ঢাকা মঙ্গলবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৫, ৮ পৌষ ১৪৩২ | বেটা ভার্সন

শেষ হচ্ছে প্রতীক্ষার প্রহর

তারেক রহমানকে বরণে প্রস্তুত বিএনপি
শেষ হচ্ছে প্রতীক্ষার প্রহর

সব জল্পনা-কল্পনার অবসান ঘটিয়ে দীর্ঘ ১৭ বছরের বেশি সময় প্রবাস জীবনের ইতি টেনে আগামী ২৫ ডিসেম্বর বৃহস্পতিবার ঢাকায় ফিরছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। কাটছে দীর্ঘ প্রতীক্ষার অবসানের অপেক্ষা। গত ১২ ডিসেম্বর রাতে গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর জানান, ২৫ ডিসেম্বর লন্ডন থেকে দেশে ফিরবেন তারেক রহমান। সর্বশেষ ১৬ ডিসেম্বর যুক্তরাজ্যে বিএনপি আয়োজিত এক আলোচনা সভায় তারেক রহমান নিজেও দেশে ফেরার এ তারিখ নিশ্চিত করেন। তারেক রহমানের ফেরার খবর ছড়িয়ে পড়ার পর থেকেই তৃণমূল পর্যায়ে ব্যাপক উদ্দীপনা দেখা গেছে। দলের স্থায়ী কমিটির এক সদস্য জানান, দেশের রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ ও ঐতিহাসিক মুহূর্ত। শান্তিপূর্ণ ও সুশৃঙ্খলভাবে নেতাকে বরণ করে নেওয়ার প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে।

তারেক রহমানের আগমন ঘিরে দলীয় নেতাকর্মী, সমর্থক ও সাধারণ মানুষের মধ্যে ব্যাপক আগ্রহ দেখা দিয়েছে। তাকে বরণ ও স্বাগত জানাতে বিএনপির উদ্যোগে একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটির আহ্বায়ক বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ এবং সদস্যসচিব দলের জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী আহমেদ।

দলীয় সূত্র জানায়, ২৫ ডিসেম্বর সিলেট হয়ে দুপুর পৌনে ১২টায় তারেক রহমান রাজধানীর হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করবেন। তারেক রহমানের আগমন উপলক্ষে নিরাপত্তা ও আনুষঙ্গিক আনুষ্ঠানিকতা নিয়ে গত বৃহস্পতিবার দুপুরে সিভিল অ্যাভিয়েশন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে বৈঠক করেছে বিএনপির একটি উচ্চপর্যায়ের প্রতিনিধিদল। দলের সিনিয়র নেতাদের সমন্বয়ে গঠিত এই প্রতিনিধিদল বিমানবন্দরের প্রটোকল ও শৃঙ্খলা রক্ষার বিষয়গুলো নিয়ে আলোচনা করে। প্রতিনিধি দলে ছিলেন- দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমেদ, সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী, বিএনপি মিডিয়া সেলের আহ্বায়ক মওদুদ আলা পাভেল, প্রধান নিরাপত্তা কর্মকর্তা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল অব. ড. শামসুল ইসলাম। এ সময় তারা নিরাপত্তাব্যবস্থা পরিদর্শন করেন। দলীয় সূত্র জানায়, বিমানবন্দর থেকে বের হওয়ার পর রাজধানীর ৩০০ ফিটে তারেক রহমানকে গণসংবর্ধনা দেওয়া হবে। এই কর্মসূচিকে সফল করতে ঢাকা ও আশপাশের জেলার নেতাকর্মীরা ব্যাপক প্রস্তুতি নিচ্ছেন।

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে ঢাকার শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর পরিদর্শন করেছে বিএনপির একটি প্রতিনিধিদল। এ বিষয়ে বিএনপি স্থায়ী কমিটির সদস্য ও অভ্যর্থনা কমিটির আহ্বায়ক সালাহউদ্দিন আহমদ জানান, তারেক রহমানের দেশে ফেরার আয়োজন হবে ঐতিহাসিক। জনগণের স্বতঃস্ফূর্ত উপস্থিতিতে এ সংবর্ধনা স্মরণীয় হয়। অন্যদিকে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব ও অভ্যর্থনা কমিটির সদস্যসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেন, তারেক রহমানের প্রত্যাবর্তন ঘিরে নেতাকর্মী ও সাধারণ মানুষের মধ্যে ব্যাপক উৎসাহ-উদ্দীপনা বিরাজ করছে। দলীয়ভাবে সর্বোচ্চ নিরাপত্তা ও শৃঙ্খলা নিশ্চিত করে এই কর্মসূচি বাস্তবায়ন করা হবে। দলীয় নেতারা আশা প্রকাশ করেন, তারেক রহমানের দেশে ফেরা বাংলাদেশের রাজনীতিতে একটি নতুন মাত্রা যোগ করবে। জানা যায়, তারেক রহমানের সঙ্গে স্ত্রী জুবাইদা রহমান ও মেয়ে জাইমা রহমানও ২৫ ডিসেম্বর দেশে ফিরবেন। তারা লন্ডন থেকে সিলেট হয়ে ঢাকায় আসবেন। বিএনপি চেয়ারপারসনের একান্ত সচিব আব্দুস সাত্তার এ তথ্য জানিয়েছেন।

সূত্র জানায়, তারেক রহমানের জন্য গুলশান এভিনিউয়ের ১৯৬ নম্বর বাড়িটি প্রায় প্রস্তুত। কোনো কারণে সেটি পুরোপুরি প্রস্তুত না হলে তিনি পাশেই তাঁর মায়ের ভাড়া বাসা ফিরোজায় উঠবেন। দেশে ফিরে বিএনপি চেয়ারপারসনের গুলশানের কার্যালয় থেকেই রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড পরিচালনা করবেন তারেক রহমান। এ লক্ষ্যে ৮৬ নম্বর রোডের ওই কার্যালয়ে নিরাপত্তা জোরদারসহ প্রয়োজনীয় সংস্কারকাজ প্রায় শেষ হয়েছে। একটি বিশ্বস্ত সূত্র জানায়, এরই মধ্যে তিনি বিমানের বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের বিজি ২০২০ ফ্লাইটে টিকিট বুকিং করেছেন। ফ্লাইটটি ২৪ ডিসেম্বর সন্ধ্যা সোয়া ছয়টায় লন্ডনের হিথ্রো বিমানবন্দর থেকে ঢাকার উদ্দেশ্যে রওয়ানা হওয়ার কথা রয়েছে। সব ঠিক থাকলে বোয়িং ৭৮৭-৯ মডেলের উড়োজাহাজটি ২৫ ডিসেম্বর বেলা ১১টা ৪৫ মিনিটে ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছাবে। ঢাকায় অবতরণের আগে উড়োজাহাজটি সিলেটের ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে এক ঘণ্টা যাত্রা বিরতি করবে।

সূত্র জানায়, এই ফ্লাইটের বিজনেস ক্লাসে তারেক রহমানের পাশাপাশি আরও পাঁচজন সফরসঙ্গীর টিকিট বুকিং দেওয়া হয়েছে। তাদের মধ্যে আছেন তারেকের স্ত্রী জুবায়দা রহমান ও কন্যা জাইমা জারনাজ রহমান।

এছাড়া তারেক রহমানের মিডিয়া টিমের প্রধান আবু আবদুল্লাহ সালেহ, পারসোনাল অ্যাসিস্ট্যান্ট আব্দুর রহমান সানি ও তাবাসসুম ফারহানা নামে আরেকজনেরও টিকিট বুকিং রয়েছে। টিকিটের মোট মূল্য ৯ হাজার ৮৫৬ ব্রিটিশ পাউন্ড, বাংলাদেশি টাকায় যা প্রায় ১৬ লাখ টাকা।

তারেক রহমানের দেশে ফেরাকে ঘিরে দলটি তাকে স্বাগত জানাতে সম্পূর্ণ প্রস্তুত রয়েছে বলে জানিয়েছেন দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস। তিনি স্পষ্ট করেন, এ উপলক্ষে বিএনপি পক্ষ থেকে আলাদা করে বিশাল জনসমাগমের কোনো আহ্বান জানানো হয়নি। তবে সাধারণ মানুষের স্বতঃস্ফূর্ত উপস্থিতি থাকবে বলে দলের প্রত্যাশা। গতকাল সোমবার বিকালে রাজধানীর ৩০০ ফিট এলাকায় নির্ধারিত সংবর্ধনাস্থল পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন মির্জা আব্বাস। তিনি বলেন, দেশের বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে মানুষের মধ্যে এক ধরনের উদ্বেগ ও অনিশ্চয়তা রয়েছে। এ প্রেক্ষাপটে তারেক রহমানের প্রত্যাবর্তন রাজনৈতিকভাবে গুরুত্বপূর্ণ একটি ঘটনা। তবে এ নিয়ে সরকারের পক্ষ থেকে কোনো ধরনের বাধা বা অসহযোগিতা দেখা যাচ্ছে না বলেও তিনি উল্লেখ করেন।

মির্জা আব্বাস বলেন, ‘তারেক রহমানের আগমন এখন দেশজুড়ে আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত হয়েছে। লাখো মানুষের আগমনের কোনো আনুষ্ঠানিক পরিকল্পনা না থাকলেও তারেক রহমান দেশে ফিরলে মানুষের স্বতঃস্ফূর্ত উপস্থিতি থাকা স্বাভাবিক।

এর আগে ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির আহ্বায়ক আমিনুল ইসলাম জানান, তারেক রহমানের প্রত্যাবর্তন উপলক্ষে ইতিহাসের সবচেয়ে বড় সংবর্ধনা অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হবে। তিনি বলেন, দীর্ঘদিন ধরে কোটি মানুষ তারেক রহমানকে স্বচক্ষে দেখার অপেক্ষায় রয়েছেন। সমাবেশ ঘিরে মঞ্চ প্রস্তুতের পাশাপাশি নেওয়া হয়েছে বাড়তি নিরাপত্তা ব্যবস্থা। পুরো এলাকাজুড়ে মোড়ে মোড়ে বসানো হয়েছে নিরাপত্তা চৌকি।

এভারকেয়ারে মা খালেদা জিয়ার সাথে সাক্ষাৎ করবেন : দলের শীর্ষ নেতারা বলছেন, তারেক রহমানকে স্বাগত জানাতে এ দিন লাখণ্ডলাখ লোকের সমাগম হবে। তারেক রহমান শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরনের পর সেখানের আনুষ্ঠানিকতা শেষ করে ৩শ ফিটের গণসংবর্ধণা স্থলে আসবেন। এরপর এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন মা খালেদা জিয়ার সাথে সাক্ষাৎ করে সেখান থেকে গুলশানের বাসায় যাবেন। শাহজালাল বিমান বন্দর থেকে বাসায় ফেরা পর্যন্ত দল এবং সরকারের পক্ষ থেকে নিশ্চিদ্র নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হয়েছে। ইতোমধ্যে বুলেট প্রুফ দুটি গাড়ি ঢাকায় এসে পৌছুছে। তার নিরাপত্তার জন্য চেয়ারপারসন সিকিউরিটি ফোর্সের পরিধি বাড়ানো হয়েছে। এছাড়া দলের বিশ্বস্ত নেতাদের সমন্বয়েও একটি টিম গঠন করা হয়েছে। তারেক রহমানকে স্বাগত জানাতে সর্বোচ্চ জনসমাগম ও নিরাপত্তা এবং পুরো প্রক্রিয়া সুশৃঙ্খল করার টার্গেট নিয়ে কাজ করছে বিএনপি ও এর অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতৃত্ব। ইতোমধ্যে সারাদেশ থেকে নেতকর্মীরা আসতে শুরু করেছেন। বুধবারের মধ্যে নেতাকর্মীরা চলে আসবেন।

বুলেটপ্রুফ গাড়ী প্রস্তুত : তারেক রহমানের নিরাপত্তায় বিএনপির কেনা বুলেট প্রুফ বাস দেশে এসেছে। বাসটি রোববার চট্টগ্রাম বন্দরে খালাস হয়েছে। সোমবার এটি ঢাকায় পৌঁছেছে। এর আগে বিএনপি’র ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের ব্যবহারের জন্য বিদেশ থেকে আমদানি করা বিশেষ সুবিধাসম্পন্ন একটি ‘হার্ড জিপ’ গাড়ি দেশে পৌঁছে। টয়োটা ল্যান্ড ক্রুজার প্রাডো এলসি ২৫০ মডেলের এই গাড়িটি ইতিমধ্যেই বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) নামে নিবন্ধিত হয়েছে। বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআরটিএ) গাড়িটির রেজিস্ট্রেশন ও ফিটনেস অনুমোদন দিয়েছে। এছাড়া নিরাপত্তার জন্য একাধিক আগ্নেয়াস্ত্রের অনুমোদন দিয়েছে সরকার।

১০ রুটে চলবে বিশেষ ট্রেন, বন্ধ তিন রুট : দেশে ফেরার পর তারেক রহমানের সংবর্ধনায় সারাদেশের নেতাকর্মীদের অংশগ্রহণে ১০টি রুটে আগামী ২৫ ডিসেম্বর বিশেষ ট্রেন চলাচলের অনুমোদন দিয়েছে রেলপথ মন্ত্রণালয়। একইদিনে তিনটি কাছাকাছি রুটে ট্রেন চলাচল স্থগিত থাকবে বলেও জানানো হয়েছে। গতকাল সোমবার রেলপথ মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা এই তথ্য জানিয়েছেন। তিনি জানান, বিএনপির কেন্দ্রিয় ও আঞ্চলিক কার্যালয়গুলো থেকে দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের বাংলাদেশে প্রত্যাবর্তন উপলক্ষে দলটির নেতাকর্মী ও সমর্থকদের ঢাকায় যাতায়াতের উদ্দেশে বিশেষ ট্রেন/অতিরিক্ত কোচ বরাদ্দের জন্য আবেদন করা হয়েছে। এর পরিপ্রেক্ষিতে দলীয় কর্মী ও সমর্থকদের যাতায়াতের জন্য ১০টি রুটে স্পেশাল ট্রেন পরিচালনা করা হবে এবং নিয়মিত চলাচলকারী একাধিক ট্রেনে অতিরিক্ত কোচ সংযোজন করা হবে। এ কারণে স্বল্প দূরত্বের রাজবাড়ী কমিউটার (রাজবাড়ী-পোড়াদহ), ঢালারচর এক্সপ্রেস (পাবনা-রাজশাহী) এবং রোহনপুর কমিউটার (রোহনপুর-রাজশাহী) ট্রেনের ২৫ ডিসেম্বরের যাত্রা স্থগিত রাখা হবে। ওই ট্রেনগুলোর একদিনের জন্য যাত্রা স্থগিত করায় রুটগুলোতে যাত্রীদের সাময়িক অসুবিধার কারণে রেলপথ মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে দুঃখ প্রকাশ করা হয়েছে।

চাহিদার ভিত্তিতে যে ১০ রুটে চলবে স্পেশাল ট্রেন : কক্সবাজার-ঢাকা-কক্সবাজার, জামালপুর-ময়মনসিংহ-ঢাকা-জামালপুর, টাঙ্গাইল-ঢাকা-টাঙ্গাইল, ভৈরববাজার-নরসিংদী-ঢাকা-নরসিংদী-ভৈরববাজার, জয়দেবপুর-ঢাকা ক্যান্টনমেন্ট-জয়দেবপুর (গাজীপুর), পঞ্চগড়-ঢাকা-পঞ্চগড়, খুলনা-ঢাকা-খুলনা, চাটমোহর-ঢাকা ক্যান্টনমেন্ট-চাটমোহর, রাজশাহী-ঢাকা-রাজশাহী এবং যশোর-ঢাকা-যশোর। এছাড়া নিয়মিত চলাচলকারী একাধিক ট্রেনে চাহিদার ভিত্তিতে অতিরিক্ত কোচ সংযোজন করা হবে।

মন্ত্রণালয় থেকে জানানো হয়েছে, এ বাবদ বাংলাদেশ রেলওয়ের আনুমানিক ৩৬ লাখ টাকা রাজস্ব আয় হবে। স্পেশাল ট্রেন এবং অতিরিক্ত কোচে দলীয় নেতাকর্মীদের যাতায়াতের ক্ষেত্রে শর্ত হিসেবে নির্বাচনি আচরণ বিধিমালা-২০২৫ প্রতিপালন করার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।

প্রস্তুত হচ্ছে মঞ্চ : তারেক রহমানকে তাকে সংবর্ধনা দিতে রাজধানীর ৩০০ ফিট এলাকায় বিশাল মঞ্চ তৈরির কাজ শুরু করেছে দলটি। গত রোববার দুপুর থেকে বিশ্বরোড থেকে পূর্বাচলমুখী ৩০০ ফিট সড়কের একটি অংশজুড়ে মঞ্চ তৈরির কাজ শুরু হয়। বিএনপির নেতারা জানান, নির্ধারিত সময়ের মধ্যে কাজ শেষ করতে কমিটির সদস্যরা দিনরাত পরিশ্রম করছেন। গতকাল সোমবার বিএনপি নেতারা বলেন, তারেক রহমানের দেশে প্রত্যাবর্তনের জন্য দেশবাসী অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছে। নির্ধারিত কর্মসূচি অনুযায়ী ২৫ ডিসেম্বর ঢাকায় পৌঁছে বনানী-কাকলী হয়ে ৩০০ ফিট এলাকায় আসবেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান। সেখানে আয়োজিত মূল সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে তিনি বক্তব্য দেবেন। বিএনপির মিডিয়া সেলের সদস্য শায়রুল কবির খান বলেন, এরই মধ্যে ৩০০ ফিটে মঞ্চ তৈরির কাজ শুরু হয়েছে। মূল সংবর্ধনা অনুষ্ঠান সেখানেই অনুষ্ঠিত হবে। ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান সেখানে উপস্থিত হয়ে বক্তব্য রাখবেন। এরপর তিনি এভারকেয়ার হাসপাতালে যাবেন। তিনি আরও জানান, সংবর্ধনা অনুষ্ঠানের দিন সকাল থেকেই মঞ্চে নানামুখী আয়োজন থাকবে। সাংস্কৃতিক পরিবেশনাসহ বিভিন্ন কর্মসূচি যুক্ত হতে পারে বলেও জানান তিনি। প্রসঙ্গত, ২০০৭ সালের জানুয়ারিতে ক্ষমতা নেওয়া সেনা সমর্থিত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময়ে দুর্নীতির অভিযোগে আটক হয়ে ১৮ মাস কারাগারে থাকার পর ২০০৮ সালের সেপ্টেম্বরে মুক্তি পান তারেক রহমান। তিনি ১১ সেপ্টেম্বর লন্ডনের উদ্দেশে পরিবারের সদস্যদের নিয়ে ঢাকা ছাড়েন। এরপর থেকে তিনি সেখানেই রয়েছেন।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত