
টাঙ্গাইল মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের প্রধান ফটক এলাকায় দীর্ঘদিন ধরে ময়লার স্তূপ জমে থাকায় চরম অস্বস্তিতে পড়েন হাসপাতালে আসা রোগী, স্বজন ও পথচারীরা। প্লাস্টিক, পচা, ময়লা-আবর্জনা ও মেডিকেল বর্জ্যে দুর্গন্ধ ছড়াচ্ছে চারপাশে। এতে একদিকে পরিবেশ দূষণ বাড়ছে, অন্যদিকে রোগ সংক্রমণের ঝুঁকিও তৈরি হচ্ছে। গত সোমবার (১৫ ডিসেম্বর) সকালে সরেজমিন গিয়ে দেখা যায়- হাসপাতালের পশ্চিম পার্শে মূল ফটকে ময়লার ভাগাড় সৃষ্টি হয়েছে। মশা-মাছিসহ জীবাণুবাহী নানান পোকামাকড় উড়ছে। হাসপাতালে আসা রোগীর স্বজনরা নাকে কাপড় দিয়ে হাসপাতালে প্রবেশ করছে। এছাড়া ১৫তলা ভবনের প্রতিটি সিঁড়ির মুখে পানের পিক ও রোগীদের ব্যবহৃত বাথরুম ময়লা-আবর্জনায় ভর্তি। শুধুমাত্র ব্যতিক্রম হাসপাতালের চতুর্থ তলা অবস্থিত প্রশাসনিক ভবনের ফ্লোরটি। কর্মকর্তাদের নিজস্ব তত্ত্বাবধানে এলাকাটি সবসময় পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখা হয়।
জানাগেছে, এসব বর্জ্য হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ, রোগীর স্বজন ও হাসপাতালের পাশে স্থাপিত অস্থায়ী টং দোকানীরা ময়লা ফেলে রাখে। এছাড়া হাসপাতালের পরিচ্ছন্ন কর্মীদের গাফিলতির কারণে প্রতিনিয়ত জমা হচ্ছে বিভিন্ন ধরনের ময়লা-আবর্জনা ও মেডিকেল বর্জ্য। হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে আসা রোগী ও তাদের স্বজনরা জানান, প্রবেশমুখেই এমন নোংরা পরিবেশ স্বাস্থ্যঝুঁকির কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। দ্রুত নিয়মিত বর্জ্য অপসারণ ও পরিচ্ছন্নতা নিশ্চিত করার দাবি জানিয়েছেন তারা।
হাসপাতালের বাইরে দেয়াল ঘেসে চায়ের দোকানদার রফিকুল ইসলাম, ফলের দোকানদার নিজাম, ইলিয়াছ হোসেনসহ অনেকেই জানায়, হাসপাতালে রোগীদের স্বজনরা সময় কাটানোর জন্য এ দোকানে চা পান করতে আসলেও দুর্গন্ধে তারা চা বিস্কুট খেতে অস্বস্তি বোধ করে। একারণে ইচ্ছে থাকলেও অনেক স্বজনরা পানাহারে বিরত থাকে।
স্থানীয়দের অভিযোগ, সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের অবহেলা পৌর কর্তৃপক্ষের অব্যবস্থাপনার কারণেই এই পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। এ বিষয়ে দ্রুত কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণের আহ্বান জানিয়েছেন ভুক্তভোগীরা।
টাঙ্গাইল মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক ডা. মোহাম্মদ আব্দুল কদ্দুছ জানান, হাসপাতালের ময়লা-আবর্জনা পরিষ্কার করা একটি নিয়মিত কার্যক্রম। তারপরেও দেখা যায় হাসপাতালের কিছু কিছু জায়গায় ময়লায় স্তূপ জমে যায়। হাসপাতাল পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে সর্বাত্মক চেষ্টা করা হচ্ছে। খুব শিগগিরই এ অবস্থার উন্নতি হবে।