক মাস আগে এ সড়কের বিভিন্ন স্থানে গর্ত ও খানাখন্দ মেরামত করা হয়েছিল। কিন্তু এ মেরামত কাজে আসেনি বরং আরো খানাখন্দ ও গর্তের সৃষ্টি বেশি হয়েছে। বিশেষ করে চকনুর বাজার এলাকায় ধসে যাওয়া স্থানে গভীর গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। এ গর্তের নিচে বালুর বস্তা, ইট এবং পাথর ফেলে রাস্তা মেরামতের করা হলেও ঝুঁকিমুক্ত নয়। ইতোমধ্যে অনেক ছোটখাট যানবাহন এ গর্তে দুর্ঘটনার শিকার হয়েছে এবং বড় ধরনের দুর্ঘটনার আশংকা করছে অনেকেই।

সড়কের নিচে ড্রেনেজ ব্যবস্থাা ও সংস্কার না করায় এ অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। এ সড়কে চলাচলে এখন চরম দুর্ভোগের সৃষ্টি হলেও সংশ্লিষ্ট প্রশাসন নজর দিচ্ছে না। তবে এ জনদুর্ভোগ সড়ক দ্রুত সংস্কারের দাবী জানান এলাকাবাসী। এ বিষয়ে সিরাজগঞ্জ সড়ক ও জনপথ (সওজ) বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. ইমরান ফারহান সুমেল বলেন, এ আঞ্চলিক সড়কের খানাখন্দ ও গর্ত এলাকা পরিদর্শন করা হয়েছে। ওই জনগুরুত্বপূর্ণ সড়ক দুই লেনে উন্নীত করণে একনেকে ২৮০ কোটি টাকার একটি প্রকল্প ইতোমধ্যে অনুমোদন হয়েছে। সরকারি বিধিমতে দরপত্র আহবান করা হবে। এ দরপত্রে নির্বাচিত ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান এ প্রকল্পের কাজ শুরু করবে বলে তিনি উল্লেখ করেন।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত