ঢাকা মঙ্গলবার, ১৫ জুলাই ২০২৫, ৩১ আষাঢ় ১৪৩২ | বেটা ভার্সন

সোনারগাঁ সরকারি হাসপাতালের হিসাবরক্ষকের বিরুদ্ধে অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ

সোনারগাঁ সরকারি হাসপাতালের হিসাবরক্ষকের বিরুদ্ধে অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ

নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁ দীর্ঘ ১৫ বছর আওয়ামী লীগ ও তার দোসরদের সহায়তায় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের হিসাব রক্ষক পদে চাকরির সুবাধে মোহাম্মদ উল্লাহ বিভিন্ন অনিয়ম ও দুর্নীতির মাধ্যমে নিজ এলাকায় ৫ তলা বাড়ি করার অভিযোগ উঠেছে। চাকরি জীবনের শুরুতে নিরাপত্তা প্রহরী হিসেবে মোহাম্মদ উল্লাহ যোগদান করলেও পরবর্তীতে আওয়ামী লীগের স্থানীয় নেতাদের ম্যানেজ করে নিয়মণ্ডনীতির তোয়াক্কা না করে রাতের আধারে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের ইশারায় হিসাব রক্ষক বনে যান। এই সুযোগে সরকারি বিভিন্ন অর্থ আত্মসাৎ করে হয়ে গেছেন কোটিপতি।

তথ্য অনুসন্ধানে গিয়ে দেখা যায়, সোনারগাঁ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের পেছনে রয়েছে তার নিজস্ব একটি জায়গায়। ওইখানে গড়ে তুলেছেন পাঁচ তলা একটি ভবন। যাহা একজন তৃতীয় শ্রেণীর কর্মচারীর শুধুমাত্র বেতনের টাকায় করা অসম্ভব। অত্র স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আশপাশের লোকজনের সাথে কথা বলে জানা যায় অতীতে কোন প্রকার টেন্ডার ছাড়াই মোহাম্মদ উল্লাহ হাসপাতালের বিভিন্ন মালামাল চুরি করে বিক্রি করেছে এবং বিভিন্ন সময় এলাকাবাসীর হাতে ধরাও পড়ে গণপিটুনির স্বীকার হয়েছেন। বিগত প্রায় বছর তিন আগে হাসপাতালের প্রধান ফটকে তার চুরিকৃত মালামালসহ এলাকাবাসী তাকে আটক করে মারধর করেন। সে সময় দায়িতপ্রাপ্ত উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা: পলাশ কুমার সাহা’র হস্তক্ষেপে এলাকাবাসী তাকে ছেড়ে দেন। এছাড়া মসজিদ নির্মাণের মালামাল বিক্রি, বন বিভাগের অনুমোদন ব্যতীত হাসপাতালের সরকারি গাছ কেটে নিজ বাড়ির আসবাবপত্র তৈরি অভিযোগও রয়েছে।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক হাসপাতালের বিভিন্ন কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের সাথে কথা বলে জানা যায়, মোটা অংকের উৎকোচ হাসপাতালের যে কোন বিল, বেতন, পেনশন পাস করেন না করার ক্ষেত্রে ছাড়া সে কোন কাজ করে না। বাধ্য হয়ে তাকে উৎকোচ দিয়ে কাজ করাতে হয়। কেননা, তার সাথে স্থানীয় আওয়ামী লীগের সখ্যতা ছিল। তারা আরো জানান, সরকারি বরাদ্দকৃত বিভিন্ন খাতের টাকা সে ভুয়া বিল ভাউচার তৈরি করে আত্মসাৎ করে বানিয়েছেন কোটি টাকার অট্টালিকা। এ বিষয়ে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি কামনা করছেন হাসপাতালের কর্মকর্তা-কর্মচারী ও এলাকাবাসী। এ বিষয়ে অভিযুক্ত সোনারগাঁ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এর ক্যাশিয়ার মোহাম্মদ উল্লাহ’র মুঠোফোনে জানতে চাইলে মামলা করার হুমকি দিয়ে সাংবাদিকদের জানান, আপনারা বিস্তারিত বিষয়গুলো যাচাই করুন। আমার বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগ মিথ্যা। এ বিষয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা: শারমিন তিথি জানান, এ সকল বিষয়গুলো সম্পর্কে আমি অবগত নই। তাছাড়া আমি এখানে নতুন এসেছি।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত