ঢাকা ১৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ৬ ফাল্গুন ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

দুর্বল ব্যাংকের পুনঃপুঁজিতে পাবলিক ফান্ডের ব্যবহার বন্ধের সুপারিশ

দুর্বল ব্যাংকের পুনঃপুঁজিতে পাবলিক ফান্ডের ব্যবহার বন্ধের সুপারিশ

দুর্বল শাসিত বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোকে পুনঃপুঁজিতে পাবলিক ফান্ডের ব্যবহার বন্ধ করার সুপারিশ করেছে টাস্কফোর্স কমিটি। এছাড়া ব্যাংকিং খাত থেকে রাজনৈতিক প্রভাব অপসারণ জরুরি বলেও প্রস্তাবনা দেয়া হয়েছে। টাস্কফোর্স কমিটি বলছে, একটি শক্তিশালী স্বার্থান্বেষী গোষ্ঠী কয়েক দশক ধরে এই খাতকে দুর্বল করার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে, এটি ভেঙে ফেলা দরকার। গত সোমবার বৈষম্যহীন টেকসই উন্নয়নের লক্ষ্যে অর্থনৈতিক কৌশল পুনঃনির্ধারণ টাস্কফোর্সের প্রতিবেদন প্রকাশ উপলক্ষে সংবাদ সম্মেলন করেন টাস্কফোর্সের সদস্যরা। সেখানে পরিকল্পনা উপদেষ্টা ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ এ কথা বলেন। পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের এনইসি সম্মেলন কক্ষে এই সংবাদ সম্মেলন হয়। কমিটির প্রস্তাবে বলা হয়েছে, বাংলাদেশ ব্যাংক সংশোধনী বিল ২০০৩ অনুযায়ী বাংলাদেশ ব্যাংককে সমন্বিতভাবে কাজ করার অনুমতি দিতে হবে। কোনো একক ব্যক্তি বা ব্যক্তিদের একটি গোষ্ঠীকে একাধিক বাণিজ্যিক ব্যাংকের সংখ্যাগরিষ্ঠ মালিকানা পাওয়ার অনুমতি দেয়া উচিত নয়।

রাজনৈতিক কারণে নতুন কোনো ব্যাংক লাইসেন্স দেয়া উচিত নয়। দুর্বল শাসিত বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলিকে পুনঃপুঁজিতে পাবলিক ফান্ডের ব্যবহার বন্ধ করতে হবে। আমানতকারীর স্বার্থ রক্ষার জন্য সমস্যাগ্রস্ত ব্যাঙ্কগুলির জন্য একটি প্রস্থান নীতি প্রণয়ন করা উচিত। অন্তর্বর্তী সরকারের আমলে টাস্কফোর্সের সুপারিশমালা থেকে অন্তত একটি সুপারিশ বাস্তবায়নের জন্য প্রতিটি মন্ত্রণালয়কে নির্দেশ দিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। পরবর্তী উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে কোন সুপারিশটি বাস্তবায়ন করা হবে, তা জানাতে হবে। টাস্কফোর্সের প্রতিবেদনের বিভিন্ন দিক তুলে ধরেন টাস্কফোর্সের প্রধান ও বাংলাদেশ উন্নয়ন গবেষণা প্রতিষ্ঠানের (বিআইডিএস) সাবেক মহাপরিচালক কেএএস মুরশিদ। এই টাস্কফোর্সের প্রতিবেদনে অর্থনীতি, ব্যাংক, অবকাঠামো, শিক্ষা, স্বাস্থ্য সামাজিক সুরক্ষাসহ বিভিন্ন বিষয়ে বিশ্লেষণ করে সুপারিশ করা হয়।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত