ঢাকা রোববার, ১৮ মে ২০২৫, ৪ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ | বেটা ভার্সন

নদীবন্দরগুলোতে সতর্ক সংকেত চার জেলায় বন্যার আভাস

নদীবন্দরগুলোতে সতর্ক সংকেত চার জেলায় বন্যার আভাস

দেশজুড়ে চলমান তীব্র তাপপ্রবাহের মধ্যে স্বাস্থ্য সুরক্ষায় সবার জন্য জরুরি নির্দেশনা দিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। গত রোববার স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পরিচালক (হাসপাতাল ও ক্লিনিক সমূহ) আবু হোসেন মো. মঈনুল আহসানের সই করা এক বিজ্ঞপ্তিতে এ নির্দেশনা জারি দেয়া হয়। নির্দেশনাগুলো হলো- ১। দিনের বেলায় ঘরের বাইরে বের হলে ছাতা, টুপি/ক্যাপ, বা কাপড় দিয়ে মাথা যথাসম্ভব ঢেকে রাখুন। ২। হালকা রঙের সুতির ঢিলে-ঢালা জামা পরিধান করুন। ৩। প্রচুর পরিমাণে বিশুদ্ধ পানি পান করুন এবং তরল জাতীয় খাবার গ্রহণ করুন। ৪। সম্ভব হলে একাধিক বার গোসল করুন। ৫। অতিরিক্ত তেল-মশলা যুক্ত খাবার পরিহার করুন এবং বাসি, খোলা খাবার খাওয়া থেকে বিরত থাকুন। ৬। প্রস্রাবের রঙের দিকে লক্ষ্য রাখুন, গাঢ় হলুদ রঙের প্রস্রাব হলে অবশ্যই পানি পানের পরিমাণ বৃদ্ধি করুন। ৭। গরমে অসুস্থ বোধ করলে দ্রুত নিকটস্থ চিকিৎসকের পরামর্শ নিন। ৮। গরমে যেসব ব্যক্তি অধিক স্বাস্থ্য ঝুঁকিতে রয়েছেন যেমন- শিশু ও গর্ভবতী মা, বয়স্ক ব্যক্তি ও প্রতিবন্ধী ব্যক্তি, রিকশাচালক, কৃষক, নির্মাণ শ্রমিক, দিনমজুর, স্থূলকায় ব্যক্তি এবং শারীরিকভাবে অসুস্থ ব্যক্তি বিশেষ করে হৃদরোগ ও উচ্চ রক্তচাপের রোগী, তারা বিশেষভাবে সাবধান থাকবেন। ৯। প্রয়োজনে ‘স্বাস্থ্য বাতায়ন’- ১৬২৬৩ নম্বরে পরামর্শের জন্য যোগাযোগ করুন। দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে তাপমাত্রা ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াস ছাড়িয়েছে। আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, গত রোববার ঢাকার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা উঠেছে ৩৯ দশমিক ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস, শনিবার ছিল ৪০ দশমিক ১ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এটি এই মৌসুমে ঢাকার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা।

উত্তর-পশ্চিম বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গ-বাংলাদেশ উপকূলে একটি লঘুচাপ সৃষ্টি হওয়ায় বরিশাল, পটুয়াখালী, নোয়াখালী, কুমিল্লা, চট্টগ্রাম, কক্সবাজার ও সিলেটের অভ্যন্তরীণ নদীবন্দরগুলোকে ১ নম্বর সতর্ক সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে। গত শনিবার সকালে উপ-পরিচালকের পক্ষে আবহাওয়াবিদ ড. মুহাম্মদ আবুল কালাম মল্লিক স্বাক্ষরিত এক আবহাওয়া বুলেটিনে এই তথ্য জানানো হয়েছে।

এতে বলা হয়, ‘বরিশাল, পটুয়াখালী, নোয়াখালী, কুমিল্লা, চট্টগ্রাম, কক্সবাজার এবং সিলেট অঞ্চলসমূহের ওপর দিয়ে দক্ষিণ/দক্ষিণ-পূর্ব দিক থেকে ঘণ্টায় ৪৫ থেকে ৬০ কিলোমিটার বেগে অস্থায়ীভাবে দমকা বা ঝড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে, পাশাপাশি বৃষ্টি অথবা বজ্রবৃষ্টি হতে পারে। এসব এলাকার নদীবন্দর সমূহকে ১ নম্বর (পুনঃ) ১ নম্বর সতর্ক সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।

চার জেলায় বন্যার আভাস : সিলেট বিভাগে বন্যার আভাস দিয়েছেন বেসরকারি আবহাওয়া পূর্বাভাস ওয়েবসাইট আবহাওয়া.কমের প্রধান আবহাওয়াবিদ মোস্তফা কামাল পলাশ। গতকাল সোমবার দুপুরে নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে এ তথ্য জানিয়েছেন তিনি। এ সময় সিলেট বিভাগের অবশিষ্ট ফসল ২০ মের মধ্যে কেটে ফেলার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। কৃষি আবহাওয়ার পূর্বাভাসে আবহাওয়াবিদ পলাশ জানান, সিলেট বিভাগের জেলাগুলোর ওপরে বিশেষ করে সুনামগঞ্জ ও সিলেট জেলার ওপরে নিয়মিত বৃষ্টির পূর্বাভাস দিচ্ছে সব আবহাওয়া পূর্বাভাস মডেল। ফলে সিলেট বিভাগের হাওড় এলাকায় বিলগুলো পাহাড়ি ঢলের পানিতে প্লাবিত হওয়ার আশঙ্কা করা যাচ্ছে। আগামী ১৫ দিনের মধ্যে এসব এলাকা প্লাবিত হতে পারে। যদি কোনো বিলে এখন পর্যন্ত ধান কাটা অবশিষ্ট থাকে তবে ২০ মের মধ্যে কেটে ফেলার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। সিলেট বিভাগের জেলাগুলোর ওপরে বিশেষ করে সুনামগঞ্জ ও সিলেট জেলার ওপরে নিয়মিত বৃষ্টির পূর্বাভাস দিচ্ছে সব আবহাওয়া পূর্বাভাস মডেল। ফলে সিলেট বিভাগের হাওড় এলাকায় বিলগুলো পাহাড়ি ঢলের পানিতে প্লাবিত হওয়ার আশঙ্কা করা যাচ্ছে। আগামী ১৫ দিনের মধ্যে এসব এলাকা প্লাবিত হতে পারে।

এর আগে গত রোববার তিনি জানিয়েছিলেন, বঙ্গোপসাগরে একটি ঘূর্ণিঝড় সৃষ্টির প্রবল আশঙ্কা রয়েছে। মে মাসের ২৩ থেকে ২৮ তারিখের মধ্যে এ ঘূর্ণিঝড়ের সৃষ্টি হতে পারে। সম্ভাব্য এ ঘূর্ণিঝড়ের নাম হবে ‘শক্তি’। ২৪ থেকে ২৬ মের মধ্যে ঘূর্ণিঝড়টি ভারতের ওড়িশা উপকূল ও বাংলাদেশের চট্টগ্রাম উপকূলের মধ্যবর্তী যে কোনো স্থানের ওপর দিয়ে স্থলভাগে আঘাত করার প্রবল আশঙ্কা করা যাচ্ছে।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত