জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) দক্ষিণাঞ্চলের মূখ্য সংগঠক হাসনাত আবদুল্লাহ বলেছেন, বিগত তিনটি নির্বাচনে জনগণ ভোট দিতে পারেনি। এই প্রশাসনের সংস্কার না করা পর্যন্ত গ্রহণযোগ্য নির্বাচন নিশ্চিতে আমরা আশ্বস্ত হচ্ছি না। তাই অন্তর্বর্তী সরকারের প্রতি আহ্বান থাকবে, ৫টি বা ৬টি ধাপে স্থানীয় সরকার নির্বাচন আয়োজনের মাধ্যমে প্রশাসনের স্বচ্ছতা যাচাইয়ে একটা পরীক্ষা হয়ে যাক। গতকাল বুধবার বিকালে কুমিল্লা নগরীর শাসনগাছা এলাকায় জাতীয় নাগরিক পার্টি আয়োজিত গণইফতারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
আওয়ামী লীগকে পুনর্বাসনের জন্য কিছু রাজনৈতিক দল কুটনীতিতে যুক্ত হচ্ছেন মন্তব্য করে হাসনাত আবদুল্লাহ আরও বলেন, যে আওয়ামী লীগকে ছাত্র-নাগরিক রাস্তায় তাজা রক্ত ঢেলে দিয়ে বাংলাদেশ থেকে উৎখাত করেছে, আজকে সেই আওয়ামী লীগকে পুনর্বাসনের জন্য ষড়যন্ত্র করা হচ্ছে। বিদেশে বসেও ষড়যন্ত্র অব্যাহত রয়েছে। বিভিন্ন রাজনৈতিক দল নির্বাচনি ফায়দা নেয়ার জন্য আওয়ামী লীগকে পুনর্বাসনের জন্য কুটনীতিতে যুক্ত হচ্ছেন। তিনি বলেন, আমরা আপনাদের সতর্ক করে বলতে চাই, এই ছাত্র নাগরিকের হারানোর কিছুই নেই। একখাপে দুই তলোয়ার যেভাবে থাকতে পারে না, ঠিক একইভাবে ৫ আগস্ট-পরবর্তী সময়ে এই বাংলাদেশে আওয়ামী লীগ এবং এনসিপি একসঙ্গে থাকতে পারে না। যদি কেউ আওয়ামী লীগকে পুনর্বাসন করতে চায়, ৫ আগস্ট গণভবন এবং বঙ্গভবনের যে পরিণতি হয়েছে, তাদের পরিণতিও সেই রকম হবে। তিনি বলেন, আমাদের লড়াই অব্যাহত রয়েছে। চাঁদাবাজি, টেন্ডারবাজি, বাজার দখল, পুকুর দখল- এগুলো এলাকায় শুরু হয়ে গেছে। যারা দখলবাজ তাদের হাত গুঁড়িয়ে দিয়ে তাদের পুলিশের হাতে তুলে দিন। দেবিদ্বার ও কুমিল্লার মাটিতে কোনো ধরনের চাঁদাজাদের ঠাঁই হবে না। যদি কেউ চাঁদাবাজির টাকা তুলতে আসে- বলবেন, চাঁদার টাকা হাসনাত আব্দুল্লাহকে দিয়ে আসছি। তার থেকে চাঁদার টাকা নিয়ে আসুন।
এনসিপির কেন্দ্রীয় যুগ্ম সদস্য সচিব রিফাত রশীদের সভাপতিত্বে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন জয়নাল আবেদীন শিশির, ইয়াছিন আরাফাত, সাকিব হোসাইন, রাশেদুল ইসলাম, আবু রায়হান, মুহিবুর রহমান, মো. ইকবাল, কাজী নাছিম, আবু সাঈদ, শাখাওয়াত শাওন, বিল্লাল হোসেনসহ এনসিপি ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতারা।