
কক্সবাজারের ঝিলংজায় সন্ত্রাসী হামলায় গুলিবিদ্ধ যুবদল নেতা ফারুক চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন। গতকাল রোববার ভোরে চট্টগ্রামের একটি বেসরকারি হাসপাতালে তার মৃত্যু হয়। নিহত ফারুক কক্সবাজার জেলা যুবদলের রাজনীতির সঙ্গে সক্রিয়ভাবে জড়িত ছিলেন। পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, মৃত্যুকালে ফারুক গুরুতর গুলিবিদ্ধ অবস্থায় লাইফ সাপোর্টে ছিলেন। এর আগে গত ৯ ডিসেম্বর রাত আনুমানিক ৮টা ৪০ মিনিটে কক্সবাজার শহরের ঝিলংজা এলাকার উত্তরণ আবাসিক এলাকার প্রধান সড়কে চিহ্নিত সন্ত্রাসী ‘বাবু বাহিনী’র হামলার শিকার হন ফারুক ও আরেক যুবদল নেতা সাইফুল ইসলাম। সন্ত্রাসীদের ছোড়া গুলিতে দুজনই গুরুতর আহত হন।
ঘটনার পর আহতদের কক্সবাজার সদর হাসপাতালে নেওয়া হলে ফারুকের অবস্থার অবনতি হয়। পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে চট্টগ্রামে পাঠানো হয়। অপর গুলিবিদ্ধ সাইফুল ইসলাম কক্সবাজারের একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন। গুলিবিদ্ধ ফারুক ও সাইফুল ইসলাম উভয়েই বিএনপির রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত ছিলেন বলে দলীয় সূত্রে জানা গেছে। এ ঘটনায় কক্সবাজার জেলা পুলিশ এরইমধ্যে অভিযান চালিয়ে বান্দরবানের লামা উপজেলার একটি রিসোর্ট থেকে পাঁচজনকে আটক করেছে। তাদের মধ্যে দুইজন আদালতে জবানবন্দি দিয়েছেন এবং অন্যদের বিরুদ্ধে পৃথক ৫ দিনের রিমান্ড চেয়েছে পুলিশ। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা, কক্সবাজার সদর মডেল থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) চিন্ময় বড়ুয়া যুবদল নেতা ফারুক বলেন, ময়না তদন্তের শেষে পরিবারের কাছে লাশ হস্তান্তর করা হয়েছে।