ঢাকা শনিবার, ২১ জুন ২০২৫, ৭ আষাঢ় ১৪৩২ | বেটা ভার্সন

কক্সবাজারে সেনাবাহিনীর নেতৃত্বে যৌথ বাহিনীর অভিযান: অস্ত্র ও ইয়াবাসহ শাহীন ডাকাত গ্রেপ্তার

কক্সবাজারে সেনাবাহিনীর নেতৃত্বে যৌথ বাহিনীর অভিযান: অস্ত্র ও ইয়াবাসহ শাহীন ডাকাত গ্রেপ্তার

কক্সবাজারের রামু ও বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি সীমান্তের ত্রাস শাহীনুর রহমান ওরফে ডাকাত শাহীনকে দুই সহযোগীসহ গ্রেপ্তার করেছে সেনাবাহিনী। এ সময় তাঁর আস্তানা থেকে সেনাবাহিনী, বিজিবি ও র্যাবের যৌথ বাহিনী অভিযান চালিয়ে বিপুল পরিমাণ অস্ত্র ও গোলাবারুদ উদ্ধার করা হয়। বৃহস্পতিবার (৫ জুন) সকালে রামু উপজেলার গর্জনিয়া ইউনিয়নের জাউজপাড়া এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।

বৃহস্পতিবার বিকেলে গর্জনিয়া এলাকায় ডাকাত শাহীনের বাড়িতে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে রামু ১০ সেনানিবাসের কর্মকর্তা লে. কর্নেল মনোয়ার হোসেন এ তথ্য জানান। তিনি জানান, আসন্ন ঈদুল-আজহা উপলক্ষে গর্জনিয়া-নাইক্ষ্যংছড়ি সীমান্ত এলাকা দিয়ে মিয়ানমারের গরু মাদক চোরাচালান বৃদ্ধি ও আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি ঘটায় জনমনে শাহীন ডাকাতকে নিয়ে ভয় ও শঙ্কা বিরাজ করছিল।

শাহীন ডাকাতকে ধরার জন্য সেনাবাহিনীর গোয়েন্দা সংস্থা দীর্ঘদিন ধরে নজরদারি করে আসছে।

সবশেষ গতকাল বুধবার রাতে সেনাবাহিনীর গোয়েন্দারা জানতে পারেন, শাহীন ডাকাত মাঝিরকাটা এলাকায় একটি বাড়িতে অবস্থান করবে। পরে সকাল ৮টায় সেনাবাহিনীর ১০ পদাতিক ডিভিশনের ৪টি টহল দল এবং র্যাব ও বিজিবি সমন্বিতভাবে ঝটিকা অপারেশন পরিচালনা করে। অভিযান পরিচালনার সময় সেনা টহলদল শাহীন ডাকাতের বাসভবনের চারদিকে কর্ডন করে। এ সময় কৌশলগত সুবিধাজনক তিনটি অবস্থানে সেনা টহল মোতায়েন করা হলে সেনাবাহিনীর উপস্থিতি টের পেয়ে শাহীন ডাকাত ও তাঁর সহযোগীরা কয়েক রাউন্ড এলোপাতারি গুলি করে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে।

পরে যৌথ বাহিনী অভিযান চালিয়ে শাহীন ডাকাত ও তাঁর দুইজন সহযোগীকে গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হয়। এরপর দুপুরে তাঁর পাহাড়ি আস্তানায় তল্লাশি চালিয়ে একে-২২,তিনটি দুনলা বন্দুক,ধারালে অস্ত্র,২০ হাজার ইয়াবা,সামরিক সরঞ্জাম ও গোলাবারুদ উদ্ধার করা হয়।

ডাকাত শাহীনের নামে ৮টি হত্যা ও গুম, ৩টি ডাকাতি, ৪টি মাদক, ২টি অপহরণ ও ৩টি অস্ত্র মামলাসহ ২০টি মামলা রয়েছে।

লে. কর্নেল মনোয়ার হোসেন বলেন, মিয়ানমার থেকে আসা বার্মিজ গরু, সিগারেট, ইয়াবা, আইসসহ অসংখ্য মাদক বাংলাদেশে প্রবেশে করতো। বিনিময়ে বাংলাদেশ থেকে চাল-ডাল-তেলসহ অনেক খাদ্যসামগ্রী মিয়ানমারে পাচার হতো। এসব নিয়ন্ত্রণে ছিল তার বিশাল অস্ত্রধারী বাহিনী।

ব্রিফিংয়ে জানানো হয়,সীমান্তের অপরাধ কমাতে অভিযান অব্যাহত রাখা হবে। এ সময় র্যাব-১৫ কক্সবাজার ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লে. কর্নেল কামরুল হাসানসহ সেনাবাহিনী,বিজিবি ও র্যাবের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

এর আগে গত ২৫ মে শীর্ষ ডাকাত শাহীনের বাড়িতে অভিযান চালিয়েছিল যৌথ বাহিনী। সে সময় অস্ত্র,মাদক ও জালনোট জব্দ করা হয়েছিল।

ডাকাত,গ্রেপ্তার
আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত