খাল খনন কর্মসূচি বিএনপির রাজনীতির অন্যতম পিলার (খুঁটি) বলে জানিয়েছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী। তিনি বলেন, খাল খনন মানে শুধু পানি নিষ্কাশন না, একটি শহরের পানির যে স্রোত এটা নিশ্চিত করতে হবে। খালের আশপাশে একটি ভিন্ন অর্থনীতি গড়ে তোলা যাবে। স্থানীয় মানুষদের জন্য একটা বিনোদনের জায়গা করে দেওয়া যেতে পারে, তাদের হাঁটার জন্য ওয়াকওয়ে করে দেওয়া যেতে পারে। গতকাল চট্টগ্রাম নগরের কাট্টলী কর্নেলহাট বাজারের বামপাশে ওয়ার্ড অফিস সংলগ্ন রেললাইনের পাশে নাজির খাল ও কালির ছড়া খাল ওয়ার্ড বিএনপির অর্থায়নে খনন ও পরিষ্কার কাজের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
আমীর খসরু বলেন, শহরের মধ্যে প্রতিটি খাল যখন আমরা প্রতিস্থাপন করতে পারবো এবং সেই প্রক্রিয়ায় নিয়ে যেতে পারবো তখনই খালের একটি অগ্রগতি হবে। এছাড়াও, খালের পানি নিষ্কাশনের মাধ্যমে কৃষির যে কাজগুলো আছে, সেগুলো অনেক সহজ হয়ে যাবে। তবে পানি পরিষ্কার রাখতে হবে। স্থানীয় উদ্যোগে খাল খনন এটি মহৎ কাজ জানিয়ে বিএনপির এ নেতা বলেন, একটি ওয়ার্ড থেকে দুটি খাল খননের উদ্যোগ নিয়েছে। এটি অবশ্যই ভালো কাজ, মহৎ কাজ। তবে এটি যেন চট্টগ্রাম নগরের প্রত্যেক ওয়ার্ডেই প্রতিস্থাপন করা হয়। বিএনপির রাজনীতি, স্লোগান আর বক্তৃতা নয় শুধু, এটা শহিদ জিয়ার রাজনীতি, উন্নয়নের রাজনীতি, উৎপাদনের রাজনীতি। তাই আমাদের এ সমস্ত কাজে সম্পৃক্ত হতে হবে। আন্দোলন সংগ্রাম শেষ, এখন দেশ গড়ার সময়। দেশ গড়তে হবে এটার জন্যই বিএনপির সৃষ্টি। দেশ গড়ার যত ফর্মুলা আছে এখন সেগুলোকে সামনে আনতে হবে। চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের মেয়র ডা. শাহাদাত হোসেন বলেন, চট্টগ্রাম শহরে একসময় ৭১টি গুরুত্বপূর্ণ খাল ছিল। এসব খাল ভরাট হয়ে যাওয়াই নগরীর জলাবদ্ধতার প্রধান কারণ। এসব খাল খননের দায়িত্ব চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের হওয়ার কথা থাকলেও কিছু অসাধু ব্যক্তির চক্রান্তে নিয়মবহির্ভূতভাবে এই কাজ সিডিএর হাতে চলে যায়। সিডিএ ৫৭টি খাল চিহ্নিত করলেও মাত্র ৩৬টি খাল খননের কাজ করছে। অন্যদিকে, সিটি কর্পোরেশন মাত্র একটি খাল খনন করছে। ফলে অন্তত ২০টি অতি গুরুত্বপূর্ণ খাল খননের আওতার বাইরে থেকে যাচ্ছে, যার ফলে নগরবাসী এখনও জলাবদ্ধতার ভয়াবহতা থেকে মুক্তি পাচ্ছে না।