শরীয়তপুর সদর উপজেলার ডোমসা এলাকায় ডাকাতির চেষ্টা ও ৯ জন গুলিবিদ্ধের ঘটনায় পাঁচজনকে আসামি করে দুটি মামলা হয়েছে। গত শনিবার রাতে পালং মডেল থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) আলমগীর হোসেন বাদী হয়ে এই মামলা করেন। মামলায় আরও ৮-১০ জনকে অজ্ঞাতনামা আসামি করা হয়েছে।
মামলার পাঁচ আসামি গত শুক্রবার সদর উপজেলার ডোমসার ইউনিয়নের তেতুলিয়া এলাকায় ডাকাতি চেষ্টার সময় গণপিটুনির শিকার হয়।
গণপিটুনিতে দুইজন ঘটনাস্থলে এবং একজন ঢাকা মেডিকেল কলেজে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। গতকাল সকালে জেলা পুলিশ সুপার মো. নজরুল ইসলাম জানান, আহতদের জীবন শঙ্কামুক্ত ঘোষণার পর গত শনিবার রাতে তাদের শরীয়তপুরে নিয়ে আসা হয়। তারা শরীয়তপুর সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
তিনি জানান, ‘গত শুক্রবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে আমরা খবর পাই, মাদারীপুরের কালকিনি উপজেলার রাজারচর এলাকায় ডাকাতির চেষ্টা হয়েছে। ডাকতরা নদীতে থাকা বাল্কহেডে ডাকাতির চেষ্টা চালায়। স্থানীয় বাসিন্দারা ডাকাত দলকে ধাওয়া দিলে তারা এলোপাতারি গুলি ছোড়ে।’
তিনি বলেন, ‘ডাকাত দল কীর্তিনাশা নদী পথ ধরে পালিয়ে আসছিল। দুই জেলার সীমান্ত এলাকায় এই ঘটনা হওয়ায় মাদারীপুরের সাতজন ও শরীয়তপুরের দুইজন ডাকাতের গুলিতে আহত হন। গুলিবিদ্ধদের মধ্যে বাল্কহেডের শ্রমিকও রয়েছেন।
পুলিশ সুপার বলেন, শনিবার রাতে একটি দেশীয় শর্টগান এবং গতকাল সকালে একটি কাটা রাইফেল উদ্ধার করেছি।
শরীয়তপুর জেলা পুলিশ সূত্রে জানা যায়, মামলায় মুন্সিগঞ্জের কালিয়ারচর এলাকার রিপন (৪০), বাংলা বাজার এলাকার রাকিব গাজী (৩০), শরীয়তপুরের জাজিরার কুন্ডেরচর এলাকার আনোয়ার দেওয়ান (৫০), নড়িয়ার নশাসন মাঝিকান্দি এলাকার সাঈদ (২৫) ও মাদারীপুরের শিবচরের কুতুবপুর এলাকার সজীবকে (৩০) আসামি করা হয়েছে। গণপিটুনিতে নিহত একজনের পরিচয় ফিঙ্গার প্রিন্টের সাহায্যে শনাক্ত করে ওই ব্যক্তির পরিচয় নিশ্চিত করা হয়েছে। নিহত ব্যক্তি হলেন শরীয়তপুরের নড়িয়া উপজেলার কানারগাঁও গ্রামের রহমত আলীর ছেলে এবাদুল বেপারী। বাকি দুইজনের পরিচয় শনাক্তের চেষ্টা চলছে।