
পদ্মা সেতুর উপর এক বাসের পেছনে অন্য বাসের ধাক্কায় তোফায়েল মিয়া (২৭) নামের বাসের এক হেলপার নিহত হয়েছে। এ ঘটনায় অন্তত আরও ১০ জন যাত্রী আহত হয়েছে। আহতদের উদ্ধার করে ঢাকা ও বিভিন্ন হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। নিহত তোফায়েল মাদারীপুর সদর উপজেলার দক্ষিণপাড়া এলাকার মৃত সেলিম মিয়ার ছেলে। তিনি শরীয়তপুরের জাজিরা উপজেলার ফকির মাহমুদ আকন কান্দি এলাকায় একটি ভাড়া বাড়িতে বসবাস করতেন।
পদ্মাসেতু দক্ষিণ থানা সূত্রে জানা গেছে, গত সোমবার রাত ২টার দিকে ঢাকা থেকে কোয়াকাটাগামী পদ্মা স্পেশাল নামের একটি যাত্রীবাহী বাস (ঢাকা মেট্রো-ব-১৫-৪৩০৮) পদ্মা সেতুর জাজিরা প্রান্তের ২৯ নম্বর পিলার বরাবর পৌঁছলে হঠাৎ থেমে যায়। এ সময় একই দিক থেকে আসা ভাঙ্গাগামী বসুমতী পরিবহন নামের একটি বাস (ঢাকা মেট্রো ব-১৫-৩৯৯৬) দাঁড়িয়ে থাকা বাসটির পেছনে ধাক্কা দিলে বসুমতি পরিবহনের বাসটির সামেনর অংশ দুমড়ে মুচড়ে যায়। এতে বসুমতি বাসে থাকা হেলপার মো. তোফায়েল মিয়া ঘটনাস্থলেই নিহত হন। এ ঘটনায় অন্তত আরও ১০জন যাত্রী মারাত্মক আহত হয়েছে। তাৎক্ষণিক আহতদের উদ্ধার করে ঢাকাসহ বিভিন্ন হাসপতালে পাঠানো হয়। তবে আহতদের পরিচয় নিশ্চিত করা যায়নি। নিহত তোফায়েলের লাশ শরীয়তপুর সদর হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে। দুর্ঘটনা কবলিত বাস সেতু কর্তৃপক্ষের রেকারে করে সেতু থেকে সড়িয়ে পদ্মাসেতু দক্ষিণ থানা হেফাজতে নেওয়া হয়। এ ব্যাপারে পদ্মা সেতু দক্ষিণ থানার ওসি শাহ আলম বলেন, আমরা খবর পেয়ে ঘটনাস্থল থেকে লাশটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য শরীয়তপুর সদর হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করি। আহতদের উদ্ধার করে ঢাকাসহ বিভিন্ন হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। সেতুর উপরে কোনো গাড়ি থামার নিয়ম নেই। তবে কিভাবে এই মর্মান্তিক দুর্ঘটনা ঘটেছে এ বিষয় তদন্ত চলছে।