
গাজায় হামাসের উপপ্রধান এবং রাজনৈতিক ব্যুরোর সদস্য খলিল আল-হাইয়া দুই পক্ষের মধ্যকার পরোক্ষ আলোচনা থেকে ইসরায়েলি প্রতিনিধিদলের প্রত্যাহারে বিস্ময় প্রকাশ করেছেন। গত রোববার এক বক্তব্যে তিনি বলেন, ‘আলোচনায় অগ্রগতির পর এবং মধ্যস্থতাকারীদের প্রস্তাব হামাস বিস্তৃত পরিসরে গ্রহণ করার পর এই প্রত্যাহারের ঘটনা ঘটেছে।’ তিনি জানান, গত ২২ মাস ধরে হামাসের নেতারা আগ্রাসন বন্ধ করার লক্ষ্যে সব ধরনের কূটনৈতিক ও রাজনৈতিক পথ ব্যবহার করছেন। গাজার ভয়াবহ মানবিক পরিস্থিতি প্রসঙ্গে আল-হাইয়া বলেন, খাদ্য ও মানবিক সহায়তা অবিলম্বে এবং সম্মানজনক উপায়ে ফিলিস্তিনি জনগণের কাছে পৌঁছানো দরকার। তিনি বিমান থেকে ত্রাণ ফেলা নিয়ে বলেন, এটি একটি অর্থহীন নাটক। আল-হাইয়া দৃঢ়ভাবে বলেন, ফিলিস্তিনি জনগণের রক্ত ও কষ্টকে যেন দখলদারদের রাজনৈতিক খেলার অংশে পরিণত না করা হয়। তিনি অভিযোগ করেন, ইসরায়েলি বাহিনী ইচ্ছাকৃতভাবে জাতিসংঘ এবং স্থানীয় ত্রাণ সংস্থাগুলোর ভূমিকা ধ্বংস করে গাজাবাসীকে মৃত্যুকূপে আটকে রেখেছে। হামাস নেতা বলেন, গাজার জনগণ যখন দেখেন, অনাহার চলছে, অথচ বিশ্ববাসী নীরব, তখন তারা নিজেদের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা অনুভব করেন। তিনি বলেন, ‘গাজার মানুষ কি এই দৃশ্য দেখে কষ্ট পান না, যখন তারা দেখেন, ইসরায়েলি রাষ্ট্রের জন্য সীমাহীন সহায়তা রয়েছে, কিন্তু তাদের ক্ষুধা মেটাতে সামান্য সাহায্যও মিলছে না!’ তিনি গাজার জনগণের উদ্দেশে বলেন, ‘হে আমাদের দৃঢ়প্রতিজ্ঞ জনগণ, আমরা আপনাদের পাশে আছি। আমরা নিশ্চিত, এই কষ্ট একদিন শেষ হবে।’ তিনি আরও বলেন, ‘আপনাদের ধৈর্য বর্ণনা করার জন্য কোনো শব্দই যথেষ্ট নয়। আপনারা এমন বোঝা বইছেন, যা পৃথিবীর কোনো জাতি বহন করতে পারবে না।’