শরীয়তপুরের গোসাইরহাটে ভিজিএফের চাল বিতরণ নিয়ে বিএনপির দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছে। এসময় ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। এতে অন্তত চারজন আহত হন। গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে উপজেলার সামন্তসার ইউনিয়ন পরিষদ কার্যালয়ের সামনে এ ঘটনা ঘটে। আহতদের উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। তারা হলেন চর সামন্তসার এলাকার ফিরোজ মোল্লার ছেলে কবির হোসেন মাওলানা, আলী আহম্মেদ হাওলাদারের ছেলে আনোয়ার হোসেন হাওলাদার, সুরজাত আলী মোল্লার ছেলে জামাল মোল্লা ও স্থানীয় ইউপি সংরক্ষিত মহিলা সদস্য রেহানা বেগম। স্থানীয় ও পুলিশ সূত্র জানায়, উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি তারেক আজিজ মোবারক ঢালীর লোকজনের সঙ্গে উপজেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক আক্তার হোসেন নান্টু খানের বিরোধ চলে আসছে।
গতকাল দুপুরে সামন্তসার ইউনিয়ন পরিষদে ৬০০ দুস্থ ও অসহায় পরিবারের মাঝে ঈদ উপলক্ষে ভিজিএফের চাল বিতরণ হচ্ছিল। এরমধ্যে তারেক আজিজ মোবারক ঢালীর পক্ষের লোক উপজেলা বিএনপির সাবেক ধর্মবিষয়ক সম্পাদক কবির মাওলানা, সামন্তসার ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক সভাপতি বাবুল মাস্টার ও সাবেক সাধারণ সম্পাদক আব্দুল মোতালেব মাদবর দুস্থ এবং অসহায়দের বিতরণের জন্য ২০০ ভিজিএফ স্লিপ পান। সেই স্লিপের চাল দিতে বাধা দেন উপজেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক আক্তার হোসেন নান্টু খান ও তার লোকজন। এতে দুই পক্ষের মধ্যে প্রথমে সংঘর্ষ ও ধাওয়া-পাল্টাধাওয়া হয়। একপর্যায়ে নান্টু খান লোকজন নিয়ে ককটেল বিস্ফোরণ ঘটিয়ে হামলা চালায় বলে অভিযোগ। এসময় ককটেল বিস্ফোরণে কবির, আনোয়ার, জামাল ও রেহানা নামের চারজন আহত হন। আক্তার হোসেন নান্টু খান বলেন, আমার সঙ্গে পরামর্শ না করে মোবারক ঢালীর লোকজনকে ২০০ স্লিপ দেয়া হয়। এ বিষয় নিয়েই দুপক্ষের মধ্যে ঘটনাটি ঘটেছে। মোবারক ঢালী বলেন, ইউপি নির্বাচনের পর থেকে নান্টু খানের সঙ্গে আমার লোকজনের দ্বন্দ্ব চলছে। আজ আবার নান্টু খান আমার লোকজনকে চাল দিতে বাধা দেয়। আবার আমার লোকজনের ওপর ককটেল বিস্ফোরণ ঘটিয়ে হামলা চালায়। হামলায় আমাদের লোকজন আহত হয়। গোসাইরহাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মাকসুদ আলম বলেন, ভিজিএফ চাল দেয়া নিয়ে বিএনপির দুই পক্ষের মধ্যে মারামারির ঘটনা ঘটেছে। ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠিয়েছি। এখন পর্যন্ত কেউ অভিযোগ নিয়ে থানায় আসেনি। অভিযোগ পেলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।