প্রিয়াঙ্কা চৌধুরী গত ১৯ এপ্রিল নেপালে অনুষ্ঠিত (দুই বাংলার গ্ল্যামার প্রতিযোগিতা) ‘বর্ষা সুন্দরী’ সিজন ফোর ‘অপরূপা’ প্রতিযোগিতায় সর্বশেষ গ্র্যান্ড ফিনালেতে আসা দশজনের মধ্যে চ্যাম্পিয়ন হয়েছেন। অল্প কিছুদিনের মধ্যেই রাজধানীর ‘এআইইউবি’তে তিনি তার বিশ্ববিদ্যালয় জীবন শুরু করতে যাচ্ছেন। তবে প্রিয়াঙ্কা চৌধুরী’র স্বপ্ন পড়াশুনার পাশাপাশি ভালো ভালো গল্পের নাটকে অভিনয় করার। যদিও বা এখনও নাটকে তার কাজ করা শুরু হয়নি। অপেক্ষায় আছেন একটি ভালো গল্পের, ভালো নির্মাতার এবং নিজের মনের মতো একজন সহশিল্পীর বিপরীতে অভিনয় করার। প্রিয়াঙ্কা চৌধুরীর বিশ্বাস হয়তো কিছুদিনের মধ্যেই তিনি সেই সুযোগটিও পেয়ে যাবেন। এরইমধ্যে প্রিয়াঙ্কা রাসেল শিকদার, অংকুরের পরিচালনায় বেশ কয়েকটি বিজ্ঞাপনেও মডেল হিসেবে কাজ করেছেন। একটি প্রতিষ্ঠানের বাটার, এসএমসি ড্রিংক ওয়াটারসহ আরও বেশকিছু বিজ্ঞাপনে মডেল হিসেবে কাজ করেছেন তিনি। পাশাপাশি রাজধানীর গুলশানে অবস্থিত সেলিব্রিটিস চয়েজ’ ফ্যাশন হাউজের মডেল হিসেবে কাজ করেছেন তিনি। ‘সেলিব্রিটিস চয়েজ’ ছাড়াও আরো কয়েকটি প্রতিথযশা ফ্যাশন হাউজেরও মডেল হয়েছেন তিনি। এস হাউজের পণ্যের প্রচরণায় ফটোশ্যুটেই শুধু অংশগ্রহণ করেছেন প্রিয়াঙ্কা। প্রিয়াঙ্কার বাবা ও মায়ের স্বপ্ন সে যেন মিডিয়াতে নিজের মেধাকে কাজে লাগিয়ে একদিন বড় একজন অভিনেত্রী হতে পারে। আগামীর স্বপ্ন নিয়ে প্রিয়াঙ্কা বলেন, ‘আমাদের ইন্ডাষ্ট্রির অনেক প্রিয় প্রিয় শিল্পীর অভিনয়ই আমি দেখেছি। তাদের অভিনয় দেখে দেখে নিজের মনের মধ্যে স্বপ্ন বুনেছি একদিন আমিও অভিনয় করবো, তাদের মতো বড় শিল্পী হবো। সেই স্বপ্ন নিয়েই একটি প্লাটফরমের মধ্যদিয়ে নিজের মেধাকে ও সৌন্দর্য্যকে কিছুটা হলেও প্রমাণ করতে পেরেছি বর্ষা সুন্দরী অপরূপার মাধ্যমে।
আমি জানি এখানে কাজ করতে হলে অনেক ধৈর্য্য ধরতে হয়, কষ্ট করতে হয়, শ্রম দিতে হয়। আমি মানসিকভাবে নিজেকে সেভাবেই প্রস্তুত করছি। এরইমধ্যে অনেক প্রতিষ্ঠান আমাকে তাদের প্রতিষ্ঠানের কাজ করার মধ্যদিয়ে আগামীর পথে এগিয়ে নিয়ে যাবার অুনপ্রেরণা দিয়েছে। যারমধ্যে বিশেষত উল্লেখযোগ্য হচ্ছে সেলিব্রিটিস চয়েজ। আমার বিশ্বাস ভালো গল্প পেলে এবং মনের মতো চরিত্র পেলে আমি নিজেকে যথাযথভাবে উপস্থাপন করতে পারবো। বাকিটা সময়ই বলে দিবে।’ প্রিয়াঙ্কা চৌধুরীর জন্মদিন ১০ জুন। এবারের জন্মদিনটা তার জীবনের অন্যান্য জন্মদিনের চেয়ে অনেক বর্ণাঢ্য হবে, সবার পরম ভালোবাসায় কাটবে-এমনটাই বিশ্বাস প্রিয়াঙ্কার।