ঢাকা মঙ্গলবার, ৩০ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৫ পৌষ ১৪৩২ | বেটা ভার্সন

সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি ও সহিষ্ণুতা একটি রাষ্ট্রের উন্নয়নের পূর্বশর্ত

বললেন ধর্ম উপদেষ্টা
সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি ও সহিষ্ণুতা একটি রাষ্ট্রের উন্নয়নের পূর্বশর্ত

ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ড. আ ফ ম খালিদ হোসেন বলেছেন, সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি ও সহিষ্ণুতা একটি রাষ্ট্রের উন্নয়নের পূর্বশর্ত। সামাজিক স্থিতিশীলতা নির্ভর করে সাম্প্রদায়িক সৌহার্দ্যরে ওপর। সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির বাতাবরণ ছাড়া দেশের প্রকৃত উন্নয়ন সম্ভব নয়। গতকাল সোমবার সকালে রংপুর জেলা শিল্পকলা একাডেমি মিলনায়তনে ‘টেকসই উন্নয়ন অভীষ্ট অর্জন এবং নৈতিক শিক্ষার প্রসারে মন্দিরভিত্তিক শিশু ও গণশিক্ষা কার্যক্রম’ শীর্ষক প্রকল্পের আওতায় আয়োজিত রংপুর জেলা কর্মশালা, ২০২৫ এ প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। হিন্দুধর্মীয় কল্যাণ ট্রাস্ট এই কর্মশালার আয়োজন করে।

ধর্ম উপদেষ্টা বলেন, ময়মনসিংহে দিপু চন্দ্র দাসকে হত্যার ঘটনায় আমরা প্রথম দিন থেকেই দুঃখ প্রকাশ করেছি। আমরা কখনও চাই না এই কিলিং আউটসাইড দি জুডিশিয়ারি ইট ইজ নট অ্যাক্সেপ্টেবল টু আস। ইন এনি সারকামস্ট্যান্স উই কান্ট অ্যালাউ মব জাস্টিস। তাহলে তো আর দেশ থাকবে না, সরকার থাকবে না, অ্যাডমিনিস্ট্রেশন থাকবে না, আইন যদি আমি করি, বিচার যদি আমি করি।

উপদেষ্টা আরও বলেন, কেউ যদি ধর্ম অবমাননা করে থাকে কিংবা ফেসবুক ওপেন প্ল্যাটর্ফম করে, তার জন্য আমাদের তো নির্ধারিত আইন আছে। দেশের সরকার আছে, ল এনফোর্সমেন্ট এজেন্সিজ আছে, জাস্টিস আছে, তার জন্য তার বিচার হবে। কিন্তু এটার একটা অজুহাত তুলে কোনো মানুষকে পিটিয়ে হত্যা করে, পুড়িয়ে ফেলা— এটা জঘন্যতম কাজ। এটার জন্য নিন্দা জানাই। মানুষের ঘরবাড়িতে আগুন দেওয়া, কাউকে পিটিয়ে হত্যা, এই সহিংস সংস্কৃতি পরিহার করে দেশে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠাই সরকারের লক্ষ্য।

দিপুর ওই ঘটনায় আমরা আমাদের সরকারের পক্ষ থেকে শিল্প উপদেষ্টাকে দিপুর বাড়িতে পাঠিয়েছি। দিপুর পরিবার দরিদ্র। তার পরিবারের ব্যাপারে ক্যাবিনেটেও এটা আলোচনা করেছি, দিপুর পরিবারের সমস্ত খরচ বাংলাদেশ সরকার বহন করবে।

জাতীয় সংসদ নির্বাচন প্রসঙ্গে ধর্ম উপদেষ্টা বলেন, পুরো জাতি একটা নির্বাচনের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। একটা নির্বাচনি আবহ তৈরি হয়েছে। আমরা আশা করছি, আমাদের দৃঢ় প্রত্যাশা, উৎসবমুখর পরিবেশের মধ্যদিয়ে ১২ ফেব্রুয়ারি নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে এবং যারাই ম্যান্ডেট পেয়ে রাষ্ট্রক্ষমতায় আসবেন, আমরা তাদের হাতে ক্ষমতা হস্তান্তর করে আমরা পুরোনো ঠিকানায় ফিরে যাব। এটা আমাদের কমিটমেন্ট। আমরা সেভাবেই এগোচ্ছি এবং ইলেকশন মাস্ট বি হেল্ড ফেয়ার, ফ্রি, ইমপারশিয়াল অ্যান্ড ইনক্লুসিভ হবে। এটাই আমরা সমস্ত রিটার্নিং অফিসারদের, ল এনফোর্সমেন্ট এজেন্সি যারা আছেন তাদের আমরা নির্দেশনা দিয়েছি।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন- জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ এনামুল আহসান, হিন্দু ধর্ম কল্যাণ ট্রাস্টের ভাইস চেয়ারম্যান তপন চন্দ্র মজুমদার, প্রকল্প পরিচালক নিত্য প্রকাশ বিশ্বাসসহ হিন্দু ধর্মীয় কল্যাণ ট্রাস্টের অন্যান্য কর্মকর্তারা। উল্লেখ্য, এই প্রকল্পের অধীনে সারাদেশে ৭,৪০০টি মন্দিরভিত্তিক শিক্ষাকেন্দ্র পরিচালিত হচ্ছে, যার মাধ্যমে প্রতিবছর ২ লাখ ২২ হাজার শিক্ষার্থী শিক্ষা গ্রহণের সুযোগ পাচ্ছে। রংপুর জেলায় এই প্রকল্পের ১৪৯টি কেন্দ্র রয়েছে। এই প্রকল্প শিক্ষা প্রসারের পাশাপাশি নারীর ক্ষমতায়ন ও কর্মসংস্থান সৃষ্টিতেও সহায়ক ভূমিকা পালন করছে।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত