বাংলাদেশে আশ্রিত রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসন শুরু করতে একটি রোডম্যাপ করার ক্ষেত্রে জাপানের সমর্থন চেয়েছেন অন্তর্বর্তী সরকারের পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন। ঢাকা সফররত জাপানের সংসদবিষয়ক উপ-মন্ত্রী ইকুইনা আকিকো পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে উপদেষ্টার সঙ্গে হওয়া বৈঠকে এ সমর্থন চাওয়া হয়। বৈঠকে উপমন্ত্রী অন্তর্বর্তী সরকারের চলমান সংস্কার ও দেশ গঠনের উদ্যোগে জাপানের সমর্থন পুনর্ব্যক্ত করেন। তিনি এলডিসি-পরবর্তী গ্র্যাজুয়েশন সময়কালে বাংলাদেশের জন্য জাপানের অব্যাহত সমর্থনের কথা জানান। দুই দেশের মধ্যে বাণিজ্য ও বিনিয়োগ বাড়ানোর জন্য অর্থনৈতিক অংশীদারিত্ব চুক্তির (ইপিএ) প্রাথমিক উপসংহারের প্রয়োজনীয়তার ওপর জোর দেন। উপমন্ত্রী উপদেষ্টাকে জানান, বাংলাদেশে সাম্প্রতিক রাজনৈতিক পরিবর্তন সত্ত্বেও জাপানি বিনিয়োগ এবং ব্যবসায়ীরা তাদের কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে। ৩১০টিরও বেশি জাপানি সংস্থা বর্তমানে বাংলাদেশে ব্যবসা করছে এবং সংখ্যাটি সামনে আরো বাড়বে। বিনিয়োগের পরিবেশের উন্নতির জন্য বাংলাদেশের প্রতিশ্রুতি পুনর্বিবেচনা করে উপদেষ্টা উল্লেখ করেছেন যে, বিদেশি বিনিয়োগকারীদের পরিষেবাগুলোর সুবিধার্থে ওয়ানস্টপ সার্ভিস (ওএসএস) কার্যকর কার্যকারিতা নিশ্চিত করতে বিডা অত্যন্ত সক্রিয়। উপমন্ত্রী আঞ্চলিক শান্তি ও স্থিতিশীলতার জন্য একটি মুক্ত ও উন্মুক্ত ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলের গুরুত্ব তুলে ধরেন। জবাবে উপদেষ্টা বলেন, আঞ্চলিক শান্তি ও স্থিতিশীলতায় বাংলাদেশ একটি মুক্ত ও উন্মুক্ত ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলের সমর্থন করে। রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসন মাধ্যমে রোহিঙ্গা সংকটের জন্য একটি টেকসই সমাধানের জন্য জাপানের অব্যাহত প্রচেষ্টার জন্য উপমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানান উপদেষ্টা। জাতিসংঘের সহযোগিতায় দোহায় রোহিঙ্গা ইস্যুতে একটি উচ্চস্তরের সম্মেলন হোস্ট করার জন্য জাপানের সমর্থন চান তিনি। উভয়পক্ষ আন্তর্জাতিক ফোরামে পারস্পরিক সমর্থন এবং সহযোগিতা নিয়ে কথা বলেন।