ঢাকা রোববার, ২২ জুন ২০২৫, ৮ আষাঢ় ১৪৩২ | বেটা ভার্সন

গুমের বিরুদ্ধে কথা বলুন

বললেন আসিফ মাহমুদ
গুমের বিরুদ্ধে কথা বলুন

স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় এবং যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া বলেছেন, ‘গুম কোনো ব্যক্তি নয়, একটি রাষ্ট্রীয় নীরবতা। এই নীরবতা ভাঙতে হবে। গুমের বিরুদ্ধে কথা বলতে হবে।’ উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ তার ভেরিফাইড ফেসবুকে এক পোস্টে আরো বলেন, ‘চুপ করে থাকলে ইতিহাসও ক্ষমা করবে না। গুমের বিরুদ্ধে কথা বলুন।’ আওয়ামী শাসনামলের একটি বর্বর দুঃশাসনের নমুনা তুলে ধরে আসিফ মাহমুদ পোস্টে উল্লেখ করেন, ২০০৯ থেকে ২০২৪ সালের মার্চ মাস পর্যন্ত বাংলাদেশে প্রায় ৬৬৬ জন গুম হয়েছেন, সংখ্যাটি আরও অনেক বড় বলেও উল্লেখ করেন উপদেষ্টা।

গুম হয়ে যাওয়া ব্যক্তিদের স্মরণে প্রতি বছরের মতো এ বছরও মে মাসের শেষ সপ্তাহে গুম সপ্তাহ পালিত হচ্ছে। ‘গুম সপ্তাহ’ প্রতি বছর মে মাসের শেষ সপ্তাহে আন্তর্জাতিকভাবে পালিত হয়। সপ্তাহটি প্রথম শুরু হয় ১৯৮১ সালে লাতিন আমেরিকার মানবাধিকার সংগঠন এর উদ্যোগে। তখনকার সময়ে লাতিন আমেরিকায় স্বৈরশাসকরা বিরোধীদের গুম করত। এরপর থেকে এ সপ্তাহ আন্তর্জাতিক পর্যায়ে স্বীকৃতি পায়। এরপর থেকে বিশ্বের বিভিন্ন মানবাধিকার সংস্থা, বিশেষ করে অ্যামেনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল, হিউম্যান রাইটস ওয়াচসহ বিভিন্ন দেশের গুমবিরোধী সংগঠনগুলো এই সপ্তাহ পালন করছে। আন্তর্জাতিক গুম সপ্তাহ হলো একটি সচেতনতামূলক সপ্তাহ। এর লক্ষ্য বিনা বিচারে গুম, জবরদস্তি গুম এবং এ ধরনের মানবাধিকার লঙ্ঘনের বিরুদ্ধে বিশ্বব্যাপী প্রতিবাদ ও সচেতনতা সৃষ্টি। এছাড়া গুম হওয়া ব্যক্তিদের স্মরণ করা এবং নিখোঁজ ব্যক্তিদের পরিবারগুলোর প্রতি সংহতি জানানোও এর উদ্দেশ্য। সরকার বা রাষ্ট্রীয় বাহিনীর দ্বারা সংঘটিত গুমের বিরুদ্ধে বিচার ও জবাবদিহি দাবি করা এবং মানবাধিকার ও ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠার আহ্বান জানানো।

বাংলাদেশে গুম একটি উদ্বেগজনক ইস্যু। বিশেষ করে আওয়ামী শাসনামলে ২০১০ সাল থেকে গুমের ঘটনা বৃদ্ধি পায় বলে মানবাধিকার সংগঠনগুলো তথ্য প্রমাণে উঠে আসে। চলতি সপ্তাহে বাংলাদেশেও বিভিন্ন সংগঠন গুমের শিকার, নিখোঁজের শিকার এবং গুমবিরোধী পরিবারগুলো সংবাদ সম্মেলন, মানববন্ধন, স্মরণ সভাসহ বিভিন্ন আয়োজন চালিয়ে যাচ্ছে।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত