ঢাকা রোববার, ১৮ মে ২০২৫, ৪ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ | বেটা ভার্সন

সয়াবিন তেলে ভিটামিন ‘এ’ ঘাটতি

‘আইনের প্রয়োগ না থাকায় চরম ঝুঁকিতে জনস্বাস্থ্য’

‘আইনের প্রয়োগ না থাকায় চরম ঝুঁকিতে জনস্বাস্থ্য’

আইনের প্রয়োগ না থাকায় চরম ঝুঁকিতে রয়েছে জনস্বাস্থ্য। বিশেষ করে শিশুরা এই ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে সবচেয়ে বেশি। অ্যাডভোকেসি প্রতিষ্ঠান প্রগতির জন্য জ্ঞান (প্রজ্ঞা) বলেছে, জাতীয় মাইক্রোনিউট্রিয়ন্টে জরিপ ২০১১-১২ অনুযায়ী প্রাক-বিদ্যালয়গামী প্রতি পাঁচজন শিশুর মধ্যে একজন ভিটামিন ‘এ’ এবং দুইজন শিশু ভিটামিন ‘ডি’ এর ঘাটতিতে ভুগছে। ভোজ্যতেলে ভিটামিন ‘এ’ সমৃদ্ধকরণ আইন, ২০১৩ অনুযায়ী ভিটামিন ‘এ’ সমৃদ্ধকরণ ছাড়া ভোজ্যতেল বাজারজাত করা নিষিদ্ধ। আইসিডিডিআরবি’র এক গবেষণায় দেখা গেছে, বাজারে মোট ভোজ্যতেলের ৬৫ শতাংশই ড্রামে বিক্রি হয়। এর মধ্যে ৫৯ শতাংশ তেলে কোনো ভিটামিন ‘এ’ নেই। আর ৩৪ শতাংশ তেলে রয়েছে প্রয়োজনের চেয়ে কম। মাত্র ৭ শতাংশ ড্রামের খোলা তেলে আইন অনুসারে ভিটামিন ‘এ’ এর নির্ধারিত পরিমাণ পাওয়া গেছে। ফলে সাধারণ মানুষ আইনটির সুফল থেকে বঞ্চিত হচ্ছে।

গতকাল মঙ্গলবার রাজধানীর বাংলামোটরের বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব প্ল্যানার্স বিআইপি সম্মেলন কক্ষে এ সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়। ‘সবার জন্য ভিটামিনসমৃদ্ধ নিরাপদ ভোজ্যতেল: অগ্রগতি, বাধা ও করণীয়’ শীর্ষক সেমিনারে আলোচক ছিলেন বাংলাদেশ স্ট্যান্ডার্ডস অ্যান্ড টেস্টিং ইনস্টিটিউশনের (বিএসটিআই) উপ-পরিচালক (সিএম) এসএম আবু সাঈদ। এছাড়া ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশন অব বাংলাদেশের ইপিডেমিওলজি অ্যান্ড রিসার্চ বিভাগের প্রধান অধ্যাপক ডা. সোহেল রেজা চৌধুরী, কনসালটেন্ট ও সাবেক অতিরিক্ত সচিব মুশতাক হাসান মুহ. ইফতিখার, ব্র্যাক জেমস পি গ্রান্টস স্কুল অব পাবলিক হেলথের অ্যাসোসিয়েট সায়েন্টিস্ট আবু আহমেদ শামীম, বাংলাদেশ ফার্স্ট পত্রিকার ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক মোর্শেদ নোমান এবং প্রজ্ঞার নির্বাহী পরিচালক এবিএম জুবায়ের।

সেমিনারে গণমাধ্যমকর্মীদের সামনে বিষয়ভিত্তিক উপস্থাপনা তুলে ধরেন ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশনের লার্জ স্কেল ফুড ফর্টিফিকেশন কান্ট্রি অ্যাডভোকেসি বাংলাদেশের প্রোগ্রাম ম্যানেজার ডা. রীনা রাণী পাল এবং প্রজ্ঞার কর্মসূচি প্রান হাসান শাহরিয়ার। সেমিনারে জানানো হয়, দেশে রোগমুক্ত সুস্থ প্রজন্ম গড়ে তুলতে ভিটামিন ‘এ’ সমৃদ্ধ নিরাপদ ভোজ্যতেল প্রাপ্তি নিশ্চিত করা প্রয়োজন। এক্ষেত্রে ড্রামে খোলা ভোজ্যতেল বাজারজাতকরণ একটি বড় বাধা। একই সঙ্গে ভোজ্যতেলে ভিটামিন ‘এ’ সমৃদ্ধকরণ ও গুণগত প্যাকেজিং অত্যন্ত জরুরি। সেমিনারে আরও জানানো হয়, ২০২২ সালের জুলাইয়ের পর থেকে ড্রামে খোলা সয়াবিন তেল এবং ২০২২ সালের ডিসেম্বরের পর থেকে খোলা পাম তেল বাজারজাতকরণ বন্ধে শিল্প মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা থাকা সত্ত্বেও বাস্তবে এর প্রতিফলন দেখা যায়নি। তাই নিরাপদ ভোজ্যতেল ভোক্তার হাতে পৌঁছাতে শিল্প মন্ত্রণালয়, বিএসটিআই, জাতীয় ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর, নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষসহ সংশ্লিষ্ট সব সংস্থার সমন্বিত উদ্যোগ গ্রহণ প্রয়োজন।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত