ঢাকা সোমবার, ০৯ জুন ২০২৫, ২৬ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ | বেটা ভার্সন

সুসংবাদ প্রতিদিন

চালকুমড়া চাষে সাফল্য

চালকুমড়া চাষে সাফল্য

যত দূর চোখ যায় চতুর্দিকে সবুজ আর হলুদের হাতছানি। থোকা থোকা সবুজ পাতার ফাঁকে ফাঁকে ফুটছে অজস্র হলুদ রঙের ফুল। তবে এসব দৃশ্য কোনো ফুলবাগানের নয়, সবজি পানি বা চালকুমড়া খেতের দৃশ্য এগুলো। দেশের উত্তরাঞ্চলের লালমনিরহাটে বিভিন্ন গ্রামের বিস্তীর্ণ এলাকাজুড়ে চাষ হয়েছে সুস্বাদু সবজি পানি বা চালকুমড়া। স্বল্প সময়ে অধিক লাভের আশায় কৃষকরা পানিকুমড়া চাষ করছেন। প্রতিবছরই বাণিজ্যিকভাবে পানিকুমড়া চাষ করছেন এ জেলার বিভিন্ন উপজেলা কৃষকরা। প্রতি ২৭ শতক জমি চাষ করতে ৮ থেকে ১০ হাজার টাকার মতো খরচ হয়। এ মৌসুমে পানিকুমড়ার চারা রোপণ করেছেন শত শত কৃষকরা। পরে সেই জমিতে চারাগুলোর উপরে জিয়াইতার ও বাঁশের কাবাড়ি দিয়ে মাচা তৈরি করে দেন। চারাগুলো গাছ হয়ে এখন সেই মাচায় উঠছে। ফুলের সঙ্গে কোনো কোনো গাছে পানি কুমড়াও ঝুলছে এখন। চারা রোপণ করার সময় প্রতি দোন (২৭ শতক) জমিতে ৩০ কেজি করে টিএসপি সার ব্যবহার করেন। পরে গাছে ফুল আসার আগে আরও একবার সার ব্যবহার করা হয়। এর পাশাপাশি ইউরিয়া সারও ব্যবহার করা হয়। এছাড়া পোকার আক্রমণ থেকে গাছ ও পানিকুমড়া রক্ষা করতে সপ্তাহে একবার কীটনাশক প্রয়োগ করা হয় খেতে। সাড়ে ৩ ফুট দূরত্বে রোপণ করা চারার একেকটি সারির দূরত্ব রাখা হয়েছে ৪ ফুট। আর কয়েক দিনের মধ্যে পানিকুমড়া বিক্রি শুরু হবে। আর তখন স্থানীয় বাজারের পাশাপাশি ঢাকাসহ বিভিন্ন জেলায় পৌঁছে যাবে লালমনিরহাটের বিভিন্ন গ্রামের চাষ করা পানিকুমড়া।

পানিকুমড়া চাষ করে এখানকার সবাই লাভবান হয়েছেন। তাই লাভবান চাষিদের দেখে অনেকেই ঝুঁকছেন এ সবজি চাষাবাদে। এতে একদিকে সবজির চাহিদা যেমন পূরণ হচ্ছে, ঠিক তেমনি পূরণ হচ্ছে আর্থিক চাহিদাও। সদর উপজেলার ফুলগাছ গ্রামের শাহিনুর রহমান পানিকুমড়া চাষি জানান, পানিকুমড়ায় রোগবালাই খুবই কম। কোনো কোনো সময় বৈরী আবহাওয়ার কারণে গাছ শুকিয়ে যায় কিংবা পচন ধরে। তবে কৃষি বিভাগের পরামর্শে রোগ বুঝে ওষুধ প্রয়োগ করলে সুফল পাওয়া যায়। আমি ১০ শতক জমিতে চালকুমড়া চাষ করে প্রায় ৩০ টাকা বিক্রয় করেছি। খরচ হয়েছে মাত্র ৫ হাজার ।

সদর উপজেলার উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা অপূর্ব বলেন, লালমনিরহাট কৃষি প্রধান জেলা। এ এলাকায় প্রায় সব ধরনের সবজির চাষ হয়। বরাবরের মতো এবারও পানিকুমড়া চাষ করে জেলার কৃষকরা ভালো লাভ করছেন। ফলনও খুব ভালো হয়েছে। দিন দিন জেলায় পানিকুমড়া চাষ বাড়ছে। কৃষি বিভাগ থেকে কৃষকদের এ বিষয়ে সব ধরনের সহযোগিতা করা হচ্ছে।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত