উজানে ভারী বৃষ্টিপাতের কারণে তিস্তা নদীর পানি বাড়তে শুরু করেছে। এতে রংপুর বিভাগের তিস্তা নদীসংলগ্ন পাঁচ জেলার নিম্নাঞ্চলে বন্যা পরিস্থিতি সৃষ্টি হতে পারে বলে পূর্বাভাস দিয়েছে বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্র। গতকাল পাউবো কুড়িগ্রাম অফিস থেকে পাঠানো এক বার্তায় জানানো হয়, ভারী বৃষ্টিপাতের প্রভাবে তিস্তা নদীর পানি রংপুর, নীলফামারী, লালমনিরহাট, গাইবান্ধা ও কুড়িগ্রাম জেলার কিছু স্থানে বিপদসীমা অতিক্রম করতে পারে। ফলে এসব জেলার নদীতীরবর্তী নিম্নাঞ্চলে বন্যা পরিস্থিতি দেখা দিতে পারে।
পাউবো জানায়, বুধবার দুপুর ৩টা পর্যন্ত রংপুরের কাউনিয়া পয়েন্টে তিস্তা নদীর পানি হ্রাসমান ছিল এবং এখনও বিপদসীমার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। তবে পরবর্তী তিন দিন পানি বাড়তে পারে বলে পূর্বাভাসে বলা হয়েছে। এদিকে, ব্রহ্মপুত্র নদীর পানি কিছুটা কমলেও একদিন পর তা বাড়ার সম্ভাবনা রয়েছে। এরপর চার দিন নদীর পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকতে পারে। তবে এই নদীর পানি বিপদসীমা অতিক্রম করার আশঙ্কা আপাতত কম। পাউবো কুড়িগ্রামের নির্বাহী প্রকৌশলী রাকিবুল হাসান বলেন, ‘তিস্তা নদীতে পানির বাড়তি প্রবাহের কারণে তীরবর্তী এলাকায় ভাঙনের ঝুঁকি তৈরি হয়েছে। কুড়িগ্রামের রাজারহাট উপজেলার ডাঙরারহাট এলাকায় প্রায় ৮০০ মিটার জায়গা ঝুঁকিপূর্ণ। সেখানে জরুরি ভিত্তিতে কাজ শুরু করতে চাহিদাপত্র পাঠানো হয়েছে।’ বন্যা মোকাবিলায় প্রস্তুতি বিষয়ে জানতে কুড়িগ্রামের জেলা প্রশাসক মোছা. নুসরাত সুলতানার সঙ্গে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তাকে পাওয়া যায়নি। হোয়াটসঅ্যাপে ক্ষুদে বার্তা পাঠানো হলেও কোনো সাড়া মেলেনি।