ঢাকা শনিবার, ০৬ ডিসেম্বর ২০২৫, ২১ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ | বেটা ভার্সন

হৃদয়ে রক্তক্ষরণ

দোকান খুলতে গিয়ে গুলিতে মারা যান জোবায়ের

দোকান খুলতে গিয়ে গুলিতে মারা যান জোবায়ের

দোকান খুলতে বের হয়েছিলেন জোবায়ের আহমেদ (২১)। কিন্তু তার আর বাড়ি ফেরা হয়নি। ময়মনসিংহের গৌরীপুর উপজেলার পূর্ব কাউরাট গ্রামের আনোয়ার উদ্দিনের ছেলে তিনি। পাঁচ বোন ও তিন ভাইয়ের মধ্যে তিনি অষ্টম ছিলেন। ২০ জুলাই গৌরীপুর উপজেলার ডৌহাখলা ইউনিয়নের কলতাপাড়া বাজার এলাকায় কারফিউ ভেঙে বিক্ষোভকারীরা সড়কে অবস্থান নেন। এ সময় পুলিশের সঙ্গে তাদের সংঘর্ষ হয়। সেখানে তিনি গুলিবিদ্ধ হন, ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হলে তাকে মৃত ঘোষণা করা হয়।

জোবায়েরের বাবা অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক আনোয়ার উদ্দিন বলেন, ২০২৩ সালে এইচএসসি পরীক্ষায় এক বিষয়ে অকৃতকার্য হওয়ার পর জোবায়ের ব্যবসা শুরু করেন। ময়মনসিংহের শম্ভুগঞ্জে তার মোবাইলের দোকান আছে। এক বছর আগে ছেলে বিয়ে করেছিলেন। এর সঙ্গে তিনি যুক্ত করেন, ‘দোকান ঠিকঠাক আছে কি না, তা দেখে ফেরার কথা ছিল ছেলের। পথেই মারা গেল। ছেলের লাশ বাড়িতে আনার পর দেখেছি শরীরের বুকের বাঁ পাশে আঘাত। কারা গুলি করল, কার গুলিতে মারা গেল, জানি না। জোবায়ের ছোট ভাই মো. কাউসার বলেন, ‘কলতাপাড়া হয়েই আমার ভাই শম্ভুগঞ্জ যেত। বাড়ি থেকে যাওয়ার পথে কলতাপাড়া বাজারে আন্দোলনকারী ও পুলিশের গন্ডগোলের মাঝে পড়ে গিয়ে আমার ভাই মারা গেছে।’

তার মৃত্যুতে পরিবারের পক্ষ থেকে কোনো মামলা করা হয়নি। গৌরীপুর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মো. শফিকুল আলম বাদী হয়ে ২২ জুলাই থানায় একটি মামলা করেন। অজ্ঞাত পরিচয় চার থেকে পাঁচজনকে আসামি করে হত্যা মামলা হয়। মামলার এজাহারে বলা হয়, ‘অজ্ঞাতনামা দুষ্কৃতকারীদের পরিকল্পনা ও ষড়যন্ত্র মোতাবেক বন্দুকধারী চার থেকে পাঁচজন গুলি করে জোবায়ের আহমেদকে হত্যা করে।’

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত