ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ উপজেলার জামাল ইউনিয়নে বিএনপির অভ্যন্তরীণ কোন্দল এবং আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে দুই গ্রুপের সংঘর্ষে মহব্বত হোসেন (৬০) নামে এক ব্যক্তি নিহত হয়েছেন। ফিরোজ গ্রুপ ও হামিদ গ্রুপের মধ্যে এই সংর্ঘষ বাধে। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন অন্তত আরও পাঁচজন। নিহত মহব্বত হোসেন উপজেলার নাকোবাড়িয়া গ্রামের বাসিন্দা এবং মৃত হবিবর বিশ্বাসের ছেলে। স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, বেশ কিছুদিন ধরেই জামাল ইউনিয়ন বিএনপির দু’গ্রুপের মধ্যে উত্তেজনা চলছিল। গতকাল রোববার দুপুরে তা সংঘর্ষে রূপ নেয়। রড, রামদা, লাঠি ও দেশীয় অস্ত্র নিয়ে সংর্ঘষে জড়িয়ে পড়ে দু’গ্রুপের কর্মী সমর্থকরা। সংঘর্ষে গুরুতর আহত অবস্থায় মহব্বত হোসেনসহ কয়েকজনকে কালীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে যশোর ও পরে ঢাকায় পাঠানো হয়। ঢাকা নেওয়ার পথে ফরিদপুরে পৌঁছালে মহব্বত হোসেনের মৃত্যু হয়। আহতদের মধ্যে দুজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকরা। সংঘর্ষের পর থেকে এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। পাশাপাশি সেনা বাহিনীকেও ঘটনাস্থলে টহল দিতে দেখা গেছে। এ বিষয়ে কালীগঞ্জ থানার ওসি সহিদুল ইসলাম হাওলাদার বলেন, ঘটনার খবর পেয়ে আমি নিজেই ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের চিহ্নিত করে দ্রুত গ্রেপ্তার করা হবে।