ঢাকা শুক্রবার, ০৫ ডিসেম্বর ২০২৫, ২০ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ | বেটা ভার্সন

রাবার চাষ খাতের উন্নয়নে যথাযথ ব্যবস্থা চাই

রেজাউল করিম খোকন
রাবার চাষ খাতের উন্নয়নে যথাযথ ব্যবস্থা চাই

আমাদের দেশের রাবার শিল্প ধীরে ধীরে হলেও সামনের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। জাতীয় অর্থনীতিতে রাবার শিল্প এরইমধ্যে বিশেষ অবদান রাখতে শুরু করেছে। দেশে উৎপাদিত উন্নতমানের রাবার দেশের চাহিদা পূরণ করে বিদেশেও রপ্তানি করা হচ্ছে। রাবার এমন একটি মূল্যবান অর্থকরী সম্পদ যার বিভিন্ন ধরনের ব্যবহার রযেছে। রাবার গাছের কষ থেকে রাবার উৎপন্ন হয়। রাবার শিল্পচাষ মূলত বিদেশ থেকে এদেশে এসেছে। বিংশ শতাব্দীর শুরুর দিকে ব্রিটিশদের মাধ্যমে বাংলাদেশে প্রথম রাবার চাষ শুরু হয়। বর্তমানে দেশের বিভিন্ন স্থানে বাণিজ্যিকভিত্তিতে রাবার চাষ হচ্ছে। এসব স্থানের মধ্যে রয়েছে চট্টগ্রামের রামু, রাউজান, ডাবুয়া, হলুদিয়া, কাঞ্চননগর, তারাখো, দাঁতমারা, সিলেটের ভাটেরা, সাতগাঁও, রূপাইছড়া, শাহাজী বাজার, টাঙ্গাইলের মধুপুর, শেরপুর, খাগড়াছড়ি, বান্দরবানসহ বিস্তীর্ণ এলাকা। ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের বরাবরে ইজারা প্রদানের মাধ্যমে চট্টগ্রাম, পার্বত্য চট্টগ্রামের বান্দরবান, খাগড়াছড়ি, রাঙ্গামাটি ও কক্সবাজারে রাবার বাগান সৃজন করা হয়েছে। টাঙ্গাইল, ময়মনসিংহ ও মধুপুরেও রাবার বাগান রয়েছে। এ যাবত প্রাপ্ত তথ্যানুযায়ী সারা দেশে প্রায় এক লাখ একর জমিতে রাবার বাগান রয়েছে। মোট রাবার ইন্ড্রাস্ট্রির সংখ্যা স্বাধীনতার পূর্বে ১০-১৫টি ফ্যাক্টরি ছিল। স্বাধীনতার পর ৪০০ ক্ষুদ্র ও মাঝারি ফ্যাক্টরি প্রাইভেট সেক্টরের মাধ্যমে প্রতিষ্ঠিত হয়। বাংলাদেশের রাবার উৎপাদনের কারণে ওই সমস্ত শিল্প প্রতিষ্ঠান প্রতিষ্ঠিত হয়। বিগত বছরগুলোতে বাংলাদেশে রাবারের চাহিদা বেড়েই চলেছে।

বর্তমানে রাবার দিয়ে সারা বিশ্বে ১ লাখ ২০ হাজার ধরনের দ্রব্যসামগ্রী তৈরি হচ্ছে। রাবার দিয়ে প্রধানত গাড়ির চাকার টায়ার, টিউব, জুতার সোল, স্যান্ডেল, ফোম রেক্সিন, হোসপাইপ, গাম, খেলনা, শিল্প-কারখানার দ্রব্যসামগ্রী চিকিৎসাশাস্ত্রের বিভিন্নসামগ্রীসহ গৃহস্থলী কাজের ব্যবহৃত বিভিন্ন দ্রব্যসামগ্রী তৈরি হচ্ছে।

শতকরা ৬০ শতাংশ কাঁচা রাবার দেশের অভ্যন্তরে ব্যবহৃত হয়, অবশিষ্ট শতকরা ৪০ শতাংশ রাবারভিত্তিক শিল্প প্রতিষ্ঠানের ব্যবহারের নিমিত্তে বিদেশে অর্থাৎ মূলতঃ ভারত ও ভিয়েতনামে রপ্তানি করা হয়। রাবার গাছের গড় আয়ু ৩২-৩৪ বছর। এরপর পুরোনো গাছ ফার্ণিচারের কাঠ হিসেবে ব্যবহৃত হয়। প্রতিটি গাছ হতে ৫-৮ ঘনফুট কাঠ পাওয়া যায়। আগে রাবার গাছ জ্বালানি হিসেবে ব্যবহার করা হতো। বর্তমানে বিএফআইডিসি রাবার গাছগুলো বৈজ্ঞানিক প্রযুক্তি ব্যবহার করে উন্নত মানের আসবাবপত্র যেমন- দরজা-জানালা তৈরি করে, যা উন্নত গুণগত মানের ও টেকসই। বাংলাদেশ রাবার চাষে নবীন হলেও এর ভূ-প্রকৃতি, জলবায়ু, পরিবেশ সহায়ক ও আর্থসামাজিক প্রয়োজনে রাবার চাষের গুরুত্ব অপরীসিম। দেশে রাবার চাষের মাধ্যমে দ্রুত বনায়ন, বনায়নের মাধ্যমে বিস্তীর্ণ এলাকার ভূমিক্ষয় রোধ, বিপুল কর্মসংস্থান, বিদেশে রপ্তানীর মাধ্যমে বৈদেশিক আয়ের ব্যবস্থাসহ প্রভূত কল্যাণ সাধন হবে। বাংলাদেশের রাবার চাষকে লাভজনক করা, জনসাধারণের অংশীদারিত্বের সুযোগ তৈরি করে দেওয়া, রাবার চাষিদের সহযোগিতা প্রদানের জন্য ভবিষ্যৎ উন্নয়ন পরিকল্পনা প্রণয়ন ও বাস্তবায়নের জন্য সরকার ২০১৩ সালে বাংলাদেশ রাবার বোর্ড প্রতিষ্ঠিত করে। বাংলাদেশ এর মাটি ও জলবায়ু রাবার চাষের জন্য অত্যন্ত উপযোগী। রাবার উৎপাদন মূলত কয়েকটি বিষয়ের উপর নির্ভরশীল। ট্যাপিং এলাকা, গাছের ফলন, ট্যাপিং এর জন্য কৃষকদের উদ্যোগ ইত্যাদি। প্রাকৃতিক রাবারের ট্যাপিং এলাকা, চারা রোপণ এলাকা থেকে সম্পূর্ণ আলাদা। সাধারণ একটি গাছ ল্যাটেক্স উৎপাদনের সক্ষমতা অর্জন করার জন্য ৫-৬ বছর সময় প্রয়োজন হয়। প্রথম দিকে ল্যাটেক্স উৎপাদনের হার কম থাকে। বছর বছর এটি বাড়ে। সম্পূর্ণ ফলন প্রাপ্তির জন্য ১০ বছর পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হয় এবং এরপর ২০-৩০ বছর পর্যন্ত ল্যাটেক্স পাওয়া হয়।

রাবার চাষের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ দিক হলো রাবার গাছ পরিবেশবান্ধব। রাবার গাছ অন্যান্য সাধারণ গাছের চাইতে তিনগুণ বেশি কার্বনডাই অক্সাইড শোষণ করে। এটি একটি যৌক্তিক ভিত্তি যার মাধ্যমে বৈশ্বিক কার্বন ট্রেডিং অ্যান্ড এনভায়রনমেন্টাল ফা- থেকে বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন করা সম্ভব। পাম ওয়েল উৎপাদনকারী দেশগুলোর মাধ্যমে পরিবেশ ও জীব-বৈচিত্র্যের উপরে যে বিরূপ প্রভাবের প্রতিফলন ঘটছে, বাংলাদেশের রাবার উৎপাদন বৃদ্ধির মাধ্যমে পরিবেশ ও প্রতিবেশের ওই সব বিরূপ প্রভাবের অবসান ঘটিয়ে ক্ষতিকারক কার্বনের পরিমাণ শূন্যের কোঠায় নামিয়ে আনা সম্ভব হবে। রাবার গাছ অনুর্বর পতিত জমিতে জন্মায়। এছাড়া পাহাড়ি জমিতে রাবার চাষ ভালো হয়। আমাদের দেশে প্রচুর ন্যাড়া পাহাড় রয়েছে। বনবিভাগের আওতায় অনেক পাহাড় আছে যেখানে বনায়ণ করা হয়নি। ওই সব পাহাড়ে রাবার চাষ করা হলে একদিকে পরিবেশের জন্য সুফল বয়ে আনবে অন্যদিকে জলবায়ু পরিবর্তনজনিত কারণে যে সব ঝুঁকি রয়েছে যেমন- খরা, অতিবৃষ্টি, ভূমিরক্ষা, বন্যা এ সব প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবিলা করা সহজ হবে। দ্রুত বনায়ণের জন্য দ্রুত বর্ধনশীল হিসেবে এ প্রজাতির জুড়ি নেই। এটি বৈশ্বিক উষ্ণতা কমাতে সাহায্য করে, কার্বন শোষণের মাধ্যমে সবুজায়ণ করে।

রাবার চাষের উন্নয়ন হলে রাবার বাগানে দরিদ্র জনগোষ্ঠির কর্মসংস্থান হবে। প্রত্যন্ত অঞ্চলের পাহাড়ি, বাঙালি নারীরা কাজে নিয়োজিত হতে পারে, তাদের অর্থনৈতিক অবস্থার উন্নয়ন হবে ও নারীর ক্ষমতায়নের পথ সুগম হবে। দেশীয় কাঁচা রাবার যখন শিল্প প্রতিষ্ঠানে ব্যবহার হবে, হাজার হাজার শিল্পপণ্য উৎপাদনে অনেকে কর্মসংস্থান হবে। রাবারভিত্তিক শিল্প প্রতিষ্ঠানে ব্যাপক কর্মসংস্থান সম্ভব। শুধুমাত্র শিল্প প্রতিষ্ঠানে নয়, বিশেষজ্ঞদের মতে, প্রতি ২৫ একরের রাবার বাগানে ১০ জন লোকের কর্মসংস্থান হয়। রাবার চাষের অথনৈতিক অবদান পরিবেশের উপরে ইতিবাচক প্রভাব বিবেচনায় অতীতে রাবার চাষের উপরে যে গুরুত্বারোপ করা হয়েছিল তাতে ব্যাপক জনগোষ্ঠী জড়িত হয়, তবে গত এক দশক ধরে এটি নানা জটিলতার সম্মুখীন হয়ে পড়ায় ব্যবসায়ীরা নিরুৎসাহিত হয়ে পড়লেও রাবার বোর্ড গঠিত হওয়ায় পুনরায় তাদের মধ্যে নতুন উদ্যমে কাজ করার আগ্রহ সৃষ্টি হয়েছে।

প্রকৃতপক্ষে রাবার চাষ অত্যন্ত সম্ভাবনাময় একটি খাত। এই খাতের মাধ্যমে পরিবেশের জন্য এবং দরিদ্র জনগোষ্ঠীর জন্য ব্যাপক অবদান রাখা সম্ভব। সরকারি জমি লিজ গ্রহীতাদের একটা বিরাট গ্রুপ রয়েছে যারা অনেকটা হতাশায় ভুগছেন। তাদের আবার অনুপ্রাণিত করে তাদের ব্যক্তিগত ব্যবসার প্রসার ও একই সঙ্গে দেশের অর্থনীতিতে অবদান রাখতে সহায়তা করা সম্ভব হবে। শত শত একর খালি পাহাড়ি জমি ও অন্যান্য পতিত জমি রাবার চাষের আওতাভুক্ত করে জমির সর্বোচ্চ ব্যবহার নিশ্চিত করে সবুজায়ণের মাধ্যমে জলবায়ু পরিবর্তনজনিত ঝুঁকি মোকাবিলায় অবদান রাখা যাবে। এর জন্য প্রয়োজন সঠিক পরিকল্পনা ও সংশ্লিষ্টদের সহযোগিতা। বিদ্যমান সমস্যাগুলো কাটিয়ে উঠতে পারলে রাবার উৎপাদনে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জন করা এবং রাবারের মাধ্যমে বিপুল পরিমাণ বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন শুধুমাত্র সময়ের ব্যাপার। দারুণ সম্ভাবনাময় রাবার চাষ খাতকে নিশ্চিত ধ্বংসের হাত থেকে রক্ষা করতে হবে।

বর্তমান সময়ে যখন অর্থনীতি, ব্যবসা, বাণিজ্য, শিল্প উৎপাদন বিপর্যস্ত, ধ্বংসপ্রাপ্ত তেমন প্রেক্ষাপটে শ্রমঘন, বৈদেশিক মুদ্রাসাশ্রয়ী ও পরিবেশবান্ধব রাবার চাষকে বাঁচানোর জন্য বাংলাদেশ রবার গার্ডেন ওনার্স অ্যাসোয়িশেন যথাযথ প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানিয়েছে। এ লক্ষ্যে রাবারের উপর আরোপিত ভ্যাট প্রত্যহার, বাগান হস্তান্তর ও নবায়ণ সহজীকরণ এবং ব্যাংক ঋণ চালুসহ বিভিন্ন দাবি রয়েছে সংগঠনটির। রাবার বাগান মালিকরা রাবার উৎপাদনে আগ্রহী হওয়ার জন্য বাংলাদেশ রাবার বোর্ড রাবার চাষিদের স্বার্থ সংরক্ষণ, কর্মকর্তা-কর্মচারীদের প্রশিক্ষণ উৎপাদিত রাবারের মান উন্নয়ন, বিপণন, ভবিষ্যতে রপ্তানির সুযোগ সৃষ্টি করা এবং রাবারের আন্তর্জাতিক মূল্যের সঙ্গে সমন্বয় করে দেশীয় রাবারের বাজার মূল্য যৌক্তিক পর্যায়ে রাখার স্বার্থে জাতীয় রাবার নীতি সংশোধনের জন্য সরকারের কাছে দাবি জানিয়ে আসছেন।

রাবার শিল্পের উন্নয়নে রাবার গবেষণা ইনস্টিটিউট স্থাপন করা প্রয়োজন। রাবার শিল্পে বিরাজমান সমস্যা সমাধানে এবং এর উন্নয়নের ব্যাপারে অভিজ্ঞ লোকের অভাব থাকায় বিদেশ থেকে রাবার বিশেষজ্ঞ আনার প্রয়োজন রয়েছে। রাবার চাষের ব্যাপারে রাবার চাষিরা সব সময় আর্থিক সংকটে ভুগেন। তারা মূলধন সমস্যার কারণে রাবার বাগান এর উন্নয়ন এবং মানসম্মত রাবার উৎপাদনে ব্যর্থ হচ্ছে। রাবার বাগান মালিকদের জন্য সরকার যে ঋণের ব্যবস্থা রেখেছিল তাও এখন বন্ধ রয়েছে। রাবার বাগান মালিকদের সহজ শর্তে ঋণ প্রদানের ব্যবস্থা করতে হবে।

বর্তমানে প্রতি বাগানে ২৫ একর জায়গায় রাবার চাষ করা হচ্ছে। সেখানে এর পরিধি বৃদ্ধি করে ১০০ একর করতে হবে। তাছাড়া আমাদের দেশের যেসব স্থানে এখানো পর্যন্ত রাবার চাষ করা হয়নি, সেসব স্থানে রাবার বাগান প্রতিষ্ঠার উদ্যোগ নিতে হবে। রাবার প্রসেসিং করার জন্য পৃথক পৃথক উন্নত প্রসেসিং প্ল্যান্ট সরকারি উদ্যোগে স্থাপন করতে হবে। এতে করে রাবারের উৎপাদন বৃদ্ধি পাবে এবং মানসম্মত রাবার পাওয়া যাবে। রাবার গাছকে প্রক্রিয়াজাত করে মূল্যবান আসবাবপত্র তৈরির মাধ্যমে শতশত কোটি টাকা আয় করা সম্ভব হবে। রাবার শিল্পের সঙ্গে রাবার গাছের কাঠও দেশের জন্য বিশাল সম্ভাবনা নিয়ে আসতে পারে। এতে করে এই সেক্টরে আগামী ১০ বছরে প্রায় পাঁচ লাখ লোকের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা হবে। রাবার চাষ আর্থিকভাবে লাভজনক করার জন্য রাবার বাগানের চারপার্শ্বে বনজ, ফলজ এবং বাগানের ভেতরে মৎস্য চাষ, হাঁস-মুরগি, ছাগল, ভেড়া, গরুর খামার গড়ে তোলা সম্ভব।

সরকারি ও বেসরকারি খাতে বাংলাদেশে বর্তমান লক্ষাধিক একর জমিতে শ্রমঘন, পরিবেশ বান্ধব, বৈদেশিক মুদ্রা সাশ্রয়ী রাবার চাষ হচ্ছে। বিশ্ববাজারে দরপতন, অবাধ আমদানি আর দেশীয় বাজারে রাবার বিক্রিতে অস্বাভাবিক কর আরোপ ইত্যাদি কারণে বর্তমানে এই খাতকে ধ্বংসের মুখে ঠেলে দিয়েছে। এখন মাঠপর্যায়ে বিক্রয়কৃত রাবারের মূল্য উৎপাদন খরচের চেয়ে অনেক কম হওয়া মারাত্মক ক্ষতির মুখের পড়ছেন প্রান্তিক রাবার চাষিরা এরকম ক্রমাগত ক্ষতির ধকল সামলাতে রীতিমত হিমশিম খেয়ে যাচ্ছেন তারা। এভাবে তাদের পক্ষে টিকে থাকাটাই মারাত্মক চ্যালেঞ্জ হয়ে উঠেছে। এর মাধ্যমে দেশের একটি সম্ভাবনাময় খাত এবং পার্বত্য জেলা বান্দরবানের উৎপাদিত প্রধানতম একটি পণ্য রাবার চিরতরে ধ্বংস হয়ে দেশ অচিরেই সম্পূর্ণ রাবার আমদানিনির্ভর হয়ে পড়বে বলে আশঙ্কা করছেন সংশ্লিষ্ট সবাই। অপরদিকে রাবার চাষ ও রাবার শিল্পের উপর নির্ভরশীল চাষি, শ্রমিক, কর্মচারী, রাবার বাগান মালিক- সবাই তাদের রুটি-রুজির সুযোগ হারিয়ে পথে বসবে। জরুরিভাবে এই সম্ভাবনাময় শ্রমঘন, পরিবেশবন্ধব, বৈদেশিক মুদ্রা সাশ্রয়ী খাতটিকে সুরক্ষার জন্য সরকারের ঊর্ধ্বতন মহলে সুদৃষ্টি দেওয়া প্রয়োজন। বাংলাদেশে দারুণ সম্ভাবনাময় পরিবেশবান্ধব রাবার চাষ খাতটিকে ধ্বংসের হাত থেকে রক্ষা করতে সরকারি সংশ্লিষ্ট মহলের সুদৃষ্টি প্রদান এখন সময়ের দাবি হয়ে উঠেছে।

লেখক : অবসরপ্রাপ্ত ব্যাংকার, কলাম লেখক

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত