ঢাকা বুধবার, ১৭ ডিসেম্বর ২০২৫, ২ পৌষ ১৪৩২ | বেটা ভার্সন

দেশপ্রেমের অনুপ্রেরণায় বিজয় উদযাপন

দেশপ্রেমের অনুপ্রেরণায় বিজয় উদযাপন

৯ মাস রক্তক্ষয়ী যুদ্ধের পর ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর অর্জিত হয় চূড়ান্ত বিজয়। বিশ্বের মানচিত্রে যোগ হয় নতুন একটি দেশ, লাল সবুজের বাংলাদেশ। গতকাল মঙ্গলবার নানা আয়োজেন সারাদেশে মুক্তিযুদ্ধের বীর শহিদদের শ্রদ্ধা জানানো হয়।

শরীয়তপুর : সূর্যোদয়ের সঙ্গে সঙ্গে শরীয়তপুর কেন্দ্রীয় শহিদ মিনারে জাতীর সূর্যসন্তান শহিদ মুক্তিযোদ্ধাদের স্মরণে জেলাবাসীর পক্ষে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে শ্রদ্ধা প্রদর্শন করেন জেলা প্রশাসক তাহসিনা বেগম। পরে পর্যায়ক্রমে পুলিশ সুপার রওনক জাহান, বীর মুক্তিযোদ্ধাগন, বিভিন্ন রাজনৈতিদল ও সামাজিক সংগঠন, সাংবাদিক, শিক্ষক, শিক্ষার্থীসহ সর্বস্তরের মানুষ এবং বিভিন্ন সরকারি বেসরকারি সংগঠনের পক্ষ থেকে পুষ্পস্তবক অর্পণের মাধ্যমে শ্রদ্ধা জানানো হয়। এরপর জলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের নেতৃবৃন্দ ও জেলা প্রশাসনের প্রতিনিদিগন মহিষার গণকবর, আটিপাড়া ও মনোহর বাজার মধ্যপাড়া মুক্তিযোদ্ধা স্মৃতিস্তম্ভ জিয়ারত ও শ্রদ্ধা প্রদর্শন করেন। শরীয়তপুর বীরশ্রেষ্ঠ ল্যান্সনায়েক মুন্সি আব্দুর রউফ স্টেডিয়ামে জেলা প্রশাসন কর্তৃক আনুষ্ঠানিকভাবে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করা হয়। শরীয়তপুর জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে ২০০ জন বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সংবর্ধনা প্রদান করা হয়েছে। জেলা প্রশাসক তাহসিনা বেগমের সভাপতিত্বে সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন, সাবেক এমপি ও শরীয়তপুর জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা সরদার একে এম নাসির উদ্দিন কালু, শরীয়তপুরের পুলিশ সুপার রওনক জাহান, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) ইমরুল হাসান, সিভিল সার্জন ডা. রেহান উদ্দিন, সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ইলোরা ইয়াসমিন প্রমুখ।

রাজবাড়ী : জাতীয় পতাকা উত্তোলনের মধ্যদিয়ে বিজয় দিবসের কর্মসূচি শুরু হয়। এরপর শহিদ মুক্তিযোদ্ধা স্মৃতিফলক, শহিদ মুক্তিযোদ্ধা স্মৃতিস্তম্ভ, লোকোশেড বধ্যভূমি, বীর মুক্তিযোদ্ধা শহিদ রফিক, সফিক ও সাদিক এবং বীর মুক্তিযোদ্ধা শহিদ আব্দুল আজিজ খুশির কবরে পুষ্পস্তবক অর্পণ করা হয়।

এ সময় জেলা প্রশাসন, পুলিশ প্রশাসন, বীর মুক্তিযোদ্ধা, বিএনপিসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনের পক্ষ থেকে শহিদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয়। জেলা প্রশাসনের আয়োজনে বীর মুক্তিযোদ্ধা শহিদ খুশি রেলওয়ে মাঠে আনুষ্ঠানিকভাবে জাতীয় পতাকা উত্তোলন, বিজয় দিবসের বাণী পাঠ, বেলুন ও শান্তির প্রতীক পায়রা উড়িয়ে দিবসটির সূচনা করা হয়। অনুষ্ঠানে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের পাশাপাশি জেলার বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা কুচকাওয়াজে অংশ নেন। কুচকাওয়াজ শেষে শিক্ষার্থীরা মনোজ্ঞ শারীরিক কসরত ও ডিসপ্লে প্রদর্শন করে। দিনব্যাপী কর্মসূচির অংশ হিসেবে পরে তিন দিনব্যাপী বিজয় মেলার উদ্বোধন করা হয়। মেলায় বিভিন্ন স্টলে মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক প্রদর্শনী, সাংস্কৃতিক আয়োজন ও গ্রামীণ ঐতিহ্য তুলে ধরা হয়েছে।

নড়াইল : সূর্যোদয়ের সঙ্গে সঙ্গে ৩১ বার তোপধ্বনির মাধ্যমে দিবসের সূচনা করা হয়। এরপর জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে নড়াইল জেলা শিল্পকলা একাডেমি চত্বরে অবস্থিত শহিদ স্মৃতিস্তম্ভে জেলা প্রশাসন, পুলিশ প্রশাসন, মুক্তিযোদ্ধা সংসদ, বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি দপ্তর, রাজনৈতিক দল, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠন এবং শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে শ্রদ্ধাঞ্জলি জানানো হয়। শ্রদ্ধাঞ্জলি শেষে মহান মুক্তিযুদ্ধে শহিদদের আত্মার মাগফেরাত কামনায় এবং দেশ ও জাতির অগ্রগতি ও শান্তি কামনায় বিশেষ মোনাজাত অনুষ্ঠিত হয়।

এরপর বীরশ্রেষ্ঠ নূর মোহাম্মদ শেখ স্টেডিয়ামে দিবসের অন্যান্য কর্মসূচির মধ্যে কুচকাওয়াজ ও শরীরচর্চা প্রদর্শনী এবং বেলা ১২টায় জেলা শিল্পকলা একাডেমি হলরুমে মুক্তিযোদ্ধা ও তাদের পরিবার সদস্যদের সংবর্ধনা দেয়া হয়। এসকল কর্মসূচিতে উপস্থিত ছিলেন জেলা প্রশাসক ড. মোহাম্মদ আবদুল ছালাম, পুলিশ সুপার মোহাম্মদ আল মামুন সিকদারসহ বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি দপ্তর, রাজনৈতিক দল, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠন এবং শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। এছাড়া দিনের অন্যান্য কর্মসূচির মধ্যে ছিলো সকল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে নানা আয়োজন, সকল ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানে বিশেষ মোনাজাত ও প্রার্থনা, সন্ধ্যায় মুক্তিযুদ্ধ ভিত্তিক চলচ্চিত্র প্রদর্শন, বিকালে প্রীতি ভলিবল ও ফুটবল ম্যাচ, আলোচনা সভা, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও পুরস্কার বিতরণ।

ঝালকাঠি : জেলা প্রশাসন ও জেলা পুলিশ, বিভিন্ন রাজনৈতিক দল, জেলা পরিষদ, পৌরসভা, প্রেসক্লাব, সাংবাদিক ইউনিয়নসহ বিভিন্ন সামাজিক সাংস্কৃতিক সংগঠনের পক্ষ থেকে সকাল সাড়ে ৬ টায় পুস্পস্তাবক অর্পণের মাধ্যমে শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয়। এর আগে সূর্যোদয়ের সঙ্গে সঙ্গে ৩১ বার তোপধ্বনির মধ্য দিয়ে মহান বিজয় দিবসের কর্মসূচি শুরু হয়। সকাল ৯টায় স্থানীয় পৌর মিনি স্টেডিয়ামে আনুষ্ঠানিকভাবে জাতীয় পতাকা উত্তোলন কনে জেলা প্রশাসক মো. মোমিন উদ্দিন। এছাড়াও দিনভর কর্মসূচির মধ্যে ছিল- মুক্তিযোদ্ধাদের সংবর্ধনা, খেলাধুলা, আলোচনা সভা, শিশুদের মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক চিত্রঙ্কনসহ বিভিন্ন ধরনের প্রতিযোগিতা, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও পুরস্কার বিতরণ।

গোপালগঞ্জ : সূর্যোদয়ের সঙ্গে সঙ্গে বিভিন্ন সরকারি, আধা-সরকারি, স্বায়ত্তশাসিত এবং বেসরকারি ভবন/স্থাপনাসমূহে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করা হয়। এরপর সকাল ৬টায় দিবসের সূচনা লগ্নে ৩১বার তোপধ্বনি দেয়া হয়। সকাল সাড়ে ৮টায় জেলা শহরের লঞ্চঘাট এলাকার গোপালগঞ্জ ক্রিকেট স্টেডিয়াম সংলগ্ন স্বাধীনতা ও বিজয় স্মৃতিস্তম্ভে প্রথমে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে জেলা প্রশাসক মো. আরিফ-উজ-জামান ও পরে পুলিশ প্রশাসনের পক্ষ থেকে পুলিশ সুপার মো. হাবীবুল্লাহ শ্রদ্ধা জানান। এরপর মুক্তিযোদ্ধা সংসদ, উপজেলা প্রশাসন, জেলা পরিষদ, গোপালগঞ্জ পৌরসভা, গণপূর্ত বিভাগ, এলজিইডি, গোপালগঞ্জ চক্ষু হাসপাতাল ও প্রশিক্ষণ কেন্দ্র, সড়ক ও জনপদ বিভাগ, বিএনপি, জাকের পার্টি, এনসিপি, গোপালগঞ্জ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, গোপালগঞ্জ সরকারি কলেজ, উদীচী শিল্পীগোষ্ঠীসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক, সাংস্কৃতিক সংগঠন, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও সরকারি-বেসরকারি দপ্তরের পক্ষ থেকে পুস্পস্তবক অর্পণ করে মুক্তিযুদ্ধে আত্মদানকারী শহিদদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয়। সকাল ৯টায় গোপালগঞ্জ জেলা স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত হয় কুচকাওয়াজ। কুচকাওয়াজে জাতীয় সঙ্গীতের মাধ্যমে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করেন জেলা প্রশাসক মো. আরিফ-উজ-জামান ও পুলিশ সুপার মো. হাবীবুল্লাহ। এরপর তারা সালাম গ্রহণ করেন। পরে বেলুন ও পায়রা উড়িয়ে কুচকাওয়াজের উদ্বোধন করেন। এরপর শহরের বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা মনোজ্ঞ ও দৃষ্টিনন্দন কুচকাওয়া প্রদর্শন করে।

কুষ্টিয়া প্রতিনিধি : কালেক্টরেট চত্বরে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ৩১বার তোপধ্বনির মাধ্যমে দিনটির সুচনা করা হয়। প্রথম প্রহরে সূর্য উদয়ের সঙ্গে সঙ্গে মুক্তিযুদ্ধের স্মারক অঙ্গীকারে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান সর্বস্তরের মানুষ। সকাল ৮টায় কুষ্টিয়া জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সামনে আনুষ্ঠানিকভাবে পতাকা উত্তোলন করা হয়। এ সময় জেলা প্রশাসক ইকবাল হোসেন, পুলিশ সুপার জসিম উদ্দিনসহ মুক্তিযোদ্ধা সংসদ, বিভিন্ন রাজনৈতিক দল, সামাজিক-সাংস্কৃতিক বিভিন্ন সংগঠনসহ সর্বস্তরের মানুষ মহান মুক্তিযুদ্ধের স্মারক অঙ্গীকারে ফুলেল শ্রদ্ধাঞ্জলি নিবেদন করেন। প্রথম প্রহরে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে জেলা প্রশাসক মো. ইকবাল হোসেন, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) আব্দুল ওয়াদুদ, অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট জাহাঙ্গীর আলমসহ জেলা প্রশাসনের অন্যান্য কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন। পরে পর্যায়ক্রমে কুষ্টিয়া জেলা পুলিশের পক্ষে পুলিশ সুপার মো. জসিম উদ্দিনসহ অন্যান্য কর্মকর্তাগণ শ্রদ্ধাঞ্জলি জানান। এসময় মুক্তিযোদ্ধাদের ব্যানারে জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপার অংশগ্রহণ করেন। ফুলেল শ্রদ্ধাঞ্জলি শেষে বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সম্মাননা প্রদান করে সালাম জানান। এছাড়াও সকল শহিদদের আত্মার মাগফিরাত কামনা করে দোয়া করা হয়।

চুয়াডাঙ্গা : ৩১ বার তোপধ্বনির মধ্য দিয়ে দিবসের আনুষ্ঠানিকতা শুরু হয়। সূর্যোদয়ের সঙ্গে সঙ্গে মুক্তিযুদ্ধ স্মৃতিস্তম্ভের শহিদ বেদিতে পুষ্পমাল্য অর্পণ করা হয়। জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ কামাল হোসেন, পুলিশ সুপার মনিরুল ইসলামসহ বিভিন্ন সরকারি দপ্তর, সামাজিক ও রাজনৈতিক সংগঠনের পক্ষ থেকে শহিদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানানো হয়। এর আগে জাতীয় সংগীতের তালে তালে জাতীয় পতাকা ও মুক্তিযুদ্ধের পতাকা উত্তোলন করা হয়। পরে দেশ ও জাতির শান্তি, সমৃদ্ধি ও কল্যাণ কামনা করে বিশেষ দোয়া পরিচালনা করা হয়। সকাল সাড়ে ৮টায় চুয়াডাঙ্গা পুরাতন স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত হয় কুচকাওয়াজ। এতে জেলার বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা অংশ নেয়। কুচকাওয়াজে সালাম গ্রহণ ও পরিদর্শন করেন জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপার। বেলা ১১টায় চুয়াডাঙ্গা ডিসি সাহিত্য মঞ্চে বীর মুক্তিযোদ্ধা ও যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের সদস্যদের সংবর্ধনা প্রদান এবং আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।

টাঙ্গাইল : বিপুল উৎসাহ-উদ্দীপনায় মহান বিজয় দিবস উদযাপন করা হয়েছে। সূর্যোদয়ের সঙ্গে সঙ্গে জেলা সদরের জনসেবা চত্বরে সামনে ৩১বার তোপধ্বনি ও শহিদ স্মৃতিস্তম্ভে ফুলেল শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয়। প্রথমে জেলা প্রশাসক শরীফা হক শ্রদ্ধাঞ্জলি নিবেদন করেন। এরপর পুলিশ সুপার মুহম্মদ শামসুল আলম সরকার, জেলা পরিষদের প্রধান নির্বাহী শামসুন্নাহার স্বপ্না ও টাঙ্গাইল প্রেসক্লাব, টাঙ্গাইল প্রিণ্ট মিডিয়া অ্যাসোসিয়েশন, সরকারি-বেসরকারি বিভিন্ন দপ্তর ও প্রতিষ্ঠান, বিভিন্ন সংগঠন এবং সর্বস্তরের জনতা শহিদ স্মৃতিস্তবে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন। অন্যদিকে, টাঙ্গাইল শহিদ স্মৃতি পৌর উদ্যানের স্মৃতিস্তম্ভে একে একে জেলা বিএনপি, টাঙ্গাইল পৌরসভা, টাঙ্গাইল সাংবাদিক ইউনিয়ন, জেলা রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটি, টাঙ্গাইল নারী কল্যাণ উদ্যোক্তা ফোরামসহ বিভিন্ন সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠন এবং ব্যক্তি পর্যায়েও শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয়। পরে শহিদ মুক্তিযোদ্ধাদের স্মরণে দোয়া করা হয়। সকাল ৯টায় শহিদ মারুফ স্টেডিয়ামে আনুষ্ঠানিকভাবে জাতীয় পতাকা উত্তোলন ও স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণে শরীর চর্চা প্রদর্শন ও ডিসপ্লে প্রদর্শন করা হয়। এ সময় বিএনপির প্রচার সম্পাদক সুলতান সালাউদ্দিন টুকু, জেলা বিএনপির সভাপতি হাসানুজ্জামিল শাহীন, সাধারণ সম্পাদক ফরহাদ ইকবাল, সাবেক সদস্যসচিব মাহমুদুল হক সানু কর্মসূচিগুলোতে অংশ নেন। এছাড়া মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভা, মধ্যাহ্নভোজ, দোয়া মাহফিল ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।

চাঁদপুর : দেশের স্বাধীনতার জন্য জীবন উৎসর্গকারী বীর সন্তান শহিদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেছে চাঁদপুরের সরকারি দপ্তর, রাজনৈতিক দল, বিভিন্ন পেশাজীবী সংগঠনসহ সর্বস্তরের লোকজন। সূর্যোদয়ের সঙ্গে সঙ্গে শহরের মুক্তিযোদ্ধা সড়কে লেকের পাড়ে একত্রিশবার তোপধ্বনির মাধ্যমে দিবসের সূচনা হয়। এরপর অঙ্গীকার পাদদেশে পুষ্পস্তবক অর্পণ করা হয়। জেলা প্রশাসনের পক্ষে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন জেলা প্রশাসক (ডিসি) নাজমুল ইসলাম সরকার, জেলা পুলিশের পক্ষে পুলিশ সুপার (এসপি) রবিউল হাসান, জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের পক্ষে ডিসিসহ জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদ ইউনিটের সদস্যরা, নৌ পুলিশ চাঁদপুর অঞ্চলের পক্ষে পুলিশ সুপার (এসপি) সৈয়দ মোশফিকুর রহমান, চাঁদপুর পৌরসভার পক্ষে পৌর প্রশাসক মো. গোলাম জাকারিয়া, জেলা পরিষদের পক্ষে জেলা পরিষদের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) মো. কবির হোসেন সরদার।

নোয়াখালী : মহান বিজয় দিবস উদযাপন উপলক্ষে নোয়াখালীতে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে । জেলা প্রশাসক সফিকুল ইসলাম ও পুলিশ সুপার টিএম মোশারেফ হোসেন উপস্থিত ছিলেন। উপজেলা নির্বাহী অফিসার কায়েসুর রহমানে সভাপতিত্বে বেগমগঞ্জ মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ এমএ বারী, সন্তান কমান্ডারের জেলা সভাপতি ও উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক কামাক্ষা চন্দ দাস, পৌর বিএনপির সদস্য সচিব জহির উদ্দিন হারুন, জামায়াতের জেলা সাহিত্য সংস্কৃতির বিষয়ক সম্পাদক নাছিমুল গনি চৌধুরী মহল, উপজেলা এলাইনমেন্ট এসোসিয়েশনের সভাপতি সাহাবুদ্দিন, উপজেলার সন্তান কমান্ডারের সদস্যসচিব শাহ আলম ভূইয়া সুজনসহ মুক্তিযুদ্ধের কমান্ডাররা উপস্থিত ছিলেন।

মৌলভীবাজার : মৌলভীবাজার কেন্দ্রীয় স্মৃতিসৌধ ও গণকবরে মহান মুক্তিযুদ্ধে আত্মদানকারী বীর শহিদদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয়। মৌলভীবাজার জেলা পুলিশের পক্ষ থেকে শহিদ মিনার ও গণকবরে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন পুলিশ সুপার মোহাম্মদ বিল্লাল হোসেন মহোদয়। এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন- পুলিশ সুপার, পিবিআই (অতিরিক্ত ডিআইজি পদে পদোন্নতি প্রাপ্ত) জাফর হোসেন, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অর্থ) আসিফ মহিউদ্দীন, পিপিএম; অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম অ্যান্ড অপস) নোবেল চাকমা, পিপিএম, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) আবুল খয়েরসহ জেলা পুলিশের বিভিন্ন পদমর্যাদার সদস্যরা।

ভাণ্ডারিয়া (পিরোজপুর) : সূর্যোদয়ের সঙ্গে সঙ্গে ৩১বার তোপধ্বনির মাধ্যমে দিবসের কর্মসূচি শুরু হয়। পরে উপজেলা কেন্দ্রীয় শহিদ মীনার প্রাঙ্গনে ফুলের শ্রদ্ধা নিবেদন করেন ভান্ডারিয়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও পৌর প্রসাশক রেহেনা আক্তার, উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) উজ্জল হালদার, অফিসার-ইন-চার্জ দেওয়ান জগলুুল হাসান, উপজেলা বিএনপির সভাপতি ও পিরোজপুর-২ আসনের সংসদ সদস্য প্রার্থী আহমেদ সোহেল মঞ্জুর সুমন। এছড়া মুক্তিযুদ্ধা সংসদ, বিএনপির নেতারা, ভান্ডারিয়া প্রেসক্লাব, বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, সামাজিক সংগঠন, রাজনৈতিক দল ও তার অঙ্গ সংগঠন ফুলের শ্রদ্ধা নিবেদন করেন ।

দাউদকান্দি (কুমিল্লা) : উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে সূর্যোদয়ের সঙ্গে সঙ্গে ৩১বার তোপধ্বনির মাধ্যমে মহান বিজয় দিবসের সূচনা করা হয়। উপজেলার বিশ্বরোডে মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিস্তম্ভে পুষ্পমাল্য দিয়ে শহিদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করে বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক, সাংস্কৃতিক সংগঠন এবং শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিসহ নানা শ্রেণি-পেশার মানুষ। গতকাল মঙ্গলবার সকাল ৬.৪০ মিনিটে দাউদকান্দি উপজেলা প্রশাসনের পক্ষে উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) নাছরীন আক্তার, সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও পৌর প্রশাসক রেদওয়ান ইসলাম, দাউদকান্দি মডেল থানার ওসি মো. আব্দুল হালিম শহিদদের স্মরণে মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিস্তম্ভে পুষ্পমাল্য দিয়ে শ্রদ্ধা জানান। দাউদকান্দি মডেল থানা ও হাইওয়ে পুলিশ, উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদ, সামাজিক, সাংস্কৃতিক ও বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসহ সর্বস্তরের মানুষ ফুল দিয়ে শহিদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। এদিকে, মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে মুক্তিযুদ্ধ স্মৃতিস্তম্ভে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন উপজেলা ও পৌর বিএনপির নেতৃবৃন্দ। এ সময় বিএনপির অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতৃবৃন্দরাও শ্রদ্ধা জানান।

তাড়াইল (কিশোরগঞ্জ) : তাড়াইল উপজেলায় বীর মুক্তিযোদ্ধা, যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধা এবং শহিদ মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের সদস্যদের সম্মানে এক বর্ণাঢ্য সংবর্ধনা অনুষ্ঠান ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। মুক্তিযুদ্ধের চেতনা সমুন্নত রাখা এবং স্বাধীনতার সঠিক ইতিহাস নতুন প্রজন্মের মাঝে ছড়িয়ে দেওয়ার প্রত্যয়ে আয়োজিত এ অনুষ্ঠানে মুক্তিযোদ্ধাদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা ও কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করা হয়। গতকাল মঙ্গলবার বেলাসাড়ে ১১টায় উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে অনুষ্ঠিত এ অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তানজিলা আখতার। অনুষ্ঠানজুড়ে ছিল মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিচারণ, শহিদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন এবং মুক্তিযোদ্ধা পরিবারদের সম্মান জানানোর আবেগঘন পরিবেশ। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) জিসান আলী, উপজেলা প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা ডা. রাশেদুজ্জামান মিয়া, উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ড কাউন্সিলের আহ্বায়ক বীর মুক্তিযোদ্ধা সিদ্দিকুর রহমান এবং তাড়াইল থানা অফিসার ইনচার্জ জালাল উদ্দিন। এছাড়াও অনুষ্ঠানে উপজেলার বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তা-কর্মচারী, জনপ্রতিনিধি, শিক্ষক, সাংবাদিক, মুক্তিযোদ্ধা পরিবার এবং বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার সুধীজন উপস্থিত ছিলেন।

মির্জাগঞ্জ (পটুয়াখালী) : সূর্যোদয়ের সঙ্গে সঙ্গে ৩১বার তোপধ্বনির মধ্যদিয়ে দিবসটির সূচনা করা হয়। দিবসের প্রথম প্রহরে মুক্তিযোদ্ধা স্মৃতিফলকে পুস্পস্তবক অর্পণ করেন, উপজেলা প্রশাসন। এরপর একে একে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন, উপজেলা বিএনপি, থানা পুলিশ, ফায়ার সার্ভিস, উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স, উপজেলা যুবদল, ছাত্রদল, সেচ্ছাসেবক দল, শ্রমিক দল এবং বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক, সাংস্কৃতিক, সাংবাদিক ও পেশাজীবি সংগঠনসহ বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। পরে উপজেলা পরিষদ চত্বরে কুচকাওয়াজ ও ডিসপ্লে প্রদর্শন অনুষ্ঠানে শান্তির প্রতীক পায়রা অবমুক্ত ও রঙিন বেলুন উড়িয়ে মহান বিজয় দিবস ও বিজয় মেলা উদ্বোধন করেন, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোছা. মলিহা খানম।

মির্জাগঞ্জ থানা পুলিশ, ফায়ার সার্ভিস ও আনসার সদস্যসহ বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা কুচকাওয়াজে অংশগ্রহণ করেন। এতে উপস্থিত ছিলেন, মির্জাগঞ্জ সেনা ক্যাম্প কমান্ডার, থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. সালাম হোসেন, উপজেলা বিএনপির সভাপতি সাহাবুদ্দিন নান্নু, সিনিয়র সহ-সভাপতি আহসানউল্লাহ পিন্টু, ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক হারুন অর রশিদ মুন্সি, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক গোলাম সরোয়ার মনজু, জামায়াতে ইসলামীর আমীর মাওলানা সিরাজুল হক, উপজেলা যুবদলের যুগ্ম আহবায়ক নাছির হাওলাদার, বাবুল মুন্সি প্রমুখ। আরও উপস্থিত ছিলেন, বীর মুক্তিযোদ্ধাবৃন্দ, সাংবাদিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দসহ স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ।

মির্জাগঞ্জ (পটুয়াখালী) : সূর্যোদয়ের সঙ্গে সঙ্গে ৩১বার তোপধ্বনির মধ্যদিয়ে দিবসটির সূচনা করা হয়। দিবসের প্রথম প্রহরে মুক্তিযোদ্ধা স্মৃতিফলকে পুস্পস্তবক অর্পণ করেন, উপজেলা প্রশাসন। এরপর একে একে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন, উপজেলা বিএনপি, থানা পুলিশ, ফায়ার সার্ভিস, উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স, উপজেলা যুবদল, ছাত্রদল, সেচ্ছাসেবক দল, শ্রমিক দল এবং বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক, সাংস্কৃতিক, সাংবাদিক ও পেশাজীবি সংগঠনসহ বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। পরে উপজেলা পরিষদ চত্বরে কুচকাওয়াজ ও ডিসপ্লে প্রদর্শন অনুষ্ঠানে শান্তির প্রতীক পায়রা অবমুক্ত ও রঙিন বেলুন উড়িয়ে মহান বিজয় দিবস ও বিজয় মেলা উদ্বোধন করেন, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোছা. মলিহা খানম। মির্জাগঞ্জ থানা পুলিশ, ফায়ার সার্ভিস ও আনসার সদস্যসহ বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা কুচকাওয়াজে অংশগ্রহণ করেন। এতে উপস্থিত ছিলেন, মির্জাগঞ্জ সেনা ক্যাম্প কমান্ডার, থানা অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. সালাম হোসেন, উপজেলা বিএনপির সভাপতি সাহাবুদ্দিন নান্নু, সিনিয়র সহ-সভাপতি আহসানউল্লাহ পিন্টু, ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক হারুন অর রশিদ মুন্সি, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক গোলাম সরোয়ার মনজু, জামায়াতে ইসলামীর আমীর মাওলানা সিরাজুল হক, উপজেলা যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক নাছির হাওলাদার, বাবুল মুন্সি প্রমুখ। এসময় বীর মুক্তিযোদ্ধা, সাংবাদিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দসহ স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।

বড়াইগ্রাম (নাটোর) : নাটোরের বড়াইগ্রাম উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে পুস্পস্তবক অর্পণ, কুচকাওয়াজ, ডিসপ্লে প্রদর্শনী ও আলোচনা সভার মধ্য দিয়ে মহান বিজয় দিবস উদযাপিত হয়েছে। ইউএনও লায়লা জান্নাতুল ফেরদৌসের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে সহকারী কমিশনার (ভূমি) জুবায়ের জাহাঙ্গীর, ওসি আব্দুস ছালাম, জেলা জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারি এমপি প্রার্থী মাওলানা আব্দুল হাকিম, উপজেলা বিএনপির সাবেক সদস্য সচিব ও ইউপি চেয়ারম্যান আলী আকবর, সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক আব্দুস সালাম মোল্লা ও প্রভাষক আব্দুল আলীম উপস্থিত ছিলেন।

আদমদীঘি (বগুড়া) : আদমদীঘি উপজেলা পরিষদ চত্বরে কেন্দ্রীয় শহিদ মিনারে উপজেলা প্রাশাসন, বিএনপিসহ বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও সামাজিক সংগঠনের পক্ষ থেকে পুস্পস্তবক অর্পণ করা হয়। সকাল ৯টায় আদমদীঘি ঈশ্বর পূর্ণ জয় পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে জাতীয় পতাকা উত্তোলন, পুলিশ, ফায়ার সার্ভিস আনসার বাহিনীসহ বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের অংশগ্রহনে কুচকাওয়াজ অনুষ্ঠিত হয়। বেলা ১২টায় আদমদীঘি উপজেলা কেন্দ্রীয় শহিদ মিনার চত্ত্বরে বীর মুক্তিযোদ্ধা, শহিদ ও প্রয়াত বীর মুক্তিযোদ্ধা পরিবারদের সংবর্ধনা ও পুরস্কার দেয়া হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন উপজেলা নির্বাহি অফিসার মাসুমা বেগম। এসময় উপস্থিত ছিলেন, সহকারী কমিশনার (ভূমি) মাহমুদা সুলতানা, থানার ওমি আতাউর রহমান, উপজেলা কৃষি অফিসার রবিউল ইসলাম, ইউপি চেয়ারম্যানসহ বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তা ও রাজনৈতিক নেতারা।

ডোমার (নীলফামারী) : সূর্যোদয়ের সঙ্গে সঙ্গে ৩১বার তোপধ্বনি’র মাধ্যমে শুচনা করা হয়। মহান মুক্তিযুদ্ধে শহিদদের আত্মার প্রতি শ্রদ্ধা জ্ঞাপনার্থে হৃদয়ে স্বাধীনতা স্তম্ভে পুস্পস্তবক অর্পণ করেন উপজেলা প্রশাসন। এরপর পুলিশ প্রশাসন, বীর মুক্তিযোদ্ধা, স্বাস্থ্য বিভাগ, বিভিন্ন সরকারি বে-সরকারি দপ্তর, রাজনৈতিক দল, ডোমার প্রেস ক্লাব, ডোমার রিপোর্টার্স ক্লাবসহ শিক্ষার্থীরা পুস্পস্তবক অর্পণ করে শহিদদের প্রতি শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করেন। শ্রদ্ধা অর্পণ শেষে ডোমার হাই স্কুল মাঠে আনুষ্ঠানিকভাবে জাতীয় পতাকা উত্তোলন, জাতীয় সংগীত পরিবেশন, কুচকাওয়াজ ডিসপ্লে প্রদর্শন ও পুরস্কার বিতরণ করা হয়। এছাড়াও বীর মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের সদস্যদের সংবর্ধনা, প্রীতি ফুটবল ম্যাচ, দোয়া ও শিশুদের অংশ গ্রহণে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়েছে। এসময় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শায়লা সাঈদ তন্বী,সহকারী কমিশনার (ভূমি) মুন্না রানী চন্দ, সহকারী পুলিশ সুপার (ডোমার সার্কেল) নিয়াজ মেহেদী, উপজেলা স্বাস্থ্য ও প:প: কর্মকর্তা ডা. রায়হান বারী, ওসি মো. হাবিবুল্লাহ, উপজেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক আখতারুজ্জামান সুমন, প্রেস ক্লাব সভাপতি মোজাফ্ফর আলী প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

সোনারগাঁও (নারায়ণগঞ্জ) : যথাযথ মর্যাদায় নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁও বিজয় দিবস পালন করা হয়েছে।

উপজেলা প্রশাসক কর্তৃক সোনারগাঁও উপজেলা নির্বাহী অফিসার আসিফ আল জিনাতের সভাপতিত্বে এসময় উপস্থিত ছিলেন সহকারী কমিশনার (ভুমি) তৌফিকুর রহমান ও ফাইরুস তাসনিম, সোনারগাঁ থানার ওসি মো. মহিবুল্লাহ, উপজেলা বিএনপির সভাপতি আজহারুল ইসলাম মান্নান, উপজেলা প্রকৌশলী আলমগীর চৌধুরী, উপজেলা সিনিয়র মৎস অফিসার মাহমুদা আক্তার, কৃষি কর্মকর্তা আবু সাইদ তারেখ, মাধ্যকিক শিক্ষা অফিসার দেলোয়ার হোসেন, প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার শফিজুল ইসলাম সরকার, প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা সোহাগ ঘোষ, স্থানীয় মুক্তিযোদ্ধা, উপজেলার আনসার ও পিডিবি প্রধানরা।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত