ঢাকা সোমবার, ২৮ জুলাই ২০২৫, ১৩ শ্রাবণ ১৪৩২ | বেটা ভার্সন

ভারতীয় নির্মাতার অভিযোগে বিস্মিত খায়রুল বাসার

ভারতীয় নির্মাতার অভিযোগে বিস্মিত খায়রুল বাসার

‘থ্রি ইডিয়টস’ খ্যাত অভিনেতা শারমন যোশির সঙ্গে ভারতীয় নির্মাতা এমএন রাজ নির্মিত ‘ভালোবাসার মরশুম’ সিনেমায় অভিনয় করতে চলেছেন খায়রুল বাসার ও তানজিন তিশা, ২৫ জুলাই হঠাৎ করেই এমন একটি খবর ছড়িয়ে পড়ে ভারতীয় বিভিন্ন গণমাধ্যমে। মুহূর্তেই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সয়লাব এই খবর। এমনকি দেশের সংবাদমাধ্যমেও উঠে আসে এটি।

বলাই বাহুল্য, বাসার ও তিশা ভক্তরা বেশ উৎফুল্ল হয়ে ওঠে এই খবরে। কিন্তু সেই আশায় বালি ছিটিয়ে দিলেন বাসার। তিনি এদিনই নিজের ফেসবুক ওয়ালে জানান, শিডিউল না মেলায় তিনি কাজটি করতে পারছেন না।

এই অভিনেতা পোস্টে লিখেছেন, ভালোবাসার মরশুমণ্ডএই সিনেমায় সম্পৃক্ত হওয়ার কথাবার্তা এগোচ্ছিল। খুব শিগগিরই চুক্তিবদ্ধ হতে যাচ্ছিলাম, যদি শিডিউল জটিলতার সমাধান করতে পারতাম। সঙ্গত কারণে আমি এই সিনেমায় থাকতে পারছি না। ‘ভালোবাসার মরশুম’- এর জন্য শুভকামনা’ এই ঘটনার এখানেই ইতি ঘটে যেতে পারতো। কিন্তু সেটা হয়নি। বরং বলা যায়, পরিস্থিতি আরও ঘোলাটে হয়েছে। কারণ, এই সিনেমার নির্মাতা রীতিমত খায়রুল বাসারের বিরুদ্ধে ‘টাকা নিয়ে কাজ না করার’ অভিযোগ তুলেছেন।

দেশের এক গণমাধ্যমকে ২৫ জুলাই নির্মাতা এ বিষয়ে বলেন, খবর প্রকাশের পর বাসার কেন এমনটি করবে জানা নেই। তাকে অগ্রিম পারিশ্রমিক দিয়ে চুক্তিবদ্ধ করা হয়েছে। ই-মেইলে সিনেমাটিতে অভিনয়ের জন্য চূড়ান্ত সম্মতি জানিয়েছেন তিনি। দুদিন আগে সম্মানীর একটা অগ্রিম অংশও তার ব্যাংকে পাঠানো হয়। হঠাৎ একটি বার্তা পাঠিয়ে তিনি জানান, ছবিটি করতে পারছেন না। এরপর তার সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করলেও তিনি সাড়া দেননি। বেশ কয়েকবার ফোন দিয়েছি কিন্তু তিনি ধরেননি। শিডিউলজনিত বা অন্য কোনো বিষয়ে তার কোনোও কথাবার্তা থাকলে টিমের সঙ্গে আলোচনার মাধ্যমে সিদ্ধান্ত নিতে পারতেন, কিন্তু টেক্সট পাঠিয়ে এরপর ফোন না ধরাটা কোনো ধরনের পেশাদার আচরণ!

তবে বাসার এই অভিযোগের ঘোর বিরোধিতা করেছেন। এই অভিনেতা বলেন, স্ক্রিপ্ট আমার পছন্দ হয়েছিল। কাজ করার ব্যাপারে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়াও হয়েছিল। এসব কথা সত্যি। এমনকি উনারা আমাকে একটা সাইনিং মানিও পাঠিয়েছিলেন। কিন্তু এ কথাও সত্যি যে, আমি তখন বলেছিলাম, সেপ্টেম্বরে আমার অন্য একটা শিডিউল আছে, আশা করি ম্যানেজ করতে পারবো। যেহেতু এই সিনেমার শুট হওয়ার কথা ছিল সেপ্টেম্বরে। এসব কথা হয়েছিল ৩-৪ দিন আগে। আমি আসলে সেপ্টেম্বরের ওই শিডিউল ম্যানেজ করতে পারিনি। যেহেতু আমার ওখানেই আগে শিডিউল দেওয়া ছিল, এ কারণেই আমি তাদের মেসেজ করে জানাই যে, আমি কাজটি করতে পারছি না, দুঃখিত। টাকা নিয়ে কাজ করছেন না, এই অভিযোগের বিষয়ে বাসার বলেন, এটা কী ধরনের কথা! এমন তো হতেই পারে। আমিতো কাজটি করতেই চেয়েছি। কিন্তু শিডিউল মেলাতে পারিনি। আর শুটিং সেপ্টেম্বরে। এমন না যে, কাল বা পরশু শুটিং। উনারা তো অন্য কাউকে ম্যানেজ করতে পারবেন এর মধ্যে। আমাকে ইন্ডাস্ট্রির সবাই জানেন, চেনেন। টাকা নিয়ে শুটিং করছি না, এ ধরনের কথা উনি কীভাবে বললেন জানি না। যাই হোক, আমি চাই উনার কাজটি ভালোভাবে শেষ হোক।

নির্মাতার ফোন না ধরার অভিযোগে এই অভিনেতা বলেন, আমি ২৫ জুলাই সারাদিন ব্যস্ত ছিলাম। এর আগে আমি তাদের মেসেজ করেছি যে, কাজটি করতে পারছি না। তারা যেন একটা অ্যাকাউন্ট নাম্বার আমাকে পাঠান যাতে টাকা পাঠিয়ে দিতে পারি। এরপর আমি সারাদিন শুট নিয়ে ব্যস্ত থাকায় ফোন ধরতে পারিনি। শুটিং শেষে আমি তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করেছি। তবে অ্যাকাউন্ট নাম্বার পাঠানোর কথা থাকলেও তারা এখনও পাঠায়নি। পাঠালে আমি টাকা পাঠিয়ে দেবো। যদিও, সেপ্টেম্বরে কী কাজ নিয়ে ব্যস্ত থাকবেন তা অবশ্য তিনি এখনই বলতে চান না।

জানা যায়, এই অভিনেতা বর্তমানে ব্যস্ত কথাসাহিত্যিক মাহমুদুল হকের উপন্যাস ‘জীবন আমার বোন’ অবলম্বনে নির্মিত সিনেমার শুটিং নিয়ে। উপন্যাসের নামেই সিনেমার নাম রাখা হয়েছে। অনুদানপ্রাপ্ত এই সিনেমাটি নির্মাণ করছেন এনায়েত করিম বাবুল। এখানে বাসারের বিপরীতে রয়েছেন শার্লিন ফারজানা।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত