ঢাকা রোববার, ১৮ মে ২০২৫, ৪ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ | বেটা ভার্সন

মৃতের ওয়ারিশদের মধ্যে ফারায়েজ অনুযায়ী পেনশন বণ্টন প্রশ্নে রুল

মৃতের ওয়ারিশদের মধ্যে ফারায়েজ অনুযায়ী পেনশন বণ্টন প্রশ্নে রুল

নমিনি নয় বরং মৃতের আইনগত বৈধ ওয়ারিশদের মধ্যে মুসলিম ফারায়েজ অনুযায়ী আনুপাতিক হারে এককালীন পেনশন, প্রভিডেন্ট ফান্ডের অর্থসহ অন্যান্য চাকরি সুবিধাদি কেন বণ্টিত হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট। চার সপ্তাহের মধ্যে বিবাদীদের এ রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে। এ সংক্রান্ত রিটের পরিপ্রেক্ষিতে গতকাল মঙ্গলবার বিচারপতি ফাহমিদা কাদের ও বিচারপতি মুবিনা আসাফের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এই রুল জারি করেন।

আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন সুপ্রিমকোর্টের আইনজীবী ব্যারিস্টার হুমায়ন কবির পল্লব। তাকে সহযোগিতা করেন অ্যাডভোকেট বায়েজীদ হোসাইন ও নাঈম সরদার। অন্যদিকে রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ শফিকুর রহমান। তাকে সহযোগিতা করেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল অ্যাডভোকেট মাহফুজ বিন ইউসুফ, অ্যাসিস্ট্যান্ট অ্যাটর্নি জেনারেল অ্যাডভোকেট একরামুল কবির ও অ্যাডভোকেট মো. ঈসা।

পরে আইনজীবী ব্যারিস্টার মোহাম্মদ হুমায়ন কবির পল্লব জানান, রিট আবেদনকারীরা পরস্পর ভাই-বোন। তাদের বাবা সরকারি কর্মচারী থাকাকালীন মারা যান। রিট আবেদনকারীরা তাদের বাবার প্রথম স্ত্রীর সন্তান। প্রথম স্ত্রী মারা গেলে বাবা দ্বিতীয় বিবাহ করেন। বাবা মারা যাওয়ার পরে এই রিট আবেদনকারীরা জানতে পারেন যে, বাবা তাদের সৎ মাকে নমিনি রেখে যান। তারা এও জানতে পারেন যে, তাদের সৎমা তাদের বাবার রেখে যাওয়া এককালীন পেনশন, প্রভিডেন্ট ফান্ডের অর্থসহ অন্যান্য চাকরি সুবিধাদি আত্মসাৎ করতে চাচ্ছেন। এরপর রিট আবেদনকারীরা সংশ্লিষ্ট বিবাদীদের নমিনিসহ মৃতের আইনগত বৈধ ওয়ারিশদের মধ্যে মুসলিম ফারায়েজ অনুযায়ী আনুপাতিক হারে এককালীন পেনশন, প্রভিডেন্ট ফান্ডের অর্থসহ অন্যান্য চাকরি সুবিধাদি বণ্টনের জন্য আবেদন করেন। অথচ বিবাদীরা এ ব্যাপারে কোনো পদক্ষেপ নেননি। এরপর সুপ্রিমকোর্টের হাইকোর্ট বিভাগের সংশ্লিষ্ট শাখায় রিটটি দায়ের করা হয়। শুনানি শেষে মহামান্য আদালত এই রুল জারি করলেন।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত