কখনও তাকে মায়ের চরিত্রে, কখনও তাকে বোনের চরিত্রে অভিনয়ে দেখা যায়। তবে দর্শক তাকে বিগত কয়েক বছরে বহু নাটকে মায়ের চরিত্রে অভিনয়ে দেখতে দেখতে তাকে মা চরিত্রে অভিনয়ে দেখতেই স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করেন। রেশমার ভাষ্যমতে, এই সময়ে তিনি প্রতি মাসে বিশটি একক নাটকে অভিনয় করেন। যদিও তা শুনে অবাক হবারই মতো কথা। কিন্তু এটাই সত্যি। যে কারণে তাকে প্রতি মাসেই ভীষণ কষ্ট করতে হয়। রেশমা তার জীবনের প্রয়োজনেই প্রতিনিয়ত এতো কষ্ট করেন। শুধু যে একক নাটকে তিনি অভিনয় করেন এমনটি নয়। ধারাবাহিক নাটকেও তিনি অভিনয় করেন। নির্মাতারা তাকে বেশ আগ্রহের সঙ্গেই নাটকের গুরুত্বপূর্ণ চরিত্রে অভিনয়ের সুযোগ করে দেন। কারণ বিশেষত মায়ের চরিত্রে এবং যেকোনো ধরনের চ্যালেঞ্জিং চরিত্রে অনবদ্য রেশমা আহমেদ। রেশমা আহমেদ আজ থেকে রাজধানীর অদূরে পূবাইলে অরণ্য আনোয়ারের নতুন ধারাবাহিক নাটক ‘ফ্রম নোয়াখালী’ নাটকে অভিনয় শুরু করবেন। এছাড়াও এরইমধ্যে সনজিত সরকারের নতুন ধারাবাহিক ‘ম্যানেজ মাস্টার’, রুমান রুনির ‘গিট্টু’, ফরিদুল হাসানের ‘ফাপড়’ ধারাবাহিকে অভিনয় করছেন। এছাড়াও বিভিন্ন চ্যানেলে প্রচার চলছে কায়সার আহমেদের ‘গোলমাল’ ও নাসিরুদ্দিন মাসুদের ‘টাট্টুঘোড়ার দল’। এরইমধ্যে তারেক মাহমুদ সুমনের নির্দেশনায় ‘প্রাইম ব্যাংকের বিজ্ঞাপনে মডেল হিসেবে মায়ের চরিত্রে অভিনয় করে বেশ প্রশংসিত হচ্ছেন রেশমা আহমেদ।
রেশমা আহমেদ বলেন, ‘আমার জীবনটা অনেক চ্যালেঞ্জিং একটা জীবন। অনেকটা শখের বশেই অভিনয় শুরু করেছিলাম। আর এখন অভিনয়ই আমার পেশা। প্রতিনিয়ত কাজের যে চাপ জীবনের প্রয়োজনেই এই চাপ মেনে নিচ্ছি। শুধুমাত্র পরিবারের কথা মাথায় রেখেই নিরলসভাবে শ্রম দিয়ে কাজ করে যাচ্ছি। অনেক সময়ই গল্প বাছাইয়ের সময় সুযোগ থাকেনা। তারপরও ব্যতিক্রম ধরনের গল্প পেলে অভিনয় করতেও ভালোলাগে। দর্শকের কাছ থেকে অভূতপূর্ব সাড়া পাই। দর্শকের এই ভালোবাসার তুলনা হয় না। এটাও সত্যি যে দর্শক অনুপ্রেরণা না দিলে এতোদূর এগিয়ে আসা আমার পক্ষে সম্ভব হতো না। আমি মনেকরি প্রযোজক পরিচালকদের আগ্রহ, আমার অনেক কষ্ট, অনেক শ্রম এবং সর্বোপরি দর্শকের ভালোবাসায় আমি আজকের এই অবস্থানে আসতে পেরেছি। এই ভালোবাসা আমি আজীবন ধরে রাখতে চাই।’ রেশমী আহমেদের প্রথম অভিনীত নাটক সীমান্ত সজল পরিচালিত ‘বিতাংশ’।