কক্সবাজার ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির প্রতিষ্ঠাতা ও চেয়ারম্যান মো. মুজিবুর রহমানসহ চারজনের বিরুদ্ধে বিশ্ববিদ্যালয়ের তহবিলের টাকা আত্মসাতের অভিযোগে দায়ের করা মামলাটি ‘মিথ্যা’ প্রমাণিত হওয়া খারিজ করে দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে আসামিদেরকে ওই মামলা থেকে খালাস প্রদান করেছেন বিচারক। গত বৃহস্পতিবার সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটের আদালতে শুনানি শেষে এই আদেশ দেন বিচারক আখতার জাবেদ। আসামি পক্ষে মামলা শুনানি করেন জেলা বারের সাবেক সভাপতি অ্যাডভোকেট একেএম শাহজালাল চৌধুরী, অ্যাডভোকেট সাইফুল্লাহ নূর, অ্যাডভোকেট মুন্না। ২ কোটি ৯৮ লক্ষ ৩৭ হাজার ৭৭৬ টাকা আত্মসাতের অভিযোগ তুলে সিবিআইইউ প্রতিষ্ঠাতা ও চেয়ারম্যান মো. মুজিবুর রহমানসহ চারজনের বিরুদ্ধে ২০২০ সালের ২ জুন সদর মডেল থানায় মামলা করেন তৎকালীন ট্রেজারার প্রফেসর আব্দুল হামিদ। যার জিআর মামলা নং: ৪৩২/২০। তৎকালীন জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও বিশ্ববিদ্যালয়ের অবৈধ দখলদার সালাহউদ্দিন আহমেদ সিআইপির নির্দেশে দায়েরকৃত এই মামলায় চারজনকে আসামি করা হয়। তারা হলেন, প্রতিষ্ঠাতা ও চেয়ারম্যান মো. মুজিবুর রহমান, তৎকালীন পরিচালক (অর্থ) মো. আব্দুস সবুর, প্রতিষ্ঠাতার ভাই মো. আব্দুল মাবুদ এবং তৎকালীন সিকিউরিটি ইনচার্জ মনির উদ্দীন আরিফ। আদালতের নির্দেশে মামলাটি তদন্ত শেষে ফৌজদারী বিধান কোষের ১৭৩ ধারা মোতাবেক ২০২৫ সালের ১০ এপ্রিল চূড়ান্ত প্রতিবেদন সত্য (এফ আর টি) জমা দেন তদন্তকারী কর্মকর্তা ও দুর্নীতি দমন কমিশন কক্সবাজার সমন্বিত জেলা কার্যালয়ের উপ-সহকারী পরিচালক নচিকেতা চক্রবর্ত্তী। মামলায় যেসব অভিযোগ আনা হয়েছে সেগুলো মিথ্যা ও সঠিক তথ্যহীন বলে প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়। কক্সবাজার ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি ২০১৩ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়। ২০২০ সালের ২ জুন করোনার দুঃসময়ে অবৈধভাবে বিশ্ববিদ্যালয় দখল করে নেয় জেলা আওয়ামী লীগের তৎকালীন সাধারণ সম্পাদক সালাহউদ্দিন আহমেদের নেতৃত্বে দলীয় লোকজন। তার এই দখলদারিত্ব নিরাপদ রাখতে প্রতিষ্ঠাতা ও চেয়ারম্যান লায়ন মোহাম্মদ মুজিবুর রহমান ও তার পরিবারের অন্যান্য সদস্যদের বিরুদ্ধে একে একে দুইটি মিথ্যা মামলা দেয়। এরপরও থমকে যাননি মোহাম্মদ মুজিবুর রহমান। আইনিভাবে সবকিছু মোকাবেলা করেছেন। অবশেষে সত্যের জয় হয়েছে।