বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীন আজ বাংলাদেশে আগামী ১০ বছরের মধ্যে থ্যালাসেমিয়া রোগীর সংখ্যা শূন্যে নামিয়ে আনার জন্য একটি কর্মপরিকল্পনা গ্রহণের ওপর জোর দিয়েছেন। থ্যালাসেমিয়া প্রতিরোধে বিয়ের পূর্বে রক্তপরীক্ষার বিষয়ে সচেতনতা বৃদ্ধি জরুরি। এক্ষেত্রে বিবাহ নিবন্ধনকারী কাজী, ধর্মীয় নেতা ও স্কুলের শিক্ষকদের প্রশিক্ষণসহ জনমত সৃষ্টিতে কাজ করার ওপর গুরুত্বারোপ করেন উপদেষ্টা। বাংলাদেশ শিশু হাসপাতাল ও ইনস্টিটিউটের অডিটোরিয়ামে গতকাল ‘আন্তর্জাতিক থ্যালাসেমিয়া দিবস-২০২৫’ উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন। এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। এ বছর দিবসটির প্রতিপাদ্য- ‘থ্যালাসেমিয়ার জন্য সামাজিক ঐক্য গড়ি, রোগীর অগ্রাধিকার নিশ্চিত করি’। বাণিজ্য উপদেষ্টা বলেন, সচেতনতা ও পর্যাপ্ত স্ক্রিনিংয়ের দ্বারা থ্যালাসেমিয়া রোগ নির্ণয়ের মাধ্যমে আক্রান্তের হার কমিয়ে আনা যেতে পারে। থ্যালাসেমিয়া বাহক হলেও স্বাভাবিক জীবনযাপন সম্ভব। দুজন বাহক বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হলে সন্তানের এ রোগে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা থেকে যায়। এটি প্রতিরোধে তাই ব্যক্তিপর্যায়ের জনসচেতনতা প্রয়োজন বলে তিনি জানান। তাছাড়া, রোগের ব্যয় নির্বাহে প্রায় দুই হাজার থেকে দশ হাজার কোটি টাকার পারিবারিক বা রাষ্ট্রীয় খরচের দায় তৈরি হয়। এই দায় থেকে পরিত্রাণ পেতে সবাইকে রক্ত পরীক্ষার মাধ্যমে নিজের অবস্থা জানার আহ্বান জানান তিনি। এসময় উপদেষ্টা রক্ত পরীক্ষার মাধ্যমে থ্যালাসেমিয়া বিষয়ক সচেতনতা কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন। বাংলাদেশ শিশু হাসপাতাল ও ইনস্টিটিউটের ম্যানেজমেন্ট বোর্ডের চেয়ারম্যান প্রফেসর ডা. একেএম আজিজুল হকের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন ইনস্টিটিউটের পেডিয়াট্রিক মেডিসিন বিভাগের সাবেক বিভাগীয় প্রধান প্রফেসর ডা. মো. সেলিমুজ্জামান। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ শিশু হাসপাতাল ও ইনস্টিটিউটের পরিচালক অধ্যাপক ডা. মো. মাহবুবুল হক।